“না” বলার সহজ উপায় কী?
“না” বলার সহজ উপায় কী?
আপনি কাউকে ‘না’ বলার আগে কি আরো কিছুক্ষণ ভাবতে চাইছেন? আপনি কি নিশ্চিত জানেন যে, আপনার কাজটি করতে ভালো লাগছে না বা লাগবে না? তাহলে বেশি না ভেবে কিংবা কিছুদিন না দেখে দ্রুত ‘না’ বলে দিন। আর তাকেই বলুন যাকে বলাটা দরকার। অন্যথায়, ব্যাপারটি মানসিকভাবে আপনাকে আরো সমস্যায় ফেলে দেবে। দেখবেন, খুব হালকা লাগবে।
‘না’ বলুন সঠিকভাবে
‘না’ বলার বেশ কিছু উপায় আছে। হতে পারে আপনি অপর পক্ষকে বলে দিলেন যে, আপনি কাজটি করতে পারছেন না। আবার আপনি তাকে এটাও বলতে পারেন যে, আপনি এখন কাজটি করতে পারছেন না। তবে ভবিষ্যতে সেটা করার চেষ্টা করবেন। তবে এতে আপনি নিজেকে খুব বেশি নেতিবাচক কিংবা নিজের উপরে বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে ফেলার মতো কাজ করে ফেলবেন। সহজভাবে বলে দিন যে, আপনি তার কাজটি করতে আগ্রহী ছিলেন এবং আপনার খুব ভালো লাগছে যে, তিনি আপনার কাছ থেকে উপকৃত হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আপনার কাছে এখন কাজটি করার জন্য পর্যাপ্ত সময় নেই। এতে আপনিও নেতিবাচক হবেন না এবং আপনার উপরে কোনো বাড়তি দায়িত্বও থাকবে না।
সতর্ক থাকুন
রাস্তায়, দোকানে কিংবা বাড়িতে এমন ঘটনা ঘটতেই পারে যে, কেউ আপনাকে কাজের জন্য অনেক টাকা দিয়েছে কিংবা কিছু কেনার ক্ষেত্রে, আরো অনেকে সেই দোকান থেকে পোশাক কিনেছে বলে মানসিকভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হলো। এতে আপনার উপর মানসিক চাপ পড়বে সেই পোশাকটি কেনার কিংবা কিছু টাকা নেওয়ার। তাই সতর্ক থাকুন এবং নিজের সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিন।
না বলার সময় আবেগী হবেন না;
আবেগী হবেন না
অনেক সময় বন্ধু কিংবা আত্মীয়কে ‘না’ বলতে পারি না আমরা অনেকে। ফলে দিন শেষে সমস্যা আমাদেরই হয়। তাই সম্পর্ককে সম্পর্কের জায়গায় রেখে সিদ্ধান্ত নিন। এই ব্যাপারে আবেগী হবেন না।
কোমল এবং কঠোর হন
কাউকে ‘না’ বলার সময় একইসাথে কোমল এবং কঠোর হতে শিখুন। তাকে কোমলভাবে ‘না’ বলুন। তবে সেইসাথে কঠোরভাবেও বলুন, যাতে আপনাকে দুর্বল ভেবে আবার প্রশ্ন করার সুযোগ না পায় পাশের মানুষটি।
স্বার্থপর হয়ে উঠুন
মানুষ হিসেবে মাঝেমধ্যে আমাদের উচিত স্বার্থপর হয়ে ওঠা। যে কাজটি আপনার পছন্দ নয় সেটিকে ‘না’ বলার সময়েও স্বার্থপর হয়ে উঠুন। অন্যের নয়, বরং নিজের স্বার্থকে এগিয়ে রাখুন। না হলে দিনশেষে ভুগতে হবে আপনাকেই!