দুর্বল মস্তিষ্ক কীভাবে উন্নত করতে পারি?
এত্ত সুন্দর প্রশ্ন!!! প্রশ্নটা দেখে লোভ সামলাইতে পারলাম তাই এসে বকবকানি শুরু করে দিলাম। আর হ্যা, প্রশ্নকর্তাকে আমার পক্ষ থেকে লাল গোলাপের শুভেচ্ছা🌹🌹🌹
০১)আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে পারেন সেটি হইলো পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। বর্তমানে মানুষের ঘুমের পরিমাণ কমে আসছে। পৃথিবী একদিকে উল্টে গেলেও ঘুমের শিডিউলে কোনো মাফ দিবেন না। আপনি যেমন চব্বিশঘণ্টা একটানা কাজ করতে পারবেন না ঠিক তেমনি আপনার মহা মুল্যবান মগজ মহোদয়ও চব্বিশঘণ্টা কাজ করতে পারবেন না। আপনার যেমন রেস্টের প্রয়োজন মগজেরও রেস্টের প্রয়োজন আছে। সো সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করেন বা নাই করেন। কোনো অজুহাতে পর্যাপ্ত ঘুম থেকে ছুটা যাবে না। যদি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে পর্যাপ্ত ঘুমটা রুটিনের উপরে রাখবেন। আপনার ব্রেইনের জন্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ঘুম,ঘুম এবং ঘুম।।। সো বেশি বেশি করে ঘুমান, ঘুমান এবং ঘুমান।
আমি কিন্তু বাদামের মারাত্মক ভক্ত!!! আপনারা কেউ বাদামের ভক্ত আছেন নাকি?
০৩)বই পড়া শুরু করুন। পৃথিবীর যত জিনিয়াস আছেন সবাই বই পড়ার জন্যে সাজেস্ট করেছেন। বই পড়ার মাধ্যমে নতুন কিছু জানবেন। শুধু জানবেনই না আপনার ব্রেইন নতুন কিছু নিয়ে চিন্তা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এই যে ধরুন নিচের লাইনগুলো পড়ার সময় আপনি মনে মনে একটু কল্পনা করবেন প্লিজ,
“আকাশের চমৎকার জোৎস্নার চাঁদের আলোয় আলোকিত চারপাশ, সামনেই সাগরের ঢেউয়ের মধুর আওয়াজ কানে ভেসে আসছে। পাশে বসা প্রিয়মানুষের সাথে বসে বসে চা খাচ্ছি আর সাগরের দিকে তাকিয়ে আছি। ঠিক সেই সময় বিদ্যুৎ চলে গেল আর পুরো চারপাশ জোৎস্নার আলোয় আলোকিত হয়ে উঠল। প্রিয় মানুষটা বলল, চলো এমরান সাগরের পারে একটু হেঁটে আসি। এমরান তখন তার প্রিয় মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে আদরের সহিত বলল, একটু দাড়াও কুরাতে গিয়ে কিভাবে দুর্বল মস্তিষ্ক শক্তিশালী করা যায় নিয়ে উত্তরটা লিখে আসি।” 😁😁
দেখলেন তো আপনাকে এক পলকে সাগরের পার থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসলাম। তাছাড়া বই পড়ার উপকারীতা বলে শেষ করা যাবে না। তারপরেও জানার আগ্রহ থাকলে একটু কষ্ট করে আমার প্রোফাইল ঘুরে আসার নিমন্ত্রণ রইল!!!
০৪) ব্রেইনকে নিয়ে খেলবেন। আচ্ছা ভাই, একজন মানুষ মাঠে গিয়ে কাঁদা মাটির মধ্যে গিয়ে না খেলাধুলা, দৌড়াদৌড়ি, মারামারি না করলে সে কিভাবে শক্তিশালী হইবে? সে তো ফার্মের মুরগীর মতো ইয়া বড় মোটা হইবে কিন্তু শরীরে তো শক্তি চর্ট লাইট দিয়ে খুজেও পাওয়া যাবে না। তেমনি ব্রেইনকে নিয়ে যদি শুধু ঘুমান আর খাওন খেতে থাকেন তাহলে কি হবে?? আপনি মাঠে নামতে হবে।।। এখন প্রশ্ন হইলো ব্রেইনকে নিয়ে খেলবেন কেমনে!!
*পারলে বড় বড় ম্যাথ করেন। বড় বড় ম্যাথ না পারলে ছোটখাটো যোগ,বিয়োগ, গুন এবং ভাগের অংক করিয়েন খাতা কলম ছাড়া ম্যাথ যদি ভাল্লাগেনা তাহলে কোনো চিন্তা না করে ম্যাথ করা বাদদেন। আমাদের কাছে আরও অপশন আছে।।।
*কোনোদিন ১০০ থেকে উল্টোভাবে গননা করে ০১ এর কোটায় এসেছেন? এভাবে কয়বার গননা করেছেন কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আর যদি গননা না করেন তাহলে উলটা গননা শুরু করেন দেন। দেখবেন রকেট গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে আপনার ব্রেইন। 🚀🚀
*রুবিক্স কিউব খেলতে পারেন। এটা কিন্তু খুউব এফেক্টিভ।
*শেষেরটা হইলো ধাঁধা সলভ করতে পারেন। ধাঁধা সলভ করতে গিয়ে আপনি মগজটাকে নিয়ে কতভাবে খেলবেন নিজেও ভেবে পাবেন না।নিচের দুইটা ধাঁধা সলভ করে কমেন্টে জানায়েন।
০১) একটা দৌড় প্রতিযোগিতায় আপনি দ্বিতীয় রানারকে টপকে গেলেন। আপনি এখন এই দৌড়ে কত নম্বরে আছেন?
০২) আপনি পানির মধ্য দিয়ে কিভাবে হেটে যাবেন?
উত্তরগুলো কমেন্ট দেখার আগে জানাতে ভুলবেন না।
০৫) নতুন কিছু করুন। যা ইচ্ছা তাই করুন। মানে ব্রেইনটাকে স্ট্রেসমুক্ত করে চিল চিল ভাব নিয়ে আসুন। এই যে ধরেন আমার মত আপনার হঠাৎ ইচ্ছা হইলো হাতির ছবি আঁকার। ছবি আঁকার পর আবিস্কার করলেন আপনি হাতি না এঁকে গন্ডার একে ফেলেছেন😁😁 তখন যে আনন্দ পাবেন সেই আনন্দ আর কিছুতেই পাবেন না ভাই।!!! কিংবা ইচ্ছা হইলো বাগান করার। বাগান করার পর যখন প্রথম ফুল ফুটবে সেই হাসিটা কখনো ফিরে পাবেন না। এককথায় যা ইচ্ছা করেন তবে সেটা যেন হয় ভালো জিনিস।
০৬) মাদক থেকে একশোহাত দূরে থাকবেন। বিড়ি, সিগারেট, মদ, গাঞ্জা, হিরোইন, ফেন্সিডিল, ইয়াবা, ড্রাগই ইত্যাদির খাওয়ার ইচ্ছা হইলে সেই ইচ্ছাটারে মাঠিতে পুঁতে পানি ডালেন।।।। কারণ আপনার ব্রেইন শক্তিশালীর বদলে এইসব দিনদিন টাল করে তুলবে।
০৭)গান শুনতে পারেন।সঙ্গীত যে মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করতে পারে, তার প্রমাণ রয়েছে।কেউ গান শোনার সময় যদি তার মস্তিষ্কের ছবি তোলা যায়, তাহলে দেখা যাবে পুরো মস্তিষ্ক সুরের প্রভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।মস্তিষ্ক সঙ্গীতের স্মৃতি দীর্ঘদিন ধরে রাখতে পারে।এটা ডিমেনশিয়ার মত মানসিক অবস্থা ঠেকাতে বেশ কার্যকরী।
০৮) মেডিটেশন করুন। মেডিটেশন হচ্ছে ব্রেইনের জন্যে খুব উপকারী একটা জিনিস। জানি এখানে অনেকে মেডিটেশন করেন নি আবার অনেকে করেছেন। কিন্তু ভাই বিশ্বাস করেন, মেডিটেশন করলে ব্রেইন একেবারে নিউট্রাল হয়ে যায় এবং নিজেকে অন্যগ্রহের প্রানী মনে হয় যেখানে কোনো চাপ নাই আবার আনন্দ নাই।মাঝামাঝি একটা অবস্থা!!!! মজার ব্যাপার হচ্ছে আমার মাথাব্যথা করলেই মেডিটেশনে বসে পড়ি। আর আশ্চর্যের ব্যাপার হলো যখন মেডিটেশন করি তখন মাথা ব্যাথা মহাবিশ্বে হারিয়ে যায়। আপনার মাথাব্যথা করুক আর নাহি করুক প্রতিদিন মেডিটেশন করবেন। একবার মেডিটেশন করে দেখেন পরে এসে কমেন্টে অনুভূতি বলুন যাতে অন্যরা উৎসাহিত হয়। আর হ্যা, এখানে অনেক আবেগি এবং হিন্দুবিদ্বেষী মুসলমান ভাই/আপুরা এসে এটা বলবেন না যে, মেডিটেশন হিন্দুরা করে এটা মুসলমানরা করা যাবে না। মেডিটেশনে ধর্ম আনবেন না আগে বলে কথাটা বলে রাখলাম।
০৯)হস্তমৈথুন এ অভ্যস্ত হবেন না । শুনে অবাক হয়ে যাচ্ছেন নাতো। উত্তরদাতা কেমনে বলেন হস্তমৈথুন করা যাবে না। হ্যা, অনেকে বলে এতে রিল্যাক্স ফিল হয়। কিন্তু এই রিল্যাক্সের জন্যে স্বাস্থ্যকে রিস্কে ফেলবেন না। সামান্য ব্রেইনের রিল্যাক্সের জন্যে স্বাস্থ্যকে ক্ষতি করা উচিত নহে। এতে যে যাই বলুক।
১০) পর্ণগ্রাফি থেকে দূরে থাকবেন। পর্ণ যতই দেখবেন আপনি ততই এতে আসক্তি হয়ে পড়বেন। এবং আপনার ব্রেইনে সবসময় সাধারণ বিষয়কে পর্ণগ্রাফির মত চিন্তা করবে। মানি আপনার মাইন্ডটা পৃথিবীময় না হয়ে পর্ণময় হয়ে যাবে। সো এটা থেকে যত পারেন দূরে থাকেন। আর হ্যা,পর্ণ নিয়ে আমার আগের উত্তরে অনেক পর্ণবিশেষজ্ঞরা(যারা সম্ভবত বর্তমানে এডিক্টেড) এসে একগাদা লিংক দিয়ে প্রমান করার ট্রাই করবে পর্ণগ্রাফি দেখা ভালো। কিন্তু আপনি যতভাবে ট্রাই করেন না কেন আমি বলবে পর্ণ দেখা ভালো না,না,না,না,না,না।