নিজেকে ভালো রাখতে কি করা উচিত?
নিজেকে ভালো রাখতে কি করা উচিত?
মনে রাখবেন এই দুনিয়াতে শুধুমাত্র ফলাফলেরই মূল্য আছে। প্রচেষ্টা, উদ্যম, ইচ্ছাশক্তি, মনোবল এসব গুণগুলি তখনই গুরুত্ব পাবে যখন ফলাফল আপনার পক্ষে থাকবে।
সকলেরই মনে আছে ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত ভারত পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের কথা। সকলেই এই ম্যাচের নায়ক হিসেবে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে বাহবা দিয়ে থাকেন। কিন্তু কেউ কখনো ওই সময়ের পাকিস্তানের অন্যতম ব্যাটসম্যান মিসবা উল হকের উদ্যম, প্রচেষ্ঠা এবং ইচ্ছা শক্তির আলোচনা সেভাবে করেন না।
পাকিস্তান অনেক আগেই হারের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ছিল। মিসবা উল হকের শেষ মুহূর্তে ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠা ভারতকে প্রায় হারের মুখ দেখাচ্ছিল। শেষ ওভারে পাকিস্তানের জয়ের জন্য খুব সামান্য রান বাকি ছিল। ওই সময়ের পরিস্থিতি অনুযায়ী সেই সামান্য রান মিসবা উল হকের পক্ষে কোনো সমস্যাই ছিল না। কিন্তু একটি ভুল শর্ট সিলেকশনের মাধ্যমে মিসবাউল হক শান্তা কুমারন সিশান্তের হাতে ক্যাচ আউট হয়ে যান। ওই মুহূর্তেই একজন সম্ভাব্য অতিমানব(মিসবা উল হক) সাধারণ মানুষে পরিবর্তিত হয়ে যান এবং অপরজন একজন সাধারণ মানুষ(মহেন্দ্র সিং ধোনি) থেকে অতিমানবে রূপান্তরিত হয়ে যান।
আপনি কি মনে করেন, আপনি দুনিয়াতে কোন কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন? কোন কিছু নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী ঘটাতে পারেন? উত্তর হচ্ছে, না নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না, ঘটাতে পারেন না।
যখনই কোন কাজ করবেন নিজের প্রচেষ্টার সর্বোচ্চ পরিমাণ প্রয়োগ করুন। আপনার পক্ষে যেটা সম্ভব সব করুন। এরপর ফলাফলের আশা ভুলে গিয়ে অন্য কাজে মন দিন। ফলাফলের চিন্তা একদম করবেন না। ফলাফল আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী হলে আপনি খুশি হবেন এবং অন্য একটি প্রচেষ্টা আগের থেকে বেশি উদ্যমে করতে শুরু করবেন। ফলাফল আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী না হলে আপনাকে তবুও কাজ করতে হবে জীবনকে ভালো করার উদ্দেশ্যে। কাজ আপনাকে করতেই হবে। সে ফলাফল আপনার পক্ষে যাক কি বিপক্ষে!
এভাবে শুধু কাজ করার ইচ্ছা রাখুন এবং শুধুমাত্র আপনার কাজের উপরে মনযোগ নিবেশ করুন। জীবনে ভালো থাকবেন।