তাওবা কাকে বলে?

তাওবা কাকে বলে?

Add Comment
1 Answer(s)

    খারাপ কাজ-গুনাহ, পাপচার, অন্যায়Ñঅবিচার ও আল্লাহর নাফরমানি হতে বান্দা নেক কাজ করার মাধ্যমে তার প্রভুর দিকে ফিরে আসাকে তাওবা বলা হয়। অনেক লোকেরা মনে করে, শুধু মাত্র খারাব কাজ বা গুনাহের কাজ থেকে ক্ষমা চাওয়া বা তা থেকে ফিরে আসার নাম তাওবা। কিন্তু তাদের এ ধরনের ধারণা মোটেই ঠিক না। বরং, এ ক্ষেত্রে সঠিক, নির্ভুল ও গ্রহণযোগ্য কথা হল, যে সব নেক আমল করার জন্য আল্লাহ তা’আলা বান্দাকে নির্দেশ দিয়েছেন তা ছেড়ে দেয়াও গুনাহ-অন্যায়। যারা এ সব নেক আমালগুলো পালন করা ছেড়ে দেয় তাদের অবশ্যই তা ছেড়ে দেয়া হতে তাওবা করা এবং ফিরে আসা, নিষিদ্ধ কাজ করা থেকে তাওবা করার চেয়ে আরও বেশী গুরুত্বপুর্ণ।

    অধিকাংশ মানুষ আল্লাহর অনেক আদেশ, অন্তরের কার্যাদি, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল বা যিকির ছেড়ে দেয়, অথচ তারা জানেই না যে এগুলো সবই আল্লাহর আদেশের অন্তর্ভুক্ত এবং এ গুলো ছেড়ে দেয়া বা এ সব আমল পালন করা হতে বিরত থাকা মারাত্মক অপরাধ ও বড় গুনাহ। অথবা জানা থাকলেও তারা তার পাবন্দি করে না এবং এগুলো ছেড়ে দেয়াতে যে তার পাপ হচ্ছে, তা থেকে ফিরে আসা ও তাওবা করা যে গুরুত্বপূর্ণ বা অতীব জরুরী তা তারা বিশ্বাস করে না। ফলে সত্যিকার জ্ঞান না থাকার কারণে তারা হয়ত পথভ্রষ্টদের দলভুক্ত হয় অথবা অভিশপ্ত সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয়। সত্যকে সত্য বলে জানা সত্ত্বেও তা হতে বিরত থেকে তারা মন্দ পরিণতির অধিকারীই রয়ে গেল।

    মোট কথা, তাওবা বান্দার জীবনের শেষ ও শুরু। তবে তার প্রয়োজন যেমনিভাবে জীবনের শেষাংশে জরুরী অনুরূপভাবে জীবনের প্রথমাংশেও জরুরী। যেমনÑ আল্লাহ তা’আলা বলেন-

    ﴿ وَتُوبُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ لَعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ ٣١ ﴾ [النور : ٣١]

    “হে ঈমাদারগণ তোমরা সকলে আল্লাহর নিকট তাওবা কর নিশ্চয় তোমরা কামিয়াব হবে”।[3] উলে¬খিত আয়াতটি মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে। এ আয়াতে আল্লাহ তা’আলা শুধু ঈমানদার নয় বরং তখনকার সময়ের সবচেয়ে উত্তম মানব যারা জিহাদ, সবর, হিজরতসহ যাবতীয় নেক কাজের জন্য কিয়ামত পর্যন্ত ইতিহাস হয়ে থাকবেন, তাদেরকেও তাওবা করার নির্দেশ দেন এবং তারপর তিনি তাওবা করাকে সফলতা ও কামিয়াবী লাভের কারণ নির্ধারণ করেন। সুতরাং, কামিয়াবী বা সফলতা পাওয়ার একমাত্র উপায় হল আল্লাহর নিকট খালেস তাওবা করা। আল্লাহর দরবারে তাওবা করা ও যাবতীয় গুনাহ হতে ক্ষমা প্রার্থনা ছাড়া কোন ঈমানদারই সফল হতে পারে না।

    Professor Answered on July 11, 2015.
    Add Comment
  • RELATED QUESTIONS

  • POPULAR QUESTIONS

  • LATEST QUESTIONS

  • Your Answer

    By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.