ফুটবল আবিষ্কারের সঠিক ইতিহাস কী?

ফুটবল আবিষ্কারের সঠিক ইতিহাস কী?

Train Asked on May 29, 2015 in সাধারণ.
Add Comment
2 Answer(s)

    বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে
    ধারনা করা যায় ফুটবল খেলা প্রথম শুরু
    করেছিল গ্রিক এবং রোমান সম্প্রদায়
    খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০ সালের দিকে।
    প্রাচীন গ্রিক এবং রোমানরা বল দিয়ে
    বিভিন্ন রকমের খেলা খেলত, তার
    মধ্যে কিছু কিছু খেলা পা ব্যবহার করে
    খেলত। রোমান খেলা Harpastum
    এসেছে গ্রিক খেলা Episkyros থেকে
    যা গ্রিক নাট্যকার Antiphanes
    (388–311 BC) এবং পরে
    ক্রিস্টিয়ান দার্শনিক Clement of
    Alexandria (c.150-c.215
    AD) তাদের বিভিন্ন লেখায় উল্লেখ
    করেছেন।এই খেলাটা রাগবি ফুটবল
    খেলার মত ছিল।রোমান রাজনীতিবিদ
    Cicero (106–43 BC) বর্ণনা
    করেছেন ঐ খেলার সময় একজন মানুষ
    নাপিতের দোকানে সেভ হওয়ার সময়
    বলের আঘাতে মারা গিয়েছিলেন।ঐ বল
    গুলো বাতাস দ্বারা পূর্ণ থাকত
    অনেকটা বেলুনের মত। ফিফার তথ্য
    অনুযায়ী প্রতিযোগিতামূলক খেলা
    cuju ই হল ফুটবল খেলার সর্বপ্রথম
    রুপ যার বৈজ্ঞানিক প্রমান আছে।
    যদিও ফিফা প্রাচীন গ্রিক খেলা
    Episkyros কে ফুটবল খেলার
    সর্বপ্রথম রুপ হিসাবে আগে স্বীকৃতি
    দিয়েছিল। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় ও
    দ্বিতীয় শতাব্দীতে মিলিটারিরা
    অনুশীলন হিসাবে এটা খেলত।ঐতিহাসিক
    চাইনিজ মিলিটারি গ্রন্থ Zhan Guo
    Ce যা প্রণীত হয়েছিল খ্রিষ্টপূর্ব
    তৃতীয় থেকে ১ম শতাব্দীর মধ্যে যা তে
    ফুটবল কথাটি খুঁজে পাওয়া যায়। ইহাতে
    মিলিটারিদের একটা অনুশীলনের কথা
    বর্ণনা করা হয়েছে যা cuju নামে
    পরিচিত(cuju মানে kick ball) আর
    ইহা খেলার জন্য একটা চামড়ার বল
    প্রয়োজন ছিল যাকে পা দিয়ে লাথি মারা
    হত এবং সিল্কের কাপর দিয়ে ছোট হোল
    তৈরি করা থাকত মাটি থেকে ৯ মিটার
    উপরে বাশের সাথে।চীনের হ্যান
    সাম্রাজ্যের সময় (206 BC–220
    AD), cuju খেলার নিয়ম কানুন
    প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে এই খেলার
    বিভিন্ন রুপ জাপানে এবং কোরিয়াতে
    বিস্তার লাভ করে, জাপানে এই খেলা
    kemari এবং কোরিয়াতে chuk-
    guk নামে পরিচিত।পরে আরেক
    ধরনের গোলপোস্ট বানানো হয় যা
    মাঠের মাঝখানে বসানো থাকত।অশোকা
    সাম্রাজ্যের সময় জাপানে kemari
    খেলা বিকাশ লাভ করে।kemari
    খেলার নিয়ম ছিল কয়েক জন মানুষ
    একটা বৃত্তাকার মাঠের ভিতর বল
    লাথি দিয়ে খেলবে তবে তারা চেষ্টা
    করত বল যেন মাটিতে ড্রপ না পড়ে বা
    যেন শূনে ভেসে থাকে। ছবিঃ জাপানিজ
    kemari খেলা। তবে বিভিন্ন প্রাচীন
    গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে বল খেলা
    বিভিন্ন দেশে মানুষরা খেলত।যেমন
    ১৫৮৬ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ
    অনুসন্ধানকারী John Davis
    গ্রিনল্যান্ডের Inuit দের সাথে
    ফুটবল খেলেছিল। ১৬১০ সালে
    আমেরিকানদের খেলা লিপিবদ্ধ
    করেছিলেন William Strachey
    নামের একজন ঔপনিবেশিক।তবে
    অস্ট্রেলিয়ায় লাথি মেরে বল খেলা শুরু
    করে অস্ট্রেলিয়ান উপজাতিরা যা
    বিভিন্ন ঐতিহাসিকদের গ্রন্থে প্রমান
    পাওয়া যায়। নিউজিল্যান্ডে Māori
    রা প্রথম বল খেলা শুরু করে যার নাম
    ছিল Ki-o-rahi এবং এই খেলার নিয়ম
    ছিল একটা বৃত্তাকার মাঠকে কয়েকটা
    ভাগে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগে একটা
    করে দল থাকত এবং প্রত্যেক দলে ৭
    জন করে খেলোয়াড় থাকত এবং মাঠের
    মাঝখানে একটা বৃত্তাকার সীমানা
    থাকত।দুই ভাবে এই খেলার পয়েন্ট
    নির্ধারিত হত তা হল একদন আরেক
    দলের সীমানা পার করে দিতে পারলে
    এবং মাঝের বৃত্তটা স্পর্শ করতে
    পারলে বল দিয়ে। ইউরোপে তথা
    ইংল্যান্ডে বল খেলা শুরু হয়েছিল ৯ম
    শতাব্দীতে যা Historia
    Brittonum বইতে উল্লেখ পাওয়া
    যায়।ইংল্যান্ডে প্রথম দিকে যে বল
    খেলা হত তার নাম ছিল “mob
    football” এবং যা খেলা হত মূলত
    প্রতিবেশী শহরগুলোর মধ্যে এবং ইহা
    খেলা হত বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয়
    অনুষ্ঠানের দিনে। এই খেলায় দুই দলে
    অগণিত খেলোয়াড় থাকত এবং এরা
    একটা বলকে গায়ের জোরে ধাক্কা
    ধাক্কি করে একটা নির্দিষ্ট জায়গায়
    নিয়ে যেতে পারলে পয়েন্ট
    আয়ারল্যান্ডে ১৩০৮ সালে ফুটবল
    খেলা হয়েছিল যা John McCrocan
    নামের একজন দর্শক খেলাটা দেখেছিল
    যা তার বইতে উল্লেখ পাওয়া যায়।
    ষোড়শ শতাব্দীতে ইতালির Florence
    শহরে যে বল খেলা হত তার নাম ছিল
    “calcio storico” এবং পরবর্তীতে
    এই calcio storico ই হল আধুনিক
    ফুটবলের প্রাথমিক রুপ। এই খেলায়
    সর্বচ্চ ২৭ জন খেলোয়াড় থাকত এবং
    প্রত্যেক দলে বিভিন্ন সংখ্যার
    খেলোয়াড় থাকত যেমন কোন দলে ১৫
    জন আবার কোন দলে ২০ জন এবং
    গোলরক্ষক থাকত ৫ জন।কিন্তু এই
    নিয়ম বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে তাই
    পরবর্তীতে ১৮৭০ সালে আইন করা
    হয় যে প্রত্যেক দলে ১১ জন করে
    খেলোয়াড় থাকতে হবে এবং এর মধ্য
    থেকে একজন গোলরক্ষক থাকবে একটি
    দলে।তাই ১৮৭০ সাল থেকেই আধুনিক
    ফুটবলের যাত্রা শুরু হয়।অনেক গবেষণা
    করে দেখা যায় যে ১০+১০=২০ জন
    খেলোয়াড়ই যথেষ্ট পুরো মাঠটা কভার
    করতে।তাই এই ১১+১১=২২ জনের
    নিয়ম করা হয়। ১৯২৮ সালে
    সর্বপ্রথম আর্সেনালের পরিচালক
    পর্ষদ সহজে চেনার জন্য খেলোয়াড়দের
    জার্সিতে নাম্বা্র বসানোর সিদ্ধান্ত
    নেন। তখন স্বাগতিক দলের জার্সি
    নাম্বার থাকত ১-১১ পর্যন্ত এবং
    সফরকারী দলের নাম্বার থাকত
    ১২-২২ পর্যন্ত। কিন্তু ১৯৪০
    সালে সিদ্ধান্ত হয় যে একই নাম্বার
    বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়রাও নিতে
    পারবে কিন্তু নাম্বার ঐ ১-২২
    পর্যন্ত থাকতে হবে। ১৯৯৩ সালে
    সর্বপ্রথম জার্সিতে খেলোয়াড়ের নাম
    লেখা হয় এবং যেকোন নাম্বার
    খেলোয়াড় নিতে পারবে এই সিদ্ধান্ত
    নেয়া হয়।তারপর থেকেই মুলত ফুটবল
    বাধা মুক্ত হয়। ছবিঃ calcio
    storico খেলা । ফুটবল সম্পর্কিত
    কিছু প্রথম ঘটনাঃ ফুটবলে প্রথম বুট
    ব্যবহার করা হয়েছিল ১৫২৬ সালে।
    নারীরা প্রথম ফুটবল খেলেছিল ১৫৮০
    সালে। প্রথম ফুটবলে গোলের ব্যবহার
    শুরু হয়েছিল ষোড়শ শতাব্দীর শেষের
    দিকে। নথিভুক্ত প্রথম ফুটবল ক্লাবের
    নাম Foot-Ball Club
    (১৮২৪-৪১) যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল
    স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গে।
    প্রথমদিকে ফুটবল তৈরি করা হত
    পশুদের মুত্রথলি দিয়ে বিশেষত শুকুরের
    মুত্রথলি দিয়ে। সর্বপ্রথম
    আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত
    হয়েছিল ১৮৭০ সালের ৫ই মার্চ
    ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডের মধ্যে।
    যার ফলাফল ছিল ০-০। সর্বপ্রথম
    ফিফা স্বীকৃত আন্তর্জাতিক ফুটবল
    খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৭২ সালে
    ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডের মধ্যে।
    যারও ফলাফল ছিল ০-০। ১৮৭৫
    সালে সর্বপ্রথম ক্রসবারের
    আবির্ভাব হয়। ১৮৭৭ সালে
    সর্বপ্রথম ফুটবল খেলার দৈর্ঘ্য ৯০
    মিনিট নির্ধারণ করা হয়। ১৮৯০
    সালে সর্বপ্রথম গোলপোস্টে জাল
    ব্যবহার করা হয়। ১৮৯১ সালে
    সর্বপ্রথম পেলান্টি কিকের আবির্ভাব
    হয়। ১৯০৪ সালের ২১শে মে FIFA
    প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম বিশ্বকাপ
    ফুটবল অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৩ই জুলাই
    ১৯৩০ সালে উরুগুয়েতে। প্রথম
    বিশ্বকাপ জিতেছে উরুগুয়ে।

    Professor Answered on May 29, 2015.
    Add Comment

      বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে
      ধারনা করা যায় ফুটবল খেলা প্রথম শুরু
      করেছিল গ্রিক এবং রোমান সম্প্রদায়
      খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০ সালের দিকে।
      প্রাচীন গ্রিক এবং রোমানরা বল দিয়ে
      বিভিন্ন রকমের খেলা খেলত, তার
      মধ্যে কিছু কিছু খেলা পা ব্যবহার করে
      খেলত। রোমান খেলা Harpastum
      এসেছে গ্রিক খেলা Episkyros থেকে
      যা গ্রিক নাট্যকার Antiphanes
      (388–311 BC) এবং পরে
      ক্রিস্টিয়ান দার্শনিক Clement of
      Alexandria (c.150-c.215
      AD) তাদের বিভিন্ন লেখায় উল্লেখ
      করেছেন।এই খেলাটা রাগবি ফুটবল
      খেলার মত ছিল।রোমান রাজনীতিবিদ
      Cicero (106–43 BC) বর্ণনা
      করেছেন ঐ খেলার সময় একজন মানুষ
      নাপিতের দোকানে সেভ হওয়ার সময়
      বলের আঘাতে মারা গিয়েছিলেন।ঐ বল
      গুলো বাতাস দ্বারা পূর্ণ থাকত
      অনেকটা বেলুনের মত। ফিফার তথ্য
      অনুযায়ী প্রতিযোগিতামূলক খেলা
      cuju ই হল ফুটবল খেলার সর্বপ্রথম
      রুপ যার বৈজ্ঞানিক প্রমান আছে।
      যদিও ফিফা প্রাচীন গ্রিক খেলা
      Episkyros কে ফুটবল খেলার
      সর্বপ্রথম রুপ হিসাবে আগে স্বীকৃতি
      দিয়েছিল। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় ও
      দ্বিতীয় শতাব্দীতে মিলিটারিরা
      অনুশীলন হিসাবে এটা খেলত।ঐতিহাসিক
      চাইনিজ মিলিটারি গ্রন্থ Zhan Guo
      Ce যা প্রণীত হয়েছিল খ্রিষ্টপূর্ব
      তৃতীয় থেকে ১ম শতাব্দীর মধ্যে যা তে
      ফুটবল কথাটি খুঁজে পাওয়া যায়। ইহাতে
      মিলিটারিদের একটা অনুশীলনের কথা
      বর্ণনা করা হয়েছে যা cuju নামে
      পরিচিত(cuju মানে kick ball) আর
      ইহা খেলার জন্য একটা চামড়ার বল
      প্রয়োজন ছিল যাকে পা দিয়ে লাথি মারা
      হত এবং সিল্কের কাপর দিয়ে ছোট হোল
      তৈরি করা থাকত মাটি থেকে ৯ মিটার
      উপরে বাশের সাথে।চীনের হ্যান
      সাম্রাজ্যের সময় (206 BC–220
      AD), cuju খেলার নিয়ম কানুন
      প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে এই খেলার
      বিভিন্ন রুপ জাপানে এবং কোরিয়াতে
      বিস্তার লাভ করে, জাপানে এই খেলা
      kemari এবং কোরিয়াতে chuk-
      guk নামে পরিচিত।পরে আরেক
      ধরনের গোলপোস্ট বানানো হয় যা
      মাঠের মাঝখানে বসানো থাকত।অশোকা
      সাম্রাজ্যের সময় জাপানে kemari
      খেলা বিকাশ লাভ করে।kemari
      খেলার নিয়ম ছিল কয়েক জন মানুষ
      একটা বৃত্তাকার মাঠের ভিতর বল
      লাথি দিয়ে খেলবে তবে তারা চেষ্টা
      করত বল যেন মাটিতে ড্রপ না পড়ে বা
      যেন শূনে ভেসে থাকে। ছবিঃ জাপানিজ
      kemari খেলা। তবে বিভিন্ন প্রাচীন
      গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে বল খেলা
      বিভিন্ন দেশে মানুষরা খেলত।যেমন
      ১৫৮৬ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ
      অনুসন্ধানকারী John Davis
      গ্রিনল্যান্ডের Inuit দের সাথে
      ফুটবল খেলেছিল। ১৬১০ সালে
      আমেরিকানদের খেলা লিপিবদ্ধ
      করেছিলেন William Strachey
      নামের একজন ঔপনিবেশিক।তবে
      অস্ট্রেলিয়ায় লাথি মেরে বল খেলা শুরু
      করে অস্ট্রেলিয়ান উপজাতিরা যা
      বিভিন্ন ঐতিহাসিকদের গ্রন্থে প্রমান
      পাওয়া যায়। নিউজিল্যান্ডে Māori
      রা প্রথম বল খেলা শুরু করে যার নাম
      ছিল Ki-o-rahi এবং এই খেলার নিয়ম
      ছিল একটা বৃত্তাকার মাঠকে কয়েকটা
      ভাগে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগে একটা
      করে দল থাকত এবং প্রত্যেক দলে ৭
      জন করে খেলোয়াড় থাকত এবং মাঠের
      মাঝখানে একটা বৃত্তাকার সীমানা
      থাকত।দুই ভাবে এই খেলার পয়েন্ট
      নির্ধারিত হত তা হল একদন আরেক
      দলের সীমানা পার করে দিতে পারলে
      এবং মাঝের বৃত্তটা স্পর্শ করতে
      পারলে বল দিয়ে। ইউরোপে তথা
      ইংল্যান্ডে বল খেলা শুরু হয়েছিল ৯ম
      শতাব্দীতে যা Historia
      Brittonum বইতে উল্লেখ পাওয়া
      যায়।ইংল্যান্ডে প্রথম দিকে যে বল
      খেলা হত তার নাম ছিল “mob
      football” এবং যা খেলা হত মূলত
      প্রতিবেশী শহরগুলোর মধ্যে এবং ইহা
      খেলা হত বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয়
      অনুষ্ঠানের দিনে। এই খেলায় দুই দলে
      অগণিত খেলোয়াড় থাকত এবং এরা
      একটা বলকে গায়ের জোরে ধাক্কা
      ধাক্কি করে একটা নির্দিষ্ট জায়গায়
      নিয়ে যেতে পারলে পয়েন্ট
      আয়ারল্যান্ডে ১৩০৮ সালে ফুটবল
      খেলা হয়েছিল যা John McCrocan
      নামের একজন দর্শক খেলাটা দেখেছিল
      যা তার বইতে উল্লেখ পাওয়া যায়।
      ষোড়শ শতাব্দীতে ইতালির Florence
      শহরে যে বল খেলা হত তার নাম ছিল
      “calcio storico” এবং পরবর্তীতে
      এই calcio storico ই হল আধুনিক
      ফুটবলের প্রাথমিক রুপ। এই খেলায়
      সর্বচ্চ ২৭ জন খেলোয়াড় থাকত এবং
      প্রত্যেক দলে বিভিন্ন সংখ্যার
      খেলোয়াড় থাকত যেমন কোন দলে ১৫
      জন আবার কোন দলে ২০ জন এবং
      গোলরক্ষক থাকত ৫ জন।কিন্তু এই
      নিয়ম বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে তাই
      পরবর্তীতে ১৮৭০ সালে আইন করা
      হয় যে প্রত্যেক দলে ১১ জন করে
      খেলোয়াড় থাকতে হবে এবং এর মধ্য
      থেকে একজন গোলরক্ষক থাকবে একটি
      দলে।তাই ১৮৭০ সাল থেকেই আধুনিক
      ফুটবলের যাত্রা শুরু হয়।অনেক গবেষণা
      করে দেখা যায় যে ১০+১০=২০ জন
      খেলোয়াড়ই যথেষ্ট পুরো মাঠটা কভার
      করতে।তাই এই ১১+১১=২২ জনের
      নিয়ম করা হয়। ১৯২৮ সালে
      সর্বপ্রথম আর্সেনালের পরিচালক
      পর্ষদ সহজে চেনার জন্য খেলোয়াড়দের
      জার্সিতে নাম্বা্র বসানোর সিদ্ধান্ত
      নেন। তখন স্বাগতিক দলের জার্সি
      নাম্বার থাকত ১-১১ পর্যন্ত এবং
      সফরকারী দলের নাম্বার থাকত
      ১২-২২ পর্যন্ত। কিন্তু ১৯৪০
      সালে সিদ্ধান্ত হয় যে একই নাম্বার
      বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়রাও নিতে
      পারবে কিন্তু নাম্বার ঐ ১-২২
      পর্যন্ত থাকতে হবে। ১৯৯৩ সালে
      সর্বপ্রথম জার্সিতে খেলোয়াড়ের নাম
      লেখা হয় এবং যেকোন নাম্বার
      খেলোয়াড় নিতে পারবে এই সিদ্ধান্ত
      নেয়া হয়।তারপর থেকেই মুলত ফুটবল
      বাধা মুক্ত হয়। ছবিঃ calcio
      storico খেলা । ফুটবল সম্পর্কিত
      কিছু প্রথম ঘটনাঃ ফুটবলে প্রথম বুট
      ব্যবহার করা হয়েছিল ১৫২৬ সালে।
      নারীরা প্রথম ফুটবল খেলেছিল ১৫৮০
      সালে। প্রথম ফুটবলে গোলের ব্যবহার
      শুরু হয়েছিল ষোড়শ শতাব্দীর শেষের
      দিকে। নথিভুক্ত প্রথম ফুটবল ক্লাবের
      নাম Foot-Ball Club
      (১৮২৪-৪১) যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল
      স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গে।
      প্রথমদিকে ফুটবল তৈরি করা হত
      পশুদের মুত্রথলি দিয়ে বিশেষত শুকুরের
      মুত্রথলি দিয়ে। সর্বপ্রথম
      আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত
      হয়েছিল ১৮৭০ সালের ৫ই মার্চ
      ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডের মধ্যে।
      যার ফলাফল ছিল ০-০। সর্বপ্রথম
      ফিফা স্বীকৃত আন্তর্জাতিক ফুটবল
      খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৭২ সালে
      ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডের মধ্যে।
      যারও ফলাফল ছিল ০-০। ১৮৭৫
      সালে সর্বপ্রথম ক্রসবারের
      আবির্ভাব হয়। ১৮৭৭ সালে
      সর্বপ্রথম ফুটবল খেলার দৈর্ঘ্য ৯০
      মিনিট নির্ধারণ করা হয়। ১৮৯০
      সালে সর্বপ্রথম গোলপোস্টে জাল
      ব্যবহার করা হয়। ১৮৯১ সালে
      সর্বপ্রথম পেলান্টি কিকের আবির্ভাব
      হয়। ১৯০৪ সালের ২১শে মে FIFA
      প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম বিশ্বকাপ
      ফুটবল অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৩ই জুলাই
      ১৯৩০ সালে উরুগুয়েতে। প্রথম
      বিশ্বকাপ জিতেছে উরুগুয়ে।

      Professor Answered on May 29, 2015.
      Add Comment
    • RELATED QUESTIONS

    • POPULAR QUESTIONS

    • LATEST QUESTIONS

    • Your Answer

      By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.