নিজের মানসিক স্বাস্থ্য কীভাবে উন্নত করা সম্ভব?

    নিজের মানসিক স্বাস্থ্য কীভাবে উন্নত করা সম্ভব?

    Add Comment
    1 Answer(s)

      আমাদের জীবনে আমরা সবাই মানিসক সমস্যার মুখোমুখি হই। আমােদর কারো রাগের সমস্যা রয়েছ আবার কারো সম্পর্কের সমস্যা রয়েছে। আমাদের মাঝে কেউ কেউ হয়তো বন্ধু-বান্ধব বা আত্নীয়ের দ্বারা প্রতারিত হয়েছি, অথবা কেউ কেউ শৈশবে মানসিক আঘাত পেয়েছি বা অন্যের বিকৃত রুচির শিকার হয়েছি। আমাদের হয়তো বা কোনো শারীরিক রোগ হতে পারে, আবার কেউ কেউ দৈনন্দিন জীবনের চাপ সামলাতে পারে না। এই সকল সমস্ত সমস্যা মানিসক স্বাস্থ্যের অধীনে রয়েছে। আমােদর সকলের এই সমস্যাগুলো সমাধান করা অতীব জরুরী। অন্যথায়, অদূর ভবিষ্যতে আমরা এই সমস্যাগুলো থেকে সৃষ্ট নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হব।

      মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি বা স্থিতিশীল রাখার জন্য আমাদের সবাইকে জীবনের স্তম্ভ গুলোকে ঠিক রাখতে হবে বা তাদের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।

      জীবেনর স্তম্ভঃ

      নিচে আমাদের জীবনের ৮ টি প্রয়োজনীয় জীবনের স্তম্ভ নিয়ে বিস্তারিতভাবে বলা হলোঃ

      জীবনের উদ্দেশ্যঃ

      আমাদের অবশ্যই আমাদের জীবেনর জন্য একটা উদ্দেশ্য নির্ধারণ করতে হবে। যা আমাদের অনেক দূরে যেতে সাহায্য করবে। ৩০ বছরের জন্য একটা পরিকল্পনা সেট করার চেষ্টা করতে হবে।

      কোন একটা কাজ করাঃ

      জীবনের এক্টি প্রবাহ বা জৈবিক ছন্দ বজায় রাখার জন্য, আমােদর প্রত্যেকের একটি চাকরি করা দরকার। ২৫ বা ৩০ বয়সের যে কেউ চাকরি না থাকলে হতাশায় ভোগেন। একজন শিক্ষার্থীর জন্য স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়া হল তার কাজ।

      বন্ধুদের সাথে সম্পর্কঃ

      আমাদের প্রত্যেকের ভালো বন্ধু থাকা দরকার যারা আমাদের ভালো পথে পরিচালিত করে।

      পরিবারঃ

      পরিবারের সদস্যদের সাথে ভালো সম্পর্ক আমাদের সুখী থাকতে সাহায্য করে।

      আসক্তি কাটিয়ে ওঠাঃ

      আমাদের অবশ্যই মাদক, স্যোশাল মিডিয়া, জুয়া, খাবার, যৌনমিলন ইত্যাদির যেকোনো আসক্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে হবে।

      শারীরিক অসুস্থতাঃ

      দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক অসুস্থতা মানসিক রোগের দিকে পরিচালিত করে।

      দ্বিতীয় জীবনঃ

      আমােদর সবারই দ্বিতীয় জীবন প্রয়োজন।

      দ্বিতীয় জীবন কী?

      যে জিনিসগুলো আমাকে সক্রিয় করে তোলে বা আমি করতে ভালোবাসি।

      যেমনঃ বই পড়া, খেলাধুলা করা, ভ্রমণ। আমার ক্ষেত্রে বই পড়া দ্বিতীয় জীবন।

      আচরণগত প্যাটার্ন সংশোধনঃ

      ঘুম, নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্যাভাস, শারীরিক ব্যায়াম, মেডিটেশন করার অভ্যাসের প্রয়োজন।

      আশা করি আপনার জীবনের স্তম্ভগুলোর মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকলে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।

      হ্যাপি রিডিং📚

      Professor Answered 2 days ago.
      Add Comment
    • RELATED QUESTIONS

    • POPULAR QUESTIONS

    • LATEST QUESTIONS

    • Your Answer

      By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.