মানুষের ত্বকের রঙ ভিন্ন ভিন্ন হয় কেন?
মানুষের ত্বকের রঙ ভিন্ন ভিন্ন হয় কেন?
মানুষের শরীরে মেলানিন নামক একধরনের পিগমেন্ট থাকে। মেলানিন পিগমেন্টের ধরন ও পরিমাণের উপরেই নির্ভর করে মানুষের গায়ের রঙ। এই মেলানিন দু’প্রকারের হয়- ‘ইউমেলানিন’ ও ‘ফিউমেলানিন’। ইউমেলানিন বাদামি বা কালো রঙের পিগমেন্ট, আর ফিউমেলানিন হচ্ছে লাল বা হলুদ রঙের। মেলানিনগুলো মেলানোসাইটস নামে একটি কোষে তৈরি হয়। এই কোষ থাকে আমাদের ত্বকের বাইরের অংশে এপিডার্মিস স্তরে। শরীরে ইউমেলানিনের পরিমাণ যত বেশি হয়, গায়ের রঙ তত গাঢ় হয়। আবার ফিউমেলানিনের পরিমাণ বেশি হলে হালকা হয়। শরীরে পিগমেন্টের পরিমাণ যত কম থাকে, ত্বকের রঙ ততই হালকা হয়। আবার পিগমেন্ট বেশি থাকলে গাঢ় হয়। জিনগত পার্থক্যের কারণে মানুষের শরীরে মেলানিন পিগমেন্টের ধরন ও পরিমাণ ভিন্ন হয়।
আবার ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেও গায়ের রঙের ভিন্নতা দেখা যায়। এজন্য একেক দেশের মানুষের গায়ের রঙ একেক রকম হয়। এর পেছনে কারণ সূর্যের আলো। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি যেখানে যত বেশি পড়ে, সেখানকার মানুষের ত্বকের রঙ তত গাঢ় হয়। অতিবেগুনি রশ্মি যেখানে যত কম, সেখানকার লোকজনের গায়ের রঙ তত হালকা।
বিষুবরেখার কাছাকাছি এলাকাগুলোতে অতিবেগুনি রশ্মি বেশি পড়ায় সেখানকার মানুষের গায়ের রঙ গাঢ়। বিষুবরেখা থেকে অঞ্চলগুলো যত দূরবর্তী হবে, সেসব অঞ্চলের উপর অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব তত কমতে থাকবে। সেইসঙ্গে ওসব এলাকার লোকজনের গায়ের রঙও ততই হালকা হতে থাকবে।