টাইগার খেলে শরীরের কি ক্ষতি হয়?
হ্যাঁ, ক্ষতি হয়।
এনার্জি ড্রিংকস মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর যা বিজ্ঞ ডাক্তাররা স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং তারা এগুলোর ক্ষতিকর দিক নিয়ে অনেক সতর্ক করেছেন।
এসব ড্রিংকস ফরমালিনের চেয়ে কোনো অংশে কম ক্ষতিকর নয়।
গবেষকরা বলেছেন এসব এনার্জি ড্রিংকসে ক্ষতিকর কেমিক্যাল রয়েছে এবং এগুলো মাদকতা ও ফিলিংস তৈরিতে কাজ করে। বেশি মাত্রার ক্যাফেইন শারীরিক নানা রকম ক্ষতির কারণ হয়। যেসব শিশু ও তরুণ নিয়মিত এনার্জি ড্রিংক পান করে তারা এতে আসক্ত হয়ে পড়ে। এরপর ক্রমে বেশি মাত্রায় তা স্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। ক্যাফেইন একটি আসক্তি তৈরি করার মতো উপাদান। এটি কেন্দ্রীয় ও প্রান্তিক স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে। এটা পরিমিত বা মাঝারি মাত্রার হলে, পারফরম্যান্স, ধৈর্য ও মনোযোগ বাড়াতে পারলে তা বেশি মাত্রায় গ্রহণে মারাত্মক ক্ষতি হয়। তা ঘটাতে পারে উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা, পেটের অসুখ ও হার্টের ছন্দে অনিয়ম।
কোল্ড ড্রিংকস ছিপি বা মুখ খোলা মাত্রই ফস করে কিছু গ্যাস বেরিয়ে যায়।বের হওয়া গ্যাসে থাকে কার্বনডাই অক্সাইড, খাবার সোডা বা সোডিয়াম বাই কার্বনেট। এছাড়া থাকে সাইট্রিক এ্যাসিড, টারটারিক এ্যাসিডসহ বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য। পানীয়কে মজাদার করার নিমিত্তে স্যাকারিন, সরবিটল, ম্যাটিটল ছাড়াও অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়।
যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বোতলের মুখ খুললেই সবটুক গ্যাস বের হতে পারে না। তাই ড্রিংকসগুলো পান করার সাথে সাথে দেহে প্রবেশ করে ক্ষতিকর কার্বনডাই অক্সাইড।
অনেক সময় মাত্রারিক্ত সোডিয়াম-বাই-কার্বনেট রক্তে মিলে ক্ষারত্বের মাত্রা বাড়িয়ে অ্যালকালোসিসের সৃষ্টি করে। আর অ্যালকালোসিস কিডনি সমস্যা, অস্থিরতা, শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধাসহ আরও অনেক রোগের জন্ম দেয়।না জানার কারণে ভ্রান্তধারণবশত ও লেবু বা কমলার স্বাদ মনে করে যেসব কোল্ড ড্রিংকস পান করি, সেসব কোমল পানীয় আমাদের দাঁতের এনামেলকে ক্ষয় করে দেয়। কোকাকোলা, সেভেনআপ, পেপসি, স্প্রাইট, ফান্টা, মিরিন্ডা, আরসি, টাইগারসহ আরও অন্যান্য পানীয়ের সোডিয়াম বাই কার্বনেট রক্তচাপ বাড়ায়। উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য এগুলো খুব মারাত্মক ক্ষতির কারণ।