বিপরীত মনোবিজ্ঞান বলতে কী বোঝানো হয়?
একগ্রামে একটি কৃষক থাকতেন, তার কাছে দুটো গরু ছিল। সে মাঠে চাষ করতো আর ধান ফলাতো। গরুদুটি খুবই স্বাস্থ্যবান ছিল দিনে প্রায় দিনে পাঁচ লিটার করে দুধ দিত ।কৃষক সেই দুধ শহরে বিক্রি করে অনেক টাকা পয়সা উপার্জন করতো।
একদিন সে শহরে যাচ্ছিলো, কিছুদূর গিয়ে দেখলো রাস্তা বন্ধ। সে পুলিশকে জিজ্ঞাসা করলো ব্যাপার কি? পুলিশ জবাব দিলো, “শহরে ভাইরাস এসেছে তাই রাস্তা বন্ধ “। সে ভাবলো ভাইরাস কোনো বড়ো মানুষ হবে।
ঘরে ফিরে এসে সে ভাবতে লাগলো এতো দুধ নিয়ে সে কি করবে ? সেই জন্য পাড়ার চায়ের দোকানে কমদামে বিক্রি করে দিলো। দোকানদার সেই দুধ দিয়ে বেশ ঘন করে চা বানালো। এমন সময়ে একজন পত্রকার এসে প্রশ্ন করলেন, “লোকডাউনে সব কিছু বন্ধ আপনি দোকান কেন খুলেছেন? “
এক ভদ্রলোক চা খেতে এসেছিলেন তিনি বললেন “আমরা কি খাবোনা চা ? খাবোনা আমরা চা ?” ব্যাস এই ঘটনা নিয়ে পুরো সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় হয়ে গেলো।
.
.
.
পড়ে ফেলেছেন গল্পটা। বারণ করেছিলাম আপনাকে তাও আপনি পড়ে ফেললেন। এটাই “রিভার্স সাইকোলজি ” বা “বিপরীত মনোবিজ্ঞান “।
মানুষের মস্তিস্ক একটি অদ্ভুত অঙ্গ । আমাদের মস্তিস্ককে কোনো কাজ করতে মানা করা হলে, মস্তিস্কভাবে ওই কাজটির মধ্যে নিশ্চয় কোনো রহস্য রয়েছে। সেই রহস্য উন্মোচনের চেষ্টাই কাজটি করতে আমরা আরও বেশী উৎসাহিত হয়ে যায়।