বোকারা কি বেশি হাসে?
আপনার প্রশ্ন সাধারন উত্তর হলো হ্যা তবে সে বোকা না সহজসরল, তাবে বোকা বলে নিজেকে চালাক ভাবা বোকামি ছাড়া আর কিছু না কারনে আমার মতে ২ ধরনের মানুষ বেশি হাসে, এক যে সহজ সরল (যাকে আপনি বোকা ভাবেন) আর এক শ্রেণী হাসে যে আপনাকে বোকা বানায়
উপরের ছবির হাসি দিয়ে আমাদের বোকা বানাইতেছে
এদের হাসিতে আমাদের সমাজ ধংস
তাই বেশি যারা হাসে তারা হয় সহজসরল মানুষ যারা সমাজ, রাষ্ট্র, ধর্ম সর্ম্পকে কম বুঝে তাই তারা অল্পতে অনেক হাসে আর ভয়ঙ্কর লোকরা বেশি হাসে যারা আমাদের দেশে থেকে আমাদের পাশে থেকে আমাদের জীবনটা শেষ করে দিতেছে আর হাসতেছে, বোকা আমাদের বানাইতেছে তাদের সুখ শান্তির জন্য।
তবে মানুষ কেন হাসে তার ব্যাখ্যা বিজ্ঞন দিয়েছে
নিউরোফিজিওলজি বলছে, হাসি মস্তিষ্কের ভেন্ট্রোমিডিয়াল প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স-এর উদ্দীপ্ত হওয়ার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তা ছাড়া মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস ও এমিগডালাও হাসির জন্য দায়ী। নিউ ইয়র্ক টাইমসের ‘হোয়াই লাফটার ফিলস সো গুড’ আর্টিকেল থেকে অক্সফোর্ডের ইভোলিউশনারি সাইকোলজিস্ট রবিন ডানবারের গবেষণার কথা জানা যায়। তিনি বলেন, মস্তিষ্কের উদ্দীপনা এনডোরফিন নামক এক ধরনের হরমোনের নিঃসরণ, যার কারণে আমাদের ভালো লাগার অনুভূতি তৈরি হয়। একটি তত্ত্ব মতে, আমরা তখনই হাসি, যখন আমাদের আশা ও বাস্তবতার মধ্যে পার্থক্য ধরতে এবং তা সংশোধন করতে পারি।
ষোলো বছরের এক আমেরিকান কিশোরীর ওপর করা একটা পরীক্ষার ঘটনা বলি- এপিলেপ্সির জন্য সে মেয়েটির মস্তিষ্কে একটা সার্জারি হয়। সে সময় ডাক্তার মেয়েটির মস্তিষ্কের সেরেব্রাল কর্টেক্সকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে উদ্দীপ্ত করেন। এ কাজ করার পর ডাক্তাররা অবাক হয়ে লক্ষ করেন যে মস্তিষ্কের একটা নির্দিষ্ট অংশে বৈদ্যুতিক উদ্দীপনা দিলেই মেয়েটি হেসে উঠছে। উদ্দীপনা বাড়ালে হাসির মাত্রাও বাড়ছে।
হাসার কারণে মস্তিষ্কের বিশেষ এক রাসায়নিক পদার্থ মানুষকে ভালো অনুভূতি দেয়। এটি একধরনের ব্যায়ামও বটে। এতে শ্বাস–প্রশাস দ্রুত ঘটে, শরীরের পেশি ব্যবহৃত হতে কাজ করে এবং হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুস ভালো রাখতে সাহায্য করে। আপনি যদি কোনো কিছু নিয়ে উদ্ধিগ্ন থাকেন বা ভয়ের মধ্যে থাকেন, তাহলে হাসি তা দূর করে দিতে পারে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, মানুষের ইমিউন (যা শরীরকে সহায়তা করে রোগ প্রতিরোধ করতে) ব্যবস্থা ভালো রাখতে সহায়তা করে হাসি। খোশমেজাজে রাখা ও ব্যথা দূর করে স্বাচ্ছন্দ্যে রাখতেও হাসির বিকল্প নেই।