জীবন মানেই কি সংগ্রাম?
জীবন মানেই কি সংগ্রাম?
জীবন মানে কি এই প্রশ্নটা যদি তৃতীয় শ্রেণীর বাচ্চাকে করা হয়, তাহলে সে বলবে জীবন মানেই জল,কারণ সে বইতে পড়েছে জীবনের অপর নাম জল।
ঠিক একই প্রশ্ন যদি শষ্ট শ্রেণীর বাচ্চাকে করা হয়, তাহলে সে বলবে,জীবন মানে পড়াশুনা করা খেলাধুলা করা,কারণ সে এর বাইরে কিছুই বুঝেনা।
ঠিক একই প্রশ্ন যদি গ্রাজুয়েট পাশ করা ব্যাক্তিকে করা হয়, তাহলে সে বলবে, জীবন মানেই একটা চাকরি খুঁজে সংসারের হাল ধরা , কারণ সে পদে পদে এই যন্ত্রণা উপভোগ করছে।
ঠিক একই প্রশ্ন যদি সংসারের হাল ধর ব্যক্তিকে করা হয়, তাহলে সে বলবে, জীবন মানে সকালে উঠে কাজে যাওয়া এবং টাকা উপার্জন করে পরিবারের মুখে হাসি ফুটানো। জীবনের কোন নির্দিষ্ট সংজ্ঞা দেওয়া সম্ভব নয় ,কারণ সময়ের সাথে সাথে এর সংজ্ঞা বদলে যায়।
জীবনকে আরো ভালোভাবে বুঝতে হলে তোমাকে তিনটি জায়গায় যেতে হবে।
১) হাসপাতাল।
২) কারাগার।
৩) শ্মশান বা কবরে।
হাসপাতালে গেলে তুমি বুঝতে পারবে সুস্থ থাকার চেয়ে সুন্দর জিনিস আর কিছুই নয়।
কারাগারে গেলে তুমি বুঝতে পারবে স্বাধীনতার চেয়ে মূল্যবান জিনিস আর কিছুই নয়।
শ্মশান বা কবরে গেলে তুমি বুঝতে পারবে এই পৃথিবীতে কেউ কারো নয়।
তাই জীবনকে হিংসা ঘৃণা ও লোভের প্রভাব থেকে বাঁচিয়ে রাখা চাই।
তাই কবি বলেছেন , ‘জীবন হলো মৃত্যুর কাছ থেকে ঋণ নেওয়া কিছু সময় মাত্র।’
জীবন মানেই তো সংগ্রাম। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখতে পাবো, অনেক মানুষ প্রথমে লাঞ্ছনার স্বিকার হলেও পরে শ্রেষ্ঠতার উদাহরণ দিয়ে এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন।
মহাত্মা গান্ধী প্রথমে খ্যাতি অর্জন করতে না পারলেও, পরে জাতির নায়ক হিসেবে পরিচিতি লাভ করে গিয়েছেন।
আলবার্ট আইনস্টাইন প্রথমে ছাত্র হিসেবে ভালো ছিলেন না কিন্তু পরে বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী হিসেবে পরিচয় দিয়ে গিয়েছেন।
হজরত মুহাম্মদ প্রথমে লাঞ্ছনার স্বিকার হলেও আজ শ্রেষ্টত্বের উদাহরণ দিতে গেলে উনার নাম না বললেই চলেনা।
এইসব মানুষের জীবনি দেখলে বুঝা যায় যে, জীবন মানেই সংগ্রাম।
আরে হ্যাঁ” Life is a game or game is a life.Life is a exam or exam is a life.”
জীবন একটি খেলা অথবা খেলা একটি জীবন। জীবন একটি পরীক্ষা অতবা পরীক্ষা একটি জীবন। এই সম্পূর্ণ পৃথিবী একটা পরীক্ষার হল। আর পরীক্ষার্থীরা হলাম আমরা লোকসকল।
তাই জীবনের সর্বোপরি সংজ্ঞা দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
ভুল হলে ক্ষমা করবেন ,কারণ মানুষ মাত্রই ভুল।