ব্যক্তিত্বকে শক্তিশালী করব কীভাবে?
কোন মানুষের ব্যক্তিত্বকে শক্তিশালী করতে গেলে সেখানে অনেক কিছুরই প্রয়োজন হয়। সেগুলোকে কেউ ধীরে ধীরে পূর্ণতা দিতে পারলেই, কেউ একজন নিজের ব্যক্তিত্বকে সুন্দর করতে পারে। যেমন :
১) নিজের ভুল স্বীকার বা নিজের ভুল বুঝতে পারার ক্ষমতা তৈরি করুন। কারণ যদি আপনি মনে করেন যে, আপনার কোন ভুল নাই। তাহলে আপনার ভুল আর কখনো সংশোধন হবার সুযোগ পাবে না।
২) নিয়মিত বই পড়ুন। কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ ব্যক্তিত্ববান মানুষেরায় নিয়মিত বই পড়তেন।
৩) বিভিন্ন ধরনের মানুষের সাথে মিশুন এবং প্রতিনিয়ত নিজের কমিউনিকেশন স্কিল বাড়ান।
৪) নিয়মিতই বিভিন্ন উপায়ে জ্ঞান অর্জন করুন। সেটা যেকোনো জায়গা বা যেকোন মাধ্যম থেকেই হতে পারে।
৫) আশেপাশের মানুষদের পুরোপুরিভাবে অনুকরণ এবং অনুসরণ করা বন্ধ করুন, তবে অবশ্য ভালো কোন বিষয় থাকলে ছাড় না দেওয়াই ভালো।
৬) নিজেকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করার চেষ্টা করুন।
৭) সুস্থ জীবন যাপনের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম, মেডিটেশন করুন এবং পাশাপাশি খাবারের নিয়ম কানুনও মেনে চলুন।
৮) দৈহিক স্বাস্থের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থকেও গুরুত্ব দিন।
৯) জীবনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সমস্যা আসবে, এটাই স্বাভাবিক। তাই বাস্তবতা মেনে নিন, তাহলে দুঃখ অনেকাংশেই কমে যাবে।
১০) আবেগ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ , তবে আবেগকে সবসময় যুক্তির নিচে রাখার চেষ্টা করুন।
১১) পৃথিবীকে ভালোবাসুন এবং পৃথিবীতে থাকা বিভিন্ন জিনিসকে ভালোবাসুন। যেমন: মানুষকে, স্বদেশকে, স্ব-জাতিকে, প্রকৃতিকে, পশু-পাখিকে ইত্যাদি।
১২) সময় পেলেই দেশ-বিদেশে ভ্রমণ করুন। কারণ ভ্রমণ আমাদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মাধ্যমে দারুণ দারুণ বিভিন্ন বিষয় শিখতে সাহায্য করে।
১৩) আমাদের জ্ঞান খুবই কম এবং এটা যথেষ্ট না, এটা মেনে নিন। কিন্তু জ্ঞান অর্জন কখনোই থামানো যাবে না।
১৪) অন্যের সাথে তুলনা করা বন্ধ করুন। তুলনা করা আমাদের সবসময় হীনমন্যতায় ডুবিয়ে রাখতে চায়।
১৫) নিজেকে ভালোবাসুন, প্রতিনিয়ত নতুন কোন কিছু শিখার মধ্য দিয়ে যান এবং নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন।
১৬) সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ১ মিনিট হলেও সময় বাঁচানোর চেষ্টা করুন। মাস শেষে গিয়ে এটা দাঁড়াবে ৩০ মিনিট। ভাবছেন মাত্র ৩০ মিনিট? এই ৩০ মিনিটেই অনেক কিছু করা সম্ভব। অন্যদিক দিয়ে যদি আপনি প্রতিদিন কয়েকঘন্টা সময় বাঁচাতে পারেন। তাহলে একবার চিন্তা করুন, মাস শেষে এর পরিমাণটা কত ঘন্টা হবে। এই নিয়ম অনুসরণ করলে আপনার কয়েকদিনের সমতুল্য সময়েও বেঁচে যেতে পারে। তাই প্রতিদিনই সময়ের যথাযথ ব্যবহার করতে শিখুন।
১৭) বিভিন্ন soft skill আছে। সেগুলো আয়ত্ত করার চেষ্টা করুন। যেমন : public speaking, Deep work, Decision-making, active listening, Negotiation, Creativity, Resilience, Patience, Self-confidence, Project management, Work ethic etc.