মানুষের জীবনের সবচেয়ে দামী জিনিস কী এবং কেন? বুঝিয়ে বলবেন কি?
মানুষের মন… মানুষের জীবনে সবচেয়ে দামি জিনিস।
কেন? বুঝিয়ে বলছি শুনুন…
আপনি নিশ্চয়ই ওসামা বিন লাদেন, অ্যাডলফ হিটলার অথবা চন্দন দস্যু বীরাপ্পন এর কাহিনী শুনেছেন। একই সাথে আপনি অবশ্যই আব্রাহাম লিনকন, মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস, ভগৎ সিং, লেনিন, মাও সেতুং, ভাস্কো দা গামা এদের কাহিনী শুনেছেন।
এদের মধ্যে সাদৃশ্য যে এরা প্রকৃত পক্ষে যথেষ্ট মেধাবী এবং উচ্চ ইন্টেলিজেন্ট কোশেন্ট (IQ) ধারী মানুষ। নিজস্ব কর্মক্ষেত্রে এরা যথেষ্ট দক্ষ এবং অসাধারণ প্রতিভাধারী।
এদের মধ্যে বৈসাদৃশ্য হলো এরা নিজেদের এই অসাধারণ দক্ষতা এবং প্রতিভা ভিন্নভাবে প্রয়োগ করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকাতে মহাত্মা গান্ধীকে ইংরেজরা যখন ট্রেনের প্রথম শ্রেণীর কামরা থেকে বহিষ্কার করেছিলেন তার প্রতিবাদে মহাত্মা গান্ধী ইংরেজদের ভারত ছাড়া করার শপথ গ্রহণ করেছিল।
একইভাবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পর্যুদস্ত হওয়ার ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এডলফ হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করেছিল। এই বিশ্ব যুদ্ধ ছিল সর্বাত্মক ধ্বংসকারী রক্তক্ষয়ের কারণ। দুই ক্ষেত্রেই প্রতিশোধ নেওয়ার উদ্দেশ্য থাকলেও গান্ধীজীর প্রতিশোধ নেওয়ার পদ্ধতি ছিল সমাজের প্রতি এক শিক্ষামূলক দৃষ্টান্ত। এর মাধ্যমে পরবর্তীকালে ভারত বর্ষ তার স্বাধীনতা লাভ করেছিল।
কিন্তু দ্বিতীয় ক্ষেত্রে এডলফ হিটলারের প্রতিশোধ নেওয়ার ঘটনা অনেক নিরীহ মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠেছিল। পৃথিবী ধ্বংসের মুখে ধাবিত হচ্ছিল। পরিশেষে যদিও কর্মফলে হিটলারের মৃত্যু হয়। কিন্তু হিটলারের মৃত্যু হওয়ার আগে অনেক নিরীহ মানুষ মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে ছিল।
এই দুটি ঘটনার জন্য প্রধান দায়ী যদি কোন জিনিস থেকে থকে সেটা হল মানুষের মন। গান্ধীজী তার মনে কখনোই রাক্ষস কে বাসা বাঁধতে দেননি। ঠিক তেমনি হিটলারের মনেও কখনো ভালোবাসা জায়গা পায়নি। এক জায়গায় শোষিত মানুষ তার হারিয়ে যাওয়া স্বাধীনতা ফিরে পেল এবং অন্য জায়গায় নিরীহ মানুষ বিনা কারণে মৃত্যুমুখে ধাবিত হলো। আরে সবকিছুরই দুটি ভিন্নরূপী মনের জন্য।