বাংলাদেশের কোন এলাকায় আপেল ফলের বাগান আছে ? আমি কি বাগানের গাছ থেকে আপেল নিতে বা খেতে পারবো ? জানাবেন কি ?
বাংলাদেশের কোন এলাকায় আপেল ফলের বাগান আছে ? আমি কি বাগানের গাছ থেকে আপেল নিতে বা খেতে পারবো ? জানাবেন কি ?
বাংলাদেশে আপেল চাষ এখনও গড়ে ওঠে নি। কেননা এই দেশ আপেল চাষের জন্য আবহাওয়া উপযোগী না। বাজারে যেসব আপেল পাওয়া যায় এর বেশিরভাগ আসে চীন থেকে। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসে বেশ কিছু আপেল। আমদানিকৃত সবুজ, লাল কিংবা হালকা লাল রঙের আপেলগুলোই রাজধানীসহ সারাদেশের ফলের দোকানে সাজানো থাকে। চীন আপেল উৎপাদনে প্রথম। বিশ্বের মোট আপেলের ৩৫ শতাংশ হয় চীনে। দেশটিতে বছরে আপেল উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ ৬ হাজার টন।
আপেল উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে আমেরিকা। বিশ্বের মোট আপেলের সাড়ে সাত শতাংশ উৎপাদন এ দেশে। প্রতিবছর আমেরিকায় উৎপাদিত আপেলের পরিমাণ প্রায় ৪২ লাখ ৫৪ হাজার টন। এছাড়া শীর্ষ আপল উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে রয়েছে তুরস্ক, ইরান, ইতালি, ফ্রান্স, পোল্যান্ড, রাশিয়া, জার্মানি ও ভারত।
কিরগিজস্তান, তাজাকিস্তান ও কাজাকিস্তানে আপেলকে আলমা বলা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, আলমা থেকেই এ ফলটির নাম হয়েছে আপেল। এ কয়টি দেশের বন-জঙ্গলে এখনও হাজার হাজার আপেল গাছ দেখা যায়। এগুলো বন্য আপেল। চাষবাস ছাড়া প্রাকৃতিকভাবে এমনিতেই হয়েছে। আপেল ইউরোপে ছড়িয়েছে বিশ্ববিজয়ী বীর মহামতি আলেকজান্ডের মাধ্যমে। খ্রিস্টপূর্ব ৩০০ সালে তিনি মধ্য এশিয়ার কয়েকটি দেশ জয় করে দেশে ফেরার সময় বেশ কিছু আপেল গাছ সঙ্গে করে নিয়ে আসেন।
সেগুলো রোপণ করেন নিজ দেশ গ্রিসে। আবহাওয়া এ ফলের উপযোগী হওয়ায় আপেল গাছের দ্রুত বিস্তার ঘটে গ্রিসে। এখান থেকেই এই ফলের চাষ দ্রুত ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। উত্তর আমেরিকায় আপেলের চাষ শুরু হয় ১৬০০ সালে। আমেরিকার ওয়াশিংটনে ১৯০০ সালের গোড়ার দিকে বাণিজ্যিকভাবে আপেল চাষ শুরু হয়। বর্তমানে বিশ্বে বছরে প্রায় ৬ কোটি টন আপেল উৎপন্ন হয়।
আর আপেল বাগান থেকে আপেল পাড়ার বিষয়ে আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তার উত্তর হল আপনি যেকোনো ফলের বাগানেই অনুমতি ছাড়া ফল পাড়তে পারবেন না। এটি আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।