বিয়ে বর্তমানে এত কঠিন হয়ে যাচ্ছে কেন?
বিয়ে বর্তমানে এত কঠিন হয়ে যাচ্ছে কেন?
বর্তমানে বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোতে বিয়ে একটি নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত, সেটি হলো “চো*দার বিনিময়ে ভরণপোষণ”। মেয়েরা মূলত খাদ্য এবং বাসস্থান এর জন্য বিয়ে করে, সেক্স এর জন্য নয়। কারণ ভারতীয় উপমহাদেশে এবং মুসলিম বিশ্বে এমনিতেই মেয়েদের যৌনতাকে খুব অশ্লীল এবং নির্লজ্জ ভাবে দেখা হয়, যেন যৌনতা শুধু ছেলেদের জন্য এবং মেয়েরা ছেলেদের চাহিদা পূরণ করবে। ছেলেরা যেহেতু হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে মেয়েদের ভরণপোষণ করে, তাই রাতে বউর থেকে কড়া সার্ভিস নিয়ে সেটা উসুল করতে চায়। মেয়েরাও যেহেতু বসে বসে খেতে পারছে, তাই স্বামীর কাছে শরীর বিছিয়ে দেয়। একপ্রকার বৈধ পতিতাবৃত্তি।
ছেলেরা বিয়ে করে সেক্স এর জন্য। মেয়েরা বিয়ে করে খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য। এজন্য ছেলেরা বিয়ে করে সুন্দরী, কচি ভালো ফিগারের মেয়ে আর মেয়েরা বিয়ে করে ধনী ছেলে।
এরপর দাম্পত্য জীবন অশান্তিতে কাটে, কারণ বিয়েটা হয়েছিল চুক্তিতে, ভালোবাসায় নয়।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিয়ের সংজ্ঞা কি এমন?
উন্নত বিশ্বে বিয়ের ক্ষেত্রে কি এতসব ক্রাইটেরিয়া মানা হয়? যদিও উন্নত বিশ্বে লিভ টুগেদারের পরিমাণ বেশি, কিন্তু তাদের লিভ টুগেদার বিয়ের মতই। শুধু কাগজে কলমে চুক্তি হয়না। তারা একসাথে থাকে, একে অপরের দায়িত্ব পালন করে, সন্তান জন্ম দেয়। এরপর এডজাস্ট হয়ে গেলে সন্তান জন্মের পরে বিয়ে করে। ওদের দেশে দেখবেন ফর্সা মানুষ কৃষ্ণাঙ্গকে বিয়ে করছে, ধনী মেয়ে গরীব ছেলেকে বিয়ে করছে, চাকুরীজীবী মেয়ে বেকার ছেলেকে বিয়ে করছে। কেন করতে পারছে? কারণ সেখানে ভরণপোষণের ঝামেলা নেই। ছেলে – মেয়ে উভয়কে ১৮ বছরের পর মাস্ট উপার্জন করতে হয়। তাই কোনো মেয়ের শৈশবকাল থেকে বাধ্যগত স্বপ্ন থাকেনা যে ধনী সরকারি চাকরিওয়ালা পুরুষকেই বিয়ে করতে হবে। আবার কোনো পুরুষেরও স্বপ্ন থাকেনা ভরণপোষণ উসুল করার জন্য কচি মেয়ে বিয়ে করতে হবে। তারা ছাত্র অবস্থায়ই বিয়ে করতে পারে এবং স্বামী স্ত্রী উভয়েই উপার্জন করে সংসারে ইনভেস্ট করে। শুধু পুরুষের উপর উপার্জনের প্রেসার থাকেনা। তাই উন্নত বিশ্বে বিয়ে বা লিভ টুগেদার দুটোই সহজ।
উন্নত বিশ্বে প্রেম – ভালোবাসার পরিণতি হলো বিয়ে।
কিন্তু মুসলিম বিশ্বে সেটা সম্ভব হয়না। কারণ সেখানে কেবল অর্থ, খাদ্য, বাসস্থান এবং চো*দার চুক্তিতে বিয়ে হয়।
ধর্মীয় নিয়মে একে তো প্রেম করা নিষেধ তার মধ্যে পর্দাজনিত কারণে মেয়েদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায়, প্রতিটি মেয়ে বাল্যকাল থেকে স্বপ্ন দেখে ধনী পুরুষ বিয়ে করবে এবং স্বামীর কাঁধে সকল বিলাসিতার স্বপ্ন, দায়িত্ব চাপিয়ে দিবে। ধর্মীয় নিয়মে মেয়েদের ভরণপোষণ করবে পুরুষেরা, মেয়েদের কোনো ব্যয়ের খাত নেই। এজন্য মেয়েরা ভাবে ধনী পুরুষ তাকে দামী খাবার, দামী পোশাক, দামী বাসস্থানের বিনিময়ে সুখী রাখতে পারবে। তাই মুসলিম মেয়েরা ভাবে সুখী হওয়ার শর্ত হলো স্বামী ধনী হওয়া। এজন্য নেহায়েত গরীব মেয়েও ধনী পুরুষ আশা করে , ধনী মেয়েও ধনী পুরুষ আশা করে।
এজন্য প্রতিটি পুরুষের মধ্যে কম্পিটিশন লেগে যায় কে কত তাড়াতাড়ি সরকারি চাকরি জোগাড় করে কচি সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করতে পারবে। আর মেয়েদের মধ্যেও কম্পিটিশন লেগে যায় কে কত তাড়াতাড়ি সৌন্দর্য দিয়ে ধনী পুরুষের কাছে বিয়ে বসতে পারবে।
মাইনকার চিপায় পড়ে গরীব এবং বেকার যুবকরা। তাদের সরকারি চাকরি খুঁজতে খুঁজতে, প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চেষ্টা করতে করতে বয়স ৩০+ হয়ে যায়।
এজন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে গরিব যুবকদের ভাগ্যে জুটে অসুন্দর মেয়ে। এটার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী ইসলাম ধর্ম।
তো বিয়ে কঠিন হবেনা তো কি মগের মুল্লুক হবে? বালের ধর্ম আমার।