দাঁত ও মাড়ির সমস্যা প্রতিরোধের উপায় কি?

দাঁত ও মাড়ির সমস্যা প্রতিরোধের উপায় কি?

Add Comment
1 Answer(s)

    কথায় বলে ‘দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম কেউ বোঝে না’। কথাটি বেশ সত্যি। কারণ দেহের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের যত্ন ভালোভাবে নিলেও আমরা দাঁতের যত্নে বলতে গেলে কিছুই করি না। সেকারণেই দুদিন পর পর দাঁতে ব্যথায় কাতর হয়ে পড়ি। আর দাঁতের ব্যথা কতোটা ভয়াবহ যন্ত্রণার তা সকলেরই কমবেশি জানা রয়েছে। তাই দাঁত ও মাড়ির যত্ন নেয়া অনেক বেশি জরুরী। চলুন তবে আজ জেনে নেয়া যাক দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায় যে কাজগুলো করা অনেক জরুরী।

    ১) নিয়মিত দাড় ব্রাশ করুন
    ছোটো বড় সকলেই আলসেমি করে দুবেলা দাঁত ব্রাশ করেন না। ফলে দাঁতে ক্যাভিটির সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। তাই দু বেলা নিয়মিত দাঁত ব্রাশ থেকে একেবারেই বিরত থাকবেন না। অভ্যাস গড়ে তুলুন।

    ২) মুখের চোয়ালের ব্যায়াম করুন

    এই কাজটি যে জরুরী তা অনেকেই জানেন না। কিন্তু মাড়ির সুরক্ষায় মুখের চোয়ালের ব্যায়াম অতি জরুরী। প্রতিদিনই চোয়ালের ব্যায়াম করুন। মুখ খোলা ও বন্ধ করুন। মুখ খোলার সময় একটু কট করে সামান্য আওয়াজ পেলে ভয় পাবেন না। এটি সাধারণ ব্যাপার। এই ব্যায়ামটি ২ মিনিট করুন প্রতিদিন। অন্যথায় আপনি সুগার ফ্রি চুইংগাম চিবোতে পারেন।

    ৩) জিহ্বা পরিস্কার রাখুন

    আমরা দাঁত ব্রাশ প্রতিদিনই করি কিন্তু জিহ্বা পরিস্কারের কথা ভুলে যাই। কোনো গুরুত্ব দিই না। এই ভুল কাজটি করবেন না। প্রতিবার ব্রাশ করার সাথে সাথে জিহ্বা পরিস্কার করা অবশ্যই দরকার। কারন অপরিষ্কার জিহ্বার জন্য দাঁত ও মাড়ির অনেক ক্ষতি হয়।

    ৪) চিনি ও চিনি যুক্ত খাবার কম খাবেন

    চিনি দাঁত ও মাড়ির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। চিনি মুখে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দেয়। এতে দাঁত ক্ষয় এবং মাড়ির রক্ত পড়ার সমস্যা হয়। যা পরবর্তীতে মাড়ির ইনফেকশনে পরিনত হয়। এছাড়াও ব্যাকটেরিয়ার কারণে মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। সুতরাং যতটা সম্ভব চিনি এড়িয়ে চলবেন।

    ৫) পান, সিগারেট ও তামাক এড়িয়ে চলুন

    পান, সিগারেট ও তামাক দাঁত ও মাড়ি উভয়ের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এই ধরনের মাদক দ্রব্য দাঁতের গোঁড়ায় ও মাড়িতে ইনফেকশনের সমস্যা তৈরি করে ও পরবর্তীতে মাড়ির ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। তাই পান, সিগারেট ও তামাককে না বলুন।

    ৬) নিয়মিত চেকআপ করান

    দাঁতের কিংবা মাড়ির ব্যাথায় আমরা খুব কমই ডাক্তারের কাছে যাই। কিন্তু সামান্য ব্যাথা অবহেলা করলে তা পরবর্তীতে অনেক মারাত্মক আকার ধারন করতে পারে। সুতরাং নিয়মিত চেকআপ করান, দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখুন।

    Professor Answered on April 4, 2015.
    Add Comment
  • RELATED QUESTIONS

  • POPULAR QUESTIONS

  • LATEST QUESTIONS

  • Your Answer

    By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.