ব্যক্তিত্বকে শক্তিশালী করব কীভাবে?
আপনি কথা বলবেন, লোকে মুগ্ধ হয়ে শুনবে। আপনি নির্দেশ দেবেন, লোকে তা হাসিমুখে অনুসরণ করবে। সঙ্গে বলবে, বাহ! লোকটি তো দারুণ। এমন ব্যক্তিত্ব অর্জন করতে একটি গবেষণা থেকে বিবিসি কয়েকটি পথ বাতলে দিয়েছে।
বুদ্ধি : যারা বুদ্ধি রেখে চলে, তারা কখনো হারে না। কিন্তু এই বুদ্ধি অর্জন করা তো সহজ ব্যাপার নয়। যে কাজ করবেন, একটু ভেবে নিলেই হবে।
নিজেকে অন্যের জায়গায় কল্পনা করে, তার মনোভাব বুঝে তারপর কথা বলুন। কল্পনা করুন, অন্য লোকটির মনে কী চলছে। তিনি কী করতে চাচ্ছেন। এই কল্পনায় সব সময় আপনি সফল হবেন; ঠিক তা নয়। তবে লাভবান হবেন।
মানিয়ে নেওয়া : সব সময় ইতিবাচক থাকুন। যেকোনো পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। সাদা চোখে দেখা বিরুদ্ধ পরিস্থিতির সুফল নিয়ে ভাবুন। দেখবেন মন হাল্কা হবে। মানিয়ে নিতেও কষ্ট হবে না।
অনিশ্চয়তা : ভবিষ্যতে কী হবে, সেই ভাবনায় তটস্থ না হয়ে স্বাভাবিক থাকুন। প্রয়োজনে নিজের সঙ্গে কথা বলার অভ্যাস করুন। যুক্তি দিয়ে সবকিছু বিচার করুন। অনিবার্য বিষয়কে আপনি এড়াতে পারবেন না। তবে শান্ত থাকলে ক্ষতির পরিমাণ কমাতে পারবেন। শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের অধিকারী সব সময় এ কথা মনে রাখেন।
কৌতূহল : সব সময় জানার আগ্রহ ধরে রাখুন। কর্মক্ষেত্রে এই অভ্যাস আপনাকে ক্রিয়েটিভ হিসেবে উপস্থাপন করবে। আপনি যত জানবেন, তত শিখবেন, তত ক্ষমতাবান হবেন।
ঝুঁকি : ভুল করলেও সেটা স্মার্টভাবে করবেন। ঝুঁকি নিয়ে ব্যর্থ হলে স্বীকার করুন। কোথায় ঘাটতি আছে, তা পূরণ করুন। সফল না হওয়া পর্যন্ত শান্তির ঘুম ত্যাগ করুন। তবেই তো আপনি শক্তিশালী মানুষ।
প্রতিযোগী মনোভাব : প্রতিযোগিতা কখনো হবে অন্যের সঙ্গে। কখনো আবার নিজের সঙ্গে। সুস্থ প্রতিযোগিতায় সব সময় নিজেকে নিয়োজিত রাখুন। আপনার সামনে সহকর্মী যত কঠিন কাজের কথাই বলুক না কেন, আপনার উত্তর হওয়া উচিত, ‘চেষ্টা করে দেখি। নিশ্চয়ই পারব।’
স্বচ্ছতা আর আন্তরিকতা : স্টিভ জবসের সঙ্গে ৯০-এর দশকে কাজ করতেন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ম্যাগনেটিকের প্রতিষ্ঠাতা জেমস গ্রিন। স্টিভের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েই তিনি শিখেছেন, যেকোনো কাজে স্বচ্ছতা গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী বিষয়। বিশেষ করে দলবদ্ধ হয়ে কাজ করলে প্রত্যেকের কাজের বিষয়ে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। এতে অন্যদের চিন্তা, আশাবাদ এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে কখনো ভুল হবে না।