মানুষ কেন মারা যায়?
খুবই ভয়াবহ একটা প্রশ্ন করে ফেলেছেন। যার উত্তর অনেকেই জানে না। সঠিক ভাবে জানানোর ক্ষমতা আমার নেই তবে কিছুটা বোঝানোর চেষ্টা করছি।।
মানুষের জন্মই হয় মৃত্যুর জন্য অর্থ্যাৎ যার জন্ম আছে তার মৃত্যু অনিবার্য। প্রত্যেক ধর্মগ্রন্থের মূল বানী “” যেমন কর্ম করবেন তেমনি ফল পাবেন “” । যেহেতু আপনার ইচ্ছেই আপনার জন্ম হয়নি সেহেতু আপনার ইচ্ছেই আপনার মৃত্যু ঠেকাতেও পারবেন না।
কর্মের ফল ভোগ করা শেষ হলেই আপনাকে এই সুন্দর পৃথিবী ছাড়তে হবে। পৃথিবীতে আমরা কর্ম করার জন্যই এসেছি, ভোগ্য বিহীন কর্ম হয় না তাই অধিক মাত্রাই ভোজন পরিহার করুন। পানি ছাড়া যেমন প্রানীর প্রান থাকেনা তেমনি কর্ম ছাড়া মানুষ জীবন যাপন করতে পারে না।
মানুষ ঘুম থেকে উঠে প্রথমে চোখ মুখে পানি দেয় কারন এটা মানুষের ধর্ম, কোনো পশু পাখির ধর্ম নয়। প্রত্যেক প্রানীর খাবারের প্রয়োজন হয় তাই মানুষ তার বুদ্ধি দিয়ে রান্না করে বা ফল খেয়ে থাকে। পক্ষান্তরে অন্যান্য প্রানীর হাত না থাকাই তারা রান্না করতে পারেনা তাই তারা উদ্ভিদ বা অন্যান্য প্রানীকেই খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। যেহেতু তাদের রান্না করার ক্ষমতা নেই সেহেতু তাদের জন্য জীবিত পশু ধরে ধরে খাওয়াটা হারাম না। মানুষ ভুল করে না বুঝেই প্রানী হত্যা করে খাবারের জন্য। যেহেতু কর্মের ফল প্রকাশিত হয় সেহেতু আপনার শরীরকেও অন্যের খাবার হিসেবে দিতে হবে, এটাই আপনার কর্মের ফল। মাটির খাবার হিসেবে আপনার পছন্দের শরীরটা আপনার মৃত্যুর পর দিয়েদিতে হবে।
হিন্দু পুন্ডিতরা এটা অনেক আগেই উপলব্ধি করেছিল তাই তারা শরীরকে পুড়িয়ে ফেলে। কিন্তু তাতেও তারা রেহাই পাবেনা বা পায়না। তাদের কর্মের ফল পূর্বে পরিশোধ থাকে, এজন্যই হিন্দু ধর্মগ্রন্থে জীব হত্যা মহাপাপ। হিন্দু ধর্মের অনেক মানুষ এখনও মাছ মাংস খাই না তারা নিরামিষ আহার করে। খেয়াল করে দেখুন প্রকৃতির নিয়মে অনেকের শরীর পুড়ানো হয় আবার অনেকের শরীর কবর দেয়া হয়।
পৃথিবীটা যেমন ঘুরছে তেমনি আমাদের জীবনটাও ঘুরছে। পালাক্রমে এক প্রানী অন্য প্রানীকে হত্যা করেই চলেছে। এভাবেই চলবে প্রানীদেরো জীবন এতে মানুষের জীবনও ব্যতিক্রম নয়। কর্মের মাধ্যমেই আত্মা বা রুহু শরীর পরিবর্তন করে, যার নাম জন্মান্তর। আপনার শরীর আর জন্মগ্রহণ করবে না বরং আপনার আত্মা বা রুহু অন্য শরীরে প্রবেশ করবে এটার নামই পূর্নজনম। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন মানুষের মৃত্যুর কারন তার কর্মের ফল।।