নিষ্প্রান চুলকে কিভাবে খুশকি মুক্ত আর প্রাণবন্ত করতে পারি?
নিষ্প্রান চুলকে কিভাবে খুশকি মুক্ত আর প্রাণবন্ত করতে পারি?
খুশকি হলো মাথার ত্বকের শুকনো, মৃত কোষ৷ স্বাভাবিক নিয়মে কিছু মৃত কোষ সবার মাথাতেই থাকে। কিন্তু চোখে পড়ার আগেই সেগুলো ঝরে পড়ে যায়৷ সমস্যাটা যখন বাড়ে, তখনই তা বাইরে থেকে চোখে পড়ে৷ মাথার তালু চুলকায়, আবার চুলকোতে গেলেই উপরে উঠে আসে মৃত কোষ, মানে খুশকি। চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে বা মাথা চুলকালে জামাকাপড় ভরে যায় খুশকিতে৷ এর কারণে প্রচুর চুলও ওঠে।
খুশকি যাতে না হয় সেজন্য কয়েকটি দিকে খেয়াল রাখতে হবে:
১) নিয়মিত শ্যাম্পু করবেন। চুল অপরিষ্কার হয়ে থাকা মানে স্ক্যাল্পও অপরিষ্কার হয়ে থাকবে। এতে খুশকির সমস্যা বাড়বে বৈ কমবে না।
২) শ্যাম্পু করার পর চুল আর স্ক্যাল্প জল দিয়ে ভালো করে ধোবেন। কোনো শ্যাম্পু যেন অবশিষ্ট না থাকে।
৩) কন্ডিশনার ব্যবহার করলে তা শুধু চুলেই লাগাবেন, স্ক্যাল্পে নয়। দেখবেন কন্ডিশনারের বোতলের গায়েও স্ক্যাল্পে লাগানোর কথা বলা থাকে না।
৪) গরম জলে চুল ধোবেন না।
এবার বলি খুশকি নিরাময়ের উপায়:
১) প্রথমটি আমি নিজের উপর প্রয়োগ করেছিলাম। আমার খুশকির সমস্যা নেই। কিন্তু একবার কিভাবে জানিনা হয়ে গেছিল। অর্ধেক পাতিলেবুর রস আর সমপরিমাণ নারকেল তেল মিশিয়ে স্ক্যাল্পে দুঘন্টা লাগিয়ে রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন। আমার হালকা খুশকি হয়েছিল বলে একবারেই সেরে গেছে। বেশি থাকলে হয়তো আরো কয়েকবার লাগতে হতে পারে।
২) এক মুঠো নিমপাতা ভিজিয়ে দিন এক মগ গরম জলে৷ সারা রাত এইভাবে রাখুন৷ পরদিন স্নান সেরে মাথা ধুয়ে নিন এই জলে, তাতেও নিয়ন্ত্রণে আসবে খুশকি৷ নিমের নিয়মিত ব্যবহার আপনার মাথার তালুর চুলকানি কমাবে, যে ফাঙ্গাসের কারণে খুশকির বাড়বাড়ন্ত হয়, সেগুলিকে ক্রমশ অকেজো করে দেয় নিমের নির্যাস৷
৩) বাড়াবাড়ি রকমের খুশকি হলে বাজারচলতি কোনো ভালো খুশকি নিরাময়যোগ্য শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
৪) সপ্তাহে দুবার স্ক্যাল্পে অয়েল ম্যাসেজিং করতে পারেন।
নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খান, সারাদিনে প্রচুর জল পান করুন, সুস্থ জীবনযাপনের উপর জোর দিন৷ তার সাথে চুল আর স্ক্যাল্পকে পরিষ্কার রাখুন। তাহলে আর খুশকির সমস্যায় পড়তে হবে না। আর খুশকি না থাকলে আপনার চুলও সুন্দর আর প্রানবন্ত থাকবে।