বুদ্ধিমানরা নিজের বুদ্ধিগুলো আসলে প্রয়োগ করে কোথায়?

    বুদ্ধিমানরা নিজের বুদ্ধিগুলো আসলে প্রয়োগ করে কোথায়?

    Add Comment
    1 Answer(s)

      ১) তারা সর্বদা নতুন নতুন বিষয় শিক্ষার মাধ্যমে বা প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে নিজেকে আপডেট করে।

      ২) তারা শরীরের যত্ন নেয় এবং বিজ্ঞানসম্মত জীবনযাত্রার মাধ্যমে সুস্থ থাকে। মূত্র ত্যাগ কালে কোন দোয়া পাঠ করিলে পূণ্য সঞ্চয় হয়- এই সমস্ত এলোমেলো বিষয় তারা অনুসন্ধান না করে বরং কিভাবে কিডনি সুস্থ রাখা যায় সেই বিষয়ে বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ পাঠ করেন এবং জীবনযাত্রাকে সেভাবে সাজান।

      ৩) তারা নিজের জন্য একটি গৃহ নির্মাণ করার চেষ্টা করে এবং চেষ্টা করে সেটা দেশের রাজধানীর শহরে নির্মাণ করতে।

      ৪) তারা কৃষি জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে টাকা বিনিয়োগ করে থাকে যেন শেষ বয়সে অর্থ সংকট দেখা দিলে সেটা বিক্রি করে সমস্যার মোকাবেলা করতে পারে।

      ৫) তারা সঞ্চয়ী হয়ে থাকে আর এভাবেই তারা গৃহ নির্মাণ, কৃষি ক্ষেত্র ক্রয় এবং নগদ সঞ্চয়ের দ্বারা নিজের ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করে থাকে।

      ৬) বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা দিয়ে এবং বন্ধু-বান্ধবের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করার জন্য তারা তেমনভাবে সময় ব্যয় করে না। তবে তারা অন্যের সমস্যায় এগিয়ে আসে। তারা তাদের আয়ের কিয়দংশ মানবিক কারণে ব্যবহার করে।

      ৭) তারা জ্ঞান বিজ্ঞানের আলোকে চিন্তা করে এবং সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। যেমন সঞ্চয় করার জন্য তারা ব্যাংকে বা সরকারি বিভিন্ন বন্ডে অথবা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে। এই বিনিয়োগকে ধর্ম অনুমোদন করে, কি না করে, সেটা নিয়ে তারা মাথা ঘামায় না।

      ৮) সংস্কৃতির খারাপ দিকগুলোকে একপাশে ঠেলে রাখে। যেমন বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে একটি প্রবাদ বাক্য রয়েছে যে, আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে। এই প্রবাদের উপর আস্থা রেখে তারা সন্তানদের জন্য ব্যাপক আকারে সঞ্চয় করার চেষ্টা করে না। সন্তানের শিক্ষার পেছনে এবং তাদেরকে স্বাবলম্বী করে তোলার পেছনে বিনিয়োগ করে থাকে।

      ৯) তারা আবেগপূর্ণ বিষয় যেমন প্রেমিক বা প্রেমিকাদের পেছনে অযথা সময় নষ্ট করে না। তারা নারী পুরুষের সম্পর্কের বাস্তব প্রয়োজনীয়তাগুলোর উপরে নজর দিয়ে থাকে।

      ১০) তারা সাধারণ মানুষের কাছে বিখ্যাত হওয়া উপন্যাস বা লেখা পড়ার পেছনে সময় ব্যয় করে না। তারা জ্ঞান-বিজ্ঞান সমৃদ্ধ নিবন্ধন পাঠ করে থাকে আর আবেগ আপ্লুত না হয়ে সেটার আলোকে নিজের জীবনকে সাজায়।

      ১১) তারা দেশে জারি থাকা সংস্কৃতি, প্রথা এবং ধর্মের খারাপ দিকগুলোকে চিহ্নিত করে সেগুলোকে এড়িয়ে যায়। ধর্মীয় বিভিন্ন ওয়াজ অথবা ধর্ম প্রচারকারীদের তারা এড়িয়ে চলে।

      ১২) তারা ইতিবাচকভাবে চিন্তা করতে অভ্যস্ত হয়, নেতিবাচক মানুষদের এড়িয়ে চলে আর অযথা তর্ক করে কোন বিষয়কে অন্য মানুষের কাছে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে না।

      Professor Answered on May 3, 2024.
      Add Comment
    • RELATED QUESTIONS

    • POPULAR QUESTIONS

    • LATEST QUESTIONS

    • Your Answer

      By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.