মানুষের জীবনে আপন কে?
মানুষের জীবনে আপন কে? হয়ত আপনি ভাবতে পারেন, এ প্রশ্নের উত্তর তো সহজ। সবাই জানে মা-বাবাই সবচেয়ে আপন। পৃথিবীতে সবচেয়ে কাছের আপনজন হলো বাবা মা, এটা ঠিক।
- কিন্তু পুরো জীবনের নিজের আপন নিজেই।
- নিজের চেয়েও আপন আর কেউ নাই।
সবাই ছেড়ে গেলেও সুস্থ অসুস্থ বিপদ আপদ সুখে দুঃখে যে অবস্থায় থাকেন না কেন, আপনার আত্মা দেহ মন আপনার অঙ্গ পতঙ্গ আপনাকে ছেড়ে যাবে না।
- আপনার নিজের মনকে দুইটা সত্তাই ভাগ করে নিন।
- আপনি কষ্ট পেয়েছেন অন্যজনকে বলেছেন তারা হাসি তামাশা এবং মনে মনে আনন্দিত হতে পারে, আপনার কষ্ট আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।
- কিন্তু আপনি আপনার আরেক সত্তাকে জিজ্ঞাসা করুন সে আপনাকে সুন্দর কার্যকর পরামর্শ এবং সাহায্য করবে।
- আপনার দুঃখের সময় কাছের মানুষেরা সরে যাবে, কিন্তু আপনি নিজের মধ্যে দুটো সত্তা তৈরি করেছেন তারা কখনো আপনার থেকে দূরে যাবে না একজনকে জিজ্ঞাসা করুন সে আপনাকে উত্তর দিবে পরামর্শ দিবে দুজনের তর্ক করে আপনাকে হেল্প করবে।
- আমাদের দেহে দুটো সত্তা বাস করে, একটা খারাপ আর একটা ভালো, সব সময় দুজনে তর্কের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়।
- আপনি একটা খারাপ কাজ করতে গেলে আপনার ভালো সত্তা বাধা দেয়।
- আর ভালো কাজ করতে গেলে খারাপ সত্তা আপনাকে বিবান্ত করে।
আপনি যদি ভালো অবস্থানে জান আপনার জন্য ভালো, আপনার সাথে যারা জড়িত তাদের জন্য ভালো।
আপনি যদি খারাপ অবস্থানে জান আপনার জন্য খারাপ, আপনার সাথে যারা জড়িত তারা আপনার খারাপ অবস্থান দেখে নাও থাকতে পারে, আপনাকে ছেড়ে চলে যেতে পারে এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নাই। যার যার ভালোর জন্য সে তার ব্যবস্থা করে, । কিন্তু খারাপ পরিচিতি দেখে আপনি নিজেকে ছেড়ে দিতে পারবেন না।
একজন নিজের স্বার্থ পূরণের জন্য, আরেকজনের স্বার্থে পূরণ করার জন্য কাজ করে।
দুজন দুজনের জন্য কাজ করে কেন, দুজনের স্বার্থ পরণ হওয়ার জন্য। যে স্বার্থ দুজন ছাড়া পূরণ হবে না।
- আপনি বিয়ে করেছেন, তার মানে এখানে স্বার্থ আছে কেননা আপনার সঙ্গী প্রয়োজন, নয় অন্য কোনো স্বার্থ আছে সেটা আমি জানি না।
- আপনি সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করতেছেন তার মানে এখানে স্বার্থ আছে, কি স্বার্থ সেটা জানেন।
তাই প্রতিনিয়ত যার যার জায়গা থেকে নিজের জন্য কাজ করতেছে এবং নিজের অজান্তে নিজেকে আপন ভাবে এবং নিজেকে ভালোবাসে।