ঠোঁট গোলাপি/লাল করবো কিভাবে?
ঠোঁট গোলাপি/লাল করবো কিভাবে?
1.মধু থেরাপি : মধু একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। ঠোঁটের ত্বকও এর ব্যতিক্রম নয়। মধু আপনার ঠোঁট থেকে কালচেভাব দূর করার সাথে সাথে আপনার ঠোঁটকে কোমল করে তুলবে। রাতে ঘুমানোর আগে সামান্য একটু মধু নিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন সারারাত। কয়েক সপ্তাহ এভাবে প্রতিদিন শোবার পূর্বে ঠোঁটে মধু লাগান। দেখবেন কয়েক সপ্তাহেই ঠোঁটের কালচেভাব দূর হতে শুরু করেছে।
2. লেবুর রস : লেবুর রস আমাদের কাছে খুবই ভালো একটি ব্লিচিং উপাদান হিসেবে পরিচিত। ঠোঁটের কালচেভাব দূর করতে এটি খুবই কার্যকরী একটি উপকরণ। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সামান্য লেবু চিপে তাজা রসটি দিয়ে ঠোঁট খুব ভালোভাবে ম্যাসেজ করুন। নিয়ম মেনে প্রতিদিন এই কাজটি করুন। কয়েকদিনের মধ্যেই ঠোঁটের রঙের পার্থক্য দেখতে পাবেন।
3. চিনি থেরাপি : প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে চিনি ব্যবহার করা হয় অনেক কাজেই। চিনি দিয়ে ঠোঁট স্ক্রাব করলে ঠোঁটের কালচেভাব দূর হওয়ার সাথে সাথে ঠোঁটের মরা চামড়াও দূর হয়। ত্বকের জন্য স্ক্রাবিং যতটা গুরুত্বপূর্ণ ঠোঁটের জন্যও ঠিক তাই। তিন চামচ চিনি ও দুই চামচ বাটার একসাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। সপ্তাহে অন্তত ২ বার এই পেস্টটি দিয়ে ঠোঁট স্ক্রাব করুন। এতে আপনার ঠোঁটের মরা চামড়া দূর হবে এবং কালচেভাব দূর হয়ে ঠোঁটে গোলাপি আভা আসবে। বিটরুট : বিটরুট ঠোঁটের রঙ হালকা করা ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেশ কার্যকরী একটি উপাদান। বিটরুটের রস ঠোঁটে রক্তিম আভা নিয়ে আসে। তাই তাজা বিটরুটের রস ঠোঁটে লাগিয়ে ঠোঁটের কালচেভাব দূর করতে পারেন।
4. বরফ থেরাপি : অনেকেই বরফের এই গুণটি সম্পর্কে ধারণা রাখেন না। যে কোন দাগের ওপর বরফ ঘষলে দাগ হালকা হয়ে যায়। ঠোঁটে এক টুকরো বরফ ঘষুন প্রতিদিন। এতে আপনার ঠোঁটের কালচেভাব দূর হবে। বরফ ঠোঁটের আর্দ্রতার পরিমাণ ঠিক রেখে ঠোঁটকে রুক্ষতার হাত থেকেও পরিত্রাণ দেবে।