বাংলাদেশের সকল ক্ষেত্রে ঘুষ প্রবণতাকে কমিয়ে আনতে কী পদক্ষেপ নেয়া উচিত?
বাংলাদেশের সকল ক্ষেত্রে ঘুষ প্রবণতাকে কমিয়ে আনতে কী পদক্ষেপ নেয়া উচিত?
সমাজে ঘুষের প্রবণতা কমাতে হলে আগে নিজের জায়গাটিকে শক্ত ও পরিস্কার করুন।
ঘুষ বিষয়টি সমাজের একটি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। কিন্তু লোকচক্ষুর আড়ালে বহু ব্যক্তিই আছেন যারা এই অপকর্মটির সাথে রীতিমত গর্ব নিয়েই জড়িত। অর্থ আমাদের সবার জীবনেই প্রয়োজন। কিন্তু তাই বলে অন্যায়ের সাথে বন্ধুত্ব করে? এমনটা আদর্শ কারও থাকাই উচিত না। আসুন জেনে নিই আপনি যদি এমন একটি পরিস্থিতিতে পড়েন যে কেউ আপনাকে ঘুষ দিচ্ছে, তখন যেভাবে নিজেকে সংবরণ করবেন।
১. নিজের আদর্শের কথা মনে করুন :
আপনি একটি সৎ আদর্শ নিয়ে চলেন এবং এটি আপনার অনেক বড় একটি শক্তি যা আপনাকে অন্যায়ের পথে কখনই পরিচালিত করবে না। আপনি যদি এমন পরিস্থিতিতে পড়েন তাহলে মনে করুন আপনার আদর্শের কথা যা কখনোই অন্যায়ের সাখে সমঝোতা করে না, কখনোই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। তাই এই কথা মনে করে নিজেকে অন্যায় কাজটি থেকে সরিয়ে আনুন।
২. মানুষের কথা ভাবুন :
একটি অন্যায় কাজ অন্য একজনের ক্ষতি করতে পারে। তাই ঘুষ নেয়ার সুযোগ এলে সেই মানুষটির কথা বলুন যে আপনার এই অন্যায়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বিপদে পড়বে। তাহলেই দেখবেন আপনি আপনার মনকে বুঝিয়ে নিতে পেরেছেন।
৩. ভবিষ্যতের কথা ভাবুন :
মানুষ মাত্রই ভুল করতে পারে। আপনিও পারেন ভুল করতে এই ঘুষের লোভে পড়ে। কেননা লোভ প্রবণতাটি মানুষের একটি সহজাত প্রবণতা। তাই এই সময়টিতে আপনি ভবিষ্যতের কথা ভাবুন। ভাবুন এই অন্যায়টির কারণে আপনি পড়তে পারেন অকল্পনীয় একটি বিপদে। এমতাবস্থায় আপনার এই ধরনের অপরাধ থেকে নিজেকে সরিয়ে ফেলতে পারবেন।
৪. আয়নায় নিজের মুখ দেখুন :
আয়না আমাদের এমন একটি বন্ধু যে আমাদের জীবনের প্রকৃত রূপটি ধরিয়ে দিতে পারে। তাই এমন একটি মুহূর্ত উপস্থিত হলে আপনি নিজের চেহারাটি আয়নায় একবার দেখুন। এতে করে আপনি বুঝতে পারবেন আপনি হয়ত কোনো অন্যায় করতে যাচ্ছেন যা একেবারেই উচিত হবে না আপনার নিজের জন্য এবং নিজের পরিবারের জন্য।
৫. আইনের সহযোগিতা নিন :
এমনও হতে পারে ঘুষ আপনাকে বারবার প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করছে আপনাকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। এমতাবস্থায় আপনি আইনের সহযোগিতা নিতে পারেন। এতে করে আপনি মানসিকভাবে শুদ্ধ থাকবেন এবং ঘুষ নেবেন না।