জীবনে যুদ্ধে পিছিয়ে পড়লে করণীয় কী?
জীবনে যুদ্ধে পিছিয়ে পড়লে করণীয় কী?
কখনো কখনো জীবন যুদ্ধে এগিয়ে যাওয়ার জন্য হলেও কয়েক পা পিছিয়ে যেতে হয় ।
প্রথমত জানতে হবে,আপনি কোন বিষয় নিয়ে পিছিয়ে পরেছেন ।ধরে নিলাম আপনি পড়া লেখা,ক্যারিয়ার রিলেটেড কিছুই বুঝাতে চেয়েছেন ।তো চলুন শুরু করা যাক …
১)একটি গোল সেট করুন ।আগামী এক বছর কিংবা ছয় মাসে আপনি কেমন পরিবর্তন চাচ্ছেন নিজের মধ্যে সেটি খাতায় লিখে ফেলুন ।
২)আপনি যে ধরনের পরিবর্তনই চান না কেন,সেখানে অবশ্যই পরিশ্রম একটা বড় মাধ্যম সেটি এচিভ করার ।
৩)২১ দিন টানা সেই কাজ টি করুন ।
৪)আপনি ভালো করেই জানেন ,ঠিক কি কি কাজ করলে আপনার জন্য ভালো এবং ঠিক কোন কাজ গুলো আপনাকে আরো পিছনে নিয়ে যাবে ।যেমন ধরুন, আপনি সারাদিন শুয়ে বসে দিন কাটাচ্ছেন,আপনি নিজেও জানেন এটা আপনার জন্য অকল্যাণকর ।তবুও করেই যাচ্ছেন ।এটাকে ইংরেজিতে বলে Procrastination .এটা থেকে মুক্তি পেতে আপনি ,সাথে সাথে বিছানা থেকে উঠে পরুন এবং অন্তত দশ মিনিটের জন্য হলেও প্রোডাক্টিভ কিছু করুন ।দেখবেন,অনেক শান্তি পাচ্ছেন ।মনের জোর ও বেড়ে গিয়েছে ।তারপর আস্তে আস্তে এই সময় টা বাড়ান ।
৫)সকালে উঠেই টু ডু লিস্ট বানাবেন,সেই কাজ গুলো শেষ করার আগে আপনি ঘর থেকে বের হবেন না ।জাস্ট খাওয়া,ঘুম,নামাজ,ওয়াশরুম বাদে চার দেয়ালের বাইরে যাওয়া বন্ধ করে দিন ।নিজেকে সময় দিন।নিজেকে সময় দিন বলতে কিন্তু ফোন নিয়ে পরে থাকাকে বুঝাই নাই বাই দ্য ওয়ে!নিজের গোলের পিছনে সময় দিন ।২১ দিন টানা সেই কাজ করার পর নিজের মধ্যেই আপনি আস্তে আস্তে অনেক পরিবর্তন দেখতে পাবেন ।
৬)নিজেকে কখনো ছোট ভাববেন না।কাউকে ছোট করতেও দিবেন না।নিজের কাছে নিজেকে দামী ভাববেন ।নিজের গোল যদি নিজের কাছে ঠিক মনে হয়,তাহলে সেটাই ঠিক ।মানুষ কি বলছে শোনার দরকার নাই ।আপনার কোন বন্ধু নাসা তে চলে গেসে,কে গুগল এ জব পাইসে,এসব আপনার দেখার দরকার নাই।আপনি নিজের প্রোগ্রেস শুধু মাত্র দেখুন ,ডে ওয়ান এ আপনার যতটুক পরিবর্তন হয়েছিল,ডে ৩০ এ কতটুক পরিবর্তন এসেছে সেটা দেখুন ।মানুষের সাথে নিজের তুলনা করতে যাইয়েন না।কারণ কারোর Day 5000 এর সাথে আপনার Day 30 মিলবে না ,আর প্রোগ্রেসটাও সেইম হবে না ।পরিশেষে বলতে চাই,লাইফ টা অনেক ছোট ।মাঝে মধ্যে বেঁচে থাকা টাও অনেক বড় এচিভমেন্ট ।জাস্ট নিজের উপর ভরসা রাখুন,হাল ছেড়ে দিয়েন না ।চেষ্টা চালিয়ে যান।সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রাখুন।আপনার সৃষ্টির্কতা কখনো আপনার সাধ্যের বাইরের কিছু আপনার উপর চাপিয়ে দেন নাই,উনি যা করেন,ভালোর জন্যই করেন ,এটা বিশ্বাস করুন ।পরিবার কে সময় দিন ।নিজেকে ভালোবাসুন আর অনেক হাসি খুশি থাকুন।ধন্যবাদ !