তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত কি ?
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত কি ?
রমজান মাসে রাত জাগরণ করে যাঁরা তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন এবং অপরকে এ ব্যাপারে উৎসাহিত করেন, তাঁরা আল্লাহর অপার রহমতের মধ্যে বিচরণ করেন। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ওই ব্যক্তির ওপর রহমত নাজিল করেন, যিনি রাতে নিদ্রা থেকে জেগে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন এবং তাঁর স্ত্রীকে নিদ্রা থেকে জাগিয়ে দেন। অতঃপর তিনি (তাঁর স্ত্রী) তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন। এমনকি যদি তিনি (স্ত্রী) ঘুম থেকে জাগ্রত হতে না চান, তাহলে তাঁর মুখে পানি ছিটিয়ে দেন।’ (আবু দাউদ ও নাসাঈ) রোজাদার তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি অধিক সম্মানের অধিকারী হন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুসলমানদের মধ্যে আল কোরআনে অভিজ্ঞ ও তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি সম্মানের অধিকারী হবেন।’ (বায়হাকি)
তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। এ জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনো বিনা ওজরে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া ছাড়তেন না। সাহাবিগণও রমজান মাসে নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন। অথচ রোজার মাসে ঐচ্ছিক ইবাদতের দরজা খোলা থাকা সত্ত্বেও বহু মিথ্যাবাদী ও পরনিন্দাকারী রোজাদার রাত জেগে তারাবি ও তাহাজ্জুদ গুজারের ভাগ্যে ক্ষুধা, পিপাসা এবং রাত জাগরণ ছাড়া আর কিছুই জোটে না। রমজান মাসে যেহেতু শেষ রাতে সেহির খাওয়ার জন্য জাগতেই হয়, আর সেহির খাওয়ার আগ পর্যন্ত শেষ রাত একান্ত দোয়া কবুলের সময়; তাই একটু আগেভাগে উঠে সেহিরর আগে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায়ের ও সওয়াব প্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগের সদ্ব্যবহার করা উচিত।