সম্প্রতি টাইমস অব ইনডিয়ার এক প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘস্থায়ী এবং সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য বেশ কয়েকটি বিষয়ের কথা তুলে ধরেছেন। কারণ আধুনিকতার ছোয়ায় আজ ‘দীর্ঘস্থায়ী দাম্পত্য জীবন’ কথাটি এখন একটি অবাস্তব বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাপী বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা রীতিমতো বেড়েই চলেছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার কোনও দ্বন্দ্ব সমাধানের সহজ উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে একে অন্যকে ত্যাগ করা।
এভাবে অতিরিক্ত বিবাহ বিচ্ছেদের ফলে বিপাকে পড়ছে তাদের সন্তানেরা। তাদের সামাজিক ও মানসিক বিকাশ ঠিকমতো হচ্ছে না। তবে এমনটি না করে স্বামী-স্ত্রী উভয়ই যদি কিছু নিয়মকানুন মেনে চলেন তাহলে দাম্পত্য জীবন দীর্ঘস্থায়ী করা সম্ভব।
ছাড় দিতে শেখা :-
অনেকে মনে করেন, অন্যকে ছাড় দেয়া মানে নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করা। কিন্তু বিষয়টি মোটেও ঠিক নয়। একে অন্যকে ছাড় দিয়ে চললে তাদের মধ্যকার সম্পর্ক আরও বেশি মজবুত হয় ও দাম্পত্য জীবন সুখের হয়।
একে অপরকে সম্মান দেয়া :-
স্বামী-স্ত্রীর প্রত্যেকেরই উচিত একে অপরকে সম্মান দিয়ে কথা বলা। সঙ্গীর সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো। তার কোনও সিদ্ধান্ত আপনার পছন্দ নাও হতে পারে তবে তাকে তা নিয়ে এমনভাবে কোনও কিছু বলবেন না যাতে তিনি কষ্ট পান।
এ সম্পর্কে ক্লিনিক্যাল সাইকোলোজিস্ট সীমা হিঙ্গোরাণী বলেছেন, ‘একে অপরকে সম্মান দেখানো ও যথাযোগ্য মর্যাদা প্রদর্শনের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার বন্ধন অনেক বেশি শক্ত হয়।’
অর্থ লেনদেনের বিষয় গোপন না করা :-
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এমন হতে পারে যে, তাদের উভয়ের আলাদা আলাদা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে পারে। কিন্তু কে কোথায় কতো টাকা ব্যয় করছেন, আয় করছেন তা অবশ্যই একে অপরকে জানাতে হবে।
সর্বত্র যোগাযোগ রক্ষা করা :-
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যদি যোগাযোগের ঘাটতি থাকে তাহলে সেটি দাম্পত্য জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আপনার অফিস, আদালত, ব্যবসা যাই থাকুক না কেন, সব কাজের মধ্যে অন্তত ১৫-২০ মিনিট সময় করে স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করুন।
শক্ত বন্ধন তৈরি করা :-
দুই জনের মধ্যে বন্ধন শক্ত করার অন্যতম উপায় হচ্ছে, মাঝে মাঝে দুই জন বসে নরম স্বরে কথা বলা, একসঙ্গে বসে খাবার খাওয়া, কোথাও বেড়াতে যাওয়া। বন্ধন শক্ত থাকলে দুই জনের মধ্যে সহজে কোনও দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয় না।
রোমান্স না হারানো :-
বিবাহ বিষয়ক পরামর্শক ড. সঞ্জয় মুখার্জি বলেছেন, ‘বিবাহ যতো আগেই হোক না কেন নিজের স্বামী বা স্ত্রীকে পুরাতন মনে করবেন না। সবসময় নতুন মনে করবেন। দুই জনে মিলে বেড়াতে যাবেন, মজা করবেন।’
এছাড়া আপনি আপনার মতো করে বা কোনও মনোবিজ্ঞানীর পরামর্শ নিয়ে আরও কিছু উপায় মেনে চলতে পারেন। যেগুলো আপনার দাম্পত্য জীবন সুখী ও দীর্ঘস্থায়ী করবে।