পায়ে হাত দিয়ে সালাম করা কি ইসলামী শরীয়াভুক্ত?
পায়ে হাত দিয়ে মাথা নতজানু হয়ে সালাম করা ইসলামের কোন বিধান নয়। বরং বলা হয়েছে যে, মুসলমান নত হবে একমাত্র আল্লহ রব্বুল আলামীনের কাছে। সে আর কারও কাছে মাথা নত করবেনা। এবিষয়ে হাদিসে রসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন যে, “আমি যদি কাউকে সেজদা করার অনুমতি দিতাম, তাহলে সেটা হত স্ত্রীর জন্য তার স্বামীকে সেজদা করা”। এধরনের প্রচলিত সালাম পদ্ধতিটা পুরোপুরি হিন্দু সংস্কৃতি। হিন্দুরা তাদের দেবতার পায়ে মাথা রেখে কুর্ণিশ করে। ঠিক যে পদ্ধতিতে তারা দেবতাকে কুর্ণিশ করে, সে একই রকমের হাতের ভঙ্গিতে তারা কোন গুরুজন বা শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিকে দাঁড়িয়ে কুর্ণিশ করে। তাদের মধ্যে বিশেষ শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিদেরকে পায়ে হাত দিয়ে মাথা নত করে সালাম করে। অনেক সময় আবার দাঁড়িয়ে থেকেই দেহটা নত করে হাত সে ব্যক্তির পায়ে ছুঁয়ায়ে নিজের হাতটা মাথার উপর দিয়ে বুলিয়ে দেয় ইত্যাদি। মুসলমানদের জন্য আল্লহ রব্বুল আলামীন বলেছেন, “তোমদের জন্য যারা দোয়া করে, তাদের জন্য তোমরা দোয়া কর তদপেক্ষা উত্তম অথবা তদনুরূপ”। সে হিসাবে ইসলামে সালামের ব্যবস্থা আছে সরাসরি মুখের মাধ্যমে আওয়াজ করে। অথচ হিন্দুদের সে কুর্ণিশ পদ্ধতি-ই আমাদের বর্তমান ইসলামী সমাজের একটা বিশেষ আদবের বিষয়।
উদাহরণস্বরূপ আমি বিবাহ করার সময় সিদ্ধান্ত নিলাম যে, কাউকে পায়ে হাত দিয়ে বসে সালাম করবনা। যেহেতু সময়টি ছিল দুই যুগ আগে, তাই আমার আত্মীয়দের মধ্যে থেকেই প্রচুর চাপের সম্মুখীন হলাম। অতঃপর শুধুমাত্র আমার শশুর- শাশুড়িকে মাথা সোজা করে সালাম করে পরবর্তীতে বুঝিয়ে দিলাম যে, পায়ে হাত দিয়ে সালাম করা জায়েজ নেই, তাই আমি আর কোন দিন আপনাদেরকে এইভাবে সালাম করবনা। আমার মেয়ে বিবাহ দেয়ার সময়ও জামাইকে বলে দিয়েছি যে, “জীবনে আর কোন দিন আমাকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করবেনা”, কারণ: এপদ্ধতি ইসলামে নিষিদ্ধ। অতএব প্রতিজন ব্যক্তিই যদি যার-যার যায়গায় থেকে এপদ্ধতি উঠাতে চেষ্টা করেন, তাহলে আর ইসলামের জন্য না জায়েজ পদ্ধতি দেশে থাকবে না। কিছু মাওলানা-গন আবার এধরনের সালামের পক্ষে সমর্থন করেন। জানিনা তারা এ সকল তথ্য কোথায় পেয়েছে। আল্লহ রব্বুল আলামীন তাদেরকে বেশি বেশি করে কিতাব পড়ে যে কোন সঠিক বিষয়টি বুঝে তারপরই উম্মি মানুষদেরকে যে কোন পরামর্শ দেয়া মত তৌফিক দান করুন।