তারাবির নামাজ কত রাকাত,আমরা জানতে চাই-তারাবির নামাজ কয় রাকাত আদায় করতে হয়,কিছু মানুষ তারাবি নামাজ৮রাকাত না২০রাকাত এ নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে মতপার্থক্য সৃষ্টি করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে,ইসলামের সূচনা কালেও তারাবিহর নামাজ বিশ রাকাত আদায় করা হত,সাহাবা ও তাবেয়ীনগণের যুগে এবং ইসলামের স্বনামধন্য ইমামগণ যেমন ইমাম আবু হানিফা,ইমাম মালেক,ইমাম শাফেয়ী,ইমাম আহমদ(রহ.)সবাই বিশ রাকাত তারাবিহর পক্ষে ছিলেন(আল মুদাওওয়ানাতুল কুবরা,ইমাম মালেক১/১৯৩)বর্তমানে পবিত্র মক্কা-মদিনাসহ মুসলিম বিশ্বের প্রায় জায়গায়২০রাকাত পড়া হয়ে থাকে
২০রাকাত তারাবিহর কিছু প্রমাণ
এ বিষয়ে ইমাম ইবনে আবী শাইবা(রহ.)তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ মুসান্নাফে লিখেন- হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ(সা.)রমজান মাসে ২০ রাকাত তারাবিহ ও বিতর পড়তেন(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ২/৩৯৪,৭৭৭৪)
হাদিসটি অবশ্য দুর্বল সনদে বর্ণিত হলেও হাদিস শাস্ত্রের নীতিমালায় সহিহ হাদিস বা মুতাওয়াতির হাদিসের মতো বিশুদ্ধ বা প্রমাণযোগ্য,তাই এটি নির্দ্বিধায় আমলযোগ্য
একটি বিষয় জেনে রাখা ভালো,রাসুলুল্লাহ(সা.)এর হাদিস কখনো দুর্বল হতে পারে না,তিনি যেমন মহান,তাঁর বাণীও তেমনি মহান,তবে হাদিসের বর্ণনাকারীদের প্রতি লক্ষ করে হাদিসকে দুর্বল বা বিশুদ্ধ আখ্যায়িত করা হয়,এ মর্মে হাদিসের বর্ণনাকারীর মধ্যে যেমন দুর্বলতা লক্ষ করা যাবে,হাদিসটি তেমনই দুর্বল বলে বিবেচিত হবে এবং হাদিসটি রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে কি না,এমন সংশয়ের সৃষ্টি করবে,তবে যদি বর্ণনাকারীর দুর্বলতা ও সংশয় চলে যাওয়ার মতো কোনো কারণ ওই হাদিসের সনদে বা বর্ণনায় পরিলক্ষিত হয়,তখন হাদিসটি গ্রহণযোগ্যতা পায়(দেখুন আন-নুকাত আলা মুকাদ্দামাতে ইবনে ছালাহ/আসকালানী ১/৪৯৪)
এখানে এ হাদিসটির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে,কারণ এ হাদিসটি সনদের বিবেচনায় দুর্বল,এতে আবু শাইবা নামের এক দুর্বল বর্ণনাকারী রয়েছেন,কিন্তু এ হাদিসের বক্তব্যের সমর্থনে অনেক শক্তিশালী ও বিশুদ্ধ কারণ রয়েছে,রয়েছে খোলাফায়ে রাশেদীন,সাহাবায়ে কেরাম,তাবেয়ীন,মুজতাহিদ ইমামগণ ও মক্কা-মদিনাসহ মুসলিম উন্মাহর আমল ও তাঁদের ইজমা বা ঐকমত্য,আর উসুলে হাদিসের পরিভাষায় এ ধরনের দুর্বল হাদিসকে দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও গৃহীত ও অনুসৃত বলা হয়,এ বিষয়ে হাফেজ ইবনে হাজার(রহ.)লিখেন,যে হাদিস অনুযায়ী আমল করা উম্মতের কাছে গৃহীত হয়েছে এবং যে বিষয় অনুযায়ী আমল করার প্রতি উম্মতের ঐক্য (ইজমা) চলে আসছে,