বাংলাদেশের পতিতাদের পতিতাবৃত্তি করার কি কোন অনুমোদন দেয়া আছে ?
বাংলাদেশের পতিতাদের পতিতাবৃত্তি করার কি কোন অনুমোদন দেয়া আছে ?
আইনি দিক থেকে জবরদস্তিমূলক শ্রম এবং ‘পতিতা’বৃত্তি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৪(১) অনুচ্ছেদে জবরদস্তিমূলক শ্রম আদায়কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর ১৮(২) অনুচ্ছেদে ‘পতিতা’বৃত্তিকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এ পাচারের জন্য শাস্তির বিধান করা হয়েছে। আইনটিতে পাচারের জন্য শাস্তি থাকলেও ভিকটিমের পুনর্বাসনের কোনো বিধান নেই। বাংলাদেশের কোনো নাগরিক বিদেশে পাচার হয়ে গেলে তাকে ফেরত আনার জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট বিধানও এতে নেই। আর পাচারের ঘটনাগুলো ঘটে মূলত সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে। আইনটির মূল সমস্যা হলো এতে সংঘবদ্ধ চক্রের কোনো সংজ্ঞা এবং সংঘবদ্ধভাবে পাচারের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট শাস্তির বিধান নেই। ফলে আইনটি অনেকখানিই অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
তবে এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত বাংলা একাডেমীর বাংলাপিডিয়ার মধ্যে পরিষ্কার উল্লেখ রয়েছে, রাষ্ট্র গণিকালয় পতিতাদের কর্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য তাদের নাম নিবন্ধন করে এবং তাদের সুনির্দিষ্ট এলাকায় বসবাসে সীমাবদ্ধ রাখে। এসব বসতিস্থল সাধারণত পাড়া বা বেশ্যা পাড়া নামে সুপরিচিত। পতিতারা তাদের বৃত্তির জন্য হলফনামা দিয়ে অনুমতি গ্রহণ করতে পারে।