প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার কোনো উপায় কি আছে?
দেখুন আমি জন্মগতভাবে এতটা কালো ছিলাম না। ছোটবেলায় ফর্সাই ছিলাম কিন্তু বড় হতে হতে কালো হয়ে যাই। আমি জানতে চাই যে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার কোনো উপায় আছে কিনা?
প্রাকৃতিভাবে ফর্সা হওয়ার বিষয়টিকে অনেকেই বিশ্বাস করেন না। কিন্তু এটি প্রমাণিত যে প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদানগুলো ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করতে বেশ সহায়তা করে। জেনে নিন এমন কয়েকটি উপাদান ও পদ্ধতি সম্পর্কে।
প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার কয়েকটি উপায় :
– এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, এক টেবিল চামচ মধু, এক টেবিল চামচ লেবুর রস এবং ১/২ টেবিল চামচ বাদামের তেল ভালো ভাবে মিশিয়ে মুখে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে তারপর পরিষ্কার করুন। এই প্যাকটি মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াবে আর রোদে পোড়া ভাব দূর করবে।
– বেশন, দুধ ২ চা চামচ এবং লেবুর রসের মিশ্রণ মুখে, গলায় লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২বার লাগালে আপনার গায়ের রঙ অবশ্যই উজ্জ্বল হবে।
– ঝকঝকে ত্বকের জন্য চন্দন গুঁড়োর অবদান অনস্বীকার্য। চন্দন গুঁড়োর সাথে দুধ মিশিয়ে প্রত্যেকদিন হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। অল্প দিনের মধ্যে আপনার মুখে হাসি ফুটবেই।
– টমেটোতে অ্যালার্জি না থাকলে কয়েক ফোঁটা লেবুর রসের সাথে এর ক্লাথ মিশিয়ে মুখে এবং গলায় ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আপনাকে অনেক ফর্সা দেখাবেই।
– ১/২ কাপ চায়ের লিকার(ঠাণ্ডা), ২ চামচ চালের গুঁড়ো, আধা চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। চালের গুঁড়ো স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করবে আর মধু মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখবে।
– শশার রস আর মধু সমান পরিমাণ নিয়ে ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। তবে তৈলাক্ত ত্বকে মধুর বদলে লেবু ব্যবহার করতে হবে।
– সপ্তাহে একবার পাকা কলা চটকিয়ে মুখে লাগান আর ৩/৪ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। মুখে লুকিয়ে থাকা সব ময়লা নিমিষে পালিয়ে যাবে আর আপনি হয়ে উঠবেন আরও আকর্ষণীয়।
– ২ টেবিল চামচ বেসন, ২ চিমটি কাঁচা হলুদ , ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস আর এক চা চামচ দুধ দিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে ৫ মিনিট ভালো ভাবে ম্যাসাজ করুন। তারপর ২০ মিনিট পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে মনে রাখবেন, হলুদ সবার ত্বকের জন্য নয়। তাই আগে একটু টেস্ট করে নিবেন কাঁচা হলুদ আপনার বন্ধু না শত্রু।
– কাঁচা আলুর রস অথবা আলু পাতলা করে কেটে অথবা আলুর পাল্প দিনে ২বার করে ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাবেন। ধন্যবাদ