মানুষের ভয়ের মূল উৎস কি?
২ ধরনের হতে পারে একটা হলো ইউনিভার্সাল আরেকটা নন-ইউনিভার্সাল !এর উদাহরণ হলো- মৃত্যু,যুদ্ধ,উচ্চতা,ডাকাত,একা থাকা ইত্যাদি ;যা কিনা সবার মধ্যেই মোটামুটি রয়েছে ! এর বেশিরভাগই হয়ত জেনেটিকভাবে চলে আসে ! আরো রয়ছে “কন্ডিশনিং ফিয়ার” (যেমন-বিড়াল,ইদুর দেখে ভয় পাওয়া যেগুলোর বাস্তব ভিত্তি নেই !) এবং “এক্সপেরিয়েন্সড ফিয়ার” (নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে !) যেগুলো হয়ত নন ইউনিভার্সাল লিস্টে ফেলানো যায় !
এখন,বাস্তব ঘটনা চিন্তা করি আমরা কেন ভয় পাই ? কি কি ঘটনা ? এর মধ্যে রয়েছে নতুন চাকুরী,এক্সিডেন্ট,নতুন পরিস্থিতি,ডাকাত ইত্যাদি আবার আরেকটা হলো নিজের ভাই-বোন কে নিয়ে ভয় ! এর মধ্যে প্রথমগুলো নিয়ে যদি বিশ্লেষণ করি তাহলে কারণ হিসেবে দাড়াবে “Myself” অর্থাত,সবক্ষেত্রে মূলে নিজে থাকে ! আর ২য় বিষয়গুলো হয়ত মনে হতে পারে নিজেরা জড়িত নয় কিন্তু,মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করলে পরোক্ষভাবে আবারও আসছে সেই “Myself”
এখন কেন এই জিনিষটা ঘটছে ? এর জন্য আমাদের পিছনে যেতে হবে !যখন রেপ্টেলিয়ানরা ছিল তাদের মস্তিষ্কে সবসময় একটা বিষয় কাজ করত তাহলো “Fight or flight” অর্থাত সারভাইভাল ! বহু বছর বিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সেই মৌলিক জিনিসটার নানা শাখা-প্রশাখা গজিয়েছে ! কিন্তু,ভয় হবার সেই মূল বিষয় কিন্তু একটাই সারভাইভাল !!
প্রশ্ন আসতে পারে ভয়ের বিষয়টা কিভাবে কাজ করে ? এর জন্য দায়ী মস্তিষ্কের বিশেষ কিছু অংশ ! যেমন-থ্যালামাস,হাইপো-থ্যালামাস,সেনসরি কর্টেক্স,হিপোক্যাম্পাস আর এমিগডালা ! যখন কোনো ভয়ের কিছু দেখি তখন সেইটা থ্যালামাস যায় তারপর তার যাওয়ার ২টা পথ থাকে একটা হলো “হাই-রোড”আরেকটা “লো-রোড” সে এখানে থেকে একটা পথ বেছে নেই ! যখন “লো-রোড”বেছে নেই তখন তা এমিগডালা হয়ে হিপোক্যাম্পাসে আসে তারপরেই শরীরবৃত্যীয় কিছু পরিবর্তন হয় আর আমরা ভয় পাই ! আর যখন তা হাইরোড যায় তখন সেখানে কিছু বিশ্লেষণ মধ্যে দিয়ে যায় যে আসলেই ভয় পাওয়ার মত কোনো ঘটনা কিনা ! যখন দেখে না তখন আবার স্বাভাবিক হয়ে আসে !
এর বাস্তব উদাহরণ দিলে ছোটবেলার একটা খেলার কথা বলব যখন কাউকে হালুম করে চমকে দেয়া হত !এখানে দেখা যায় ১মবার সে ভয় পাচ্ছে কিন্তু এরপরে হাজার হালুম করলেও পাচ্ছেনা কারনটা খুব সহজ ২য় বার মস্তিস্ক লো-রোড দিয়ে যাবার বোকামি করেনি।