মধু কি কি কাজে লাগে?
যেকোন ধরনের ঠাণ্ডাজনিত অসুখে মধু অতুলনীয়। পেনসিলভেনিয়া স্টেট কলেজের এক পরীক্ষায় দেখা গেছে বাজারে যত ঔষুধ পাওয়া যায় তার চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর এক চামচ মধু। মধুতে ভাইরাস প্রতিরোধী ক্ষমতা বেশি। তাই যেকোন ধরণের ভাইরাসজনিত রোগে মধু ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এছাড়া মধু হজমে সাহায্য করে। পেটরোগা মানুষদের জন্য মধু বিশেষ উপকারী। কারণ এর রয়েছে জীবাণু বিরোধী গুণাবলী। মধুতে চিনির পরিমাণ অত্যধিক বলে সাধারণ কোন প্রকার রোগ-জীবাণু জন্মাতে পারে না। তাছাড়া মধুর অম্লতাও জীবাণু বিরোধী কাজের জন্য দায়ী। ডায়রিয়ার জীবাণুগুলোর বিরুদ্ধে মধু দারুণ কার্যকর। এক কাপ গরম পানিতে পরিমাণমত মধু মিশিনো চা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। মধু হৃদপিন্ডকে শক্তিশালী করে। নিয়মিত ১ চা চামচ মধু সেবনে হৃদপিন্ড শক্তিশালী থাকে। ডায়াবেটিকসের চিকিৎসায় মধু একটি অতুলনীয় ওষুধ। চিনি এবং অন্যান্য মিষ্টি দ্রব্য পরিত্যাগ করে নিয়মিত অন্তত ১ চা চামচ মধু সেবন করা যায়। এতে ডায়াবেটিক রোগীরা বেশ উপকার পাবেন। প্রতিদিন সকালে ও রাতে ১ চা চামচ মধুর সাথে ছোট ১ চামচ চিনি গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে দীর্ঘদিনের আর্থ্রাইটিস রোগে উপকার পাওয়া যায়। চুলের খুশকির সমস্যায় লেবুর রসে মধু মিশ্রিত করে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করতে হবে। এভাবে ২০-৩০ মিনিট ম্যাসাজ করার পর শ্যাম্পু দ্বারা চুল পরিষ্কার করতে হবে। ৫-৭ দিন নিয়মিত এ ম্যাসাজ করলে খুশকি থেকে মুক্তি পেতে পারেন।মধুতে যদিও চিনি থাকে, কিন্তু এতে ভিটামিন ও মিনারেল থাকার কারণে এটি সাধারণ চিনির মত ওজন না বাড়িয়ে, কমায়।কারণ সাধারণ চিনি হজম করতে আমাদের শরীর নিজের থেকে ভিটামিন ও মিনারেল খরচ করে, ফলে এই সব পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হয়| এই সব উপাদান ফ্যাট ও কোলেস্টেরল কমাতে বা ভাঙ্গতে সাহায্য করে। ফলে যখন আমরা বেশি চিনি খাই, তখন অধিক ক্যালরি শরীরে জমা ছাড়াও এইসব পুষ্টি উপাদানের চিনি হজম করতে অতিরিক্ত খরচ হওয়ায় এই সব পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হয়।তাই ওজন বাড়তে পারে। কিন্তু মধুতে এসব উপাদান থাকার ফলে এগুলো হজমে সহায়ক এবং ফ্যাট ও কোলেস্টেরল কমায় । তাই এই পানীয় ওজন কমায়। মধু গলার স্বর সুন্দর করে। শরীরের ক্ষত দ্রুত সারায়। কণ্ঠনালী পরিষ্কার করে। যারা আবৃতি করেন তাদের প্রতিদিন মধু খেলে বেশ উপকার পাবেন। এছাড়া ঠান্ডা, জ্বর, গলা ব্যাথায় ভালো ওষুধ হিসাবে কাজ করে। মধু ত্বকের রং ও ত্বক সুন্দর করে। ত্বকের ভাজ পড়া ও বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে। বুদ্ধিবৃত্তি বাড়ায়। শরীরের সামগ্রিক শক্তি বাড়ায় ও তারুণ্য বাড়ায়।