মিরপুর স্টেডিয়াম বর্তমানে পৃথিবীর মধ্যে কততম জনপ্রিয় স্টেডিয়াম?
মিরপুর স্টেডিয়াম বর্তমানে পৃথিবীর মধ্যে কততম জনপ্রিয় স্টেডিয়াম?
ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত স্টেডিয়ামকে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম বলে থাকে। স্টেডিয়ামটি মিরপুরের ৬ নং সেক্টরে অবস্থিত। এটি বর্তমানে শুধুমাত্র ক্রিকেট মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২৬,০০০ দর্শক ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়ামটি স্থাপিত হয় ২০০৬ সালে। শুরুতে এটি মিরপুর স্টেডিয়াম হিসেবে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার স্টেডিয়ামটির নাম পরিবর্তন করে বর্তমান নাম শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম রাখে। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নিজস্ব মাঠ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম থেকে শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে করা হয়। এটি বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট, টেস্ট,ওয়ান-ডে, টুয়েন্টি২০ এবং বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের নিজস্ব মাঠ।
২০১১ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের অন্যতম ভেন্যু হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়।
এই মাঠটি বিশ্বমানের সুবিধাসমূহের সমন্বয়ে তৈরি একটি আধুনিক স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামটি উপমহাদেশের সেরা মাঠগুলোর একটি। এই মাঠের মূল বৈশিষ্ট্য হল এর আধুনিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। মুলতঃ ফুটবল এবং এথলেটিকসের জন্য তৈরি করায় এই মাঠটি আয়তক্ষেত্রাকার। ক্রিকেট খেলার উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অনেক পুণঃনির্মাণ কাজ করতে হয়েছে। এমনকি তিনফুট মাটি খুঁড়ে লাল এথলেটিকস ট্র্যাক তুলে ফেলা হয়েছিল। কংকর, মাটি আর ঘাস বিছানোর পূর্বেই পিভিসি পাইপ বসিয়ে নেওয়া হয়েছিল। উইকেট থেকে বাউন্ডারি পর্যন্ত ঢাল চমৎকার এবং সমান হয় ২৯ ইঞ্চির সমান ব্যবধানের দ্বারা। ২০০৯ সালেফ্লাডলাইট লাগানোর পর থেকে শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিবা-রাত্রি ক্রিকেট ম্যাচ-ও আয়োজন করা সম্ভব হয়।
২৫শে মে ২০০৭, এই মাঠে প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়। যা ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাথে ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের। এই মাঠে প্রথম ওয়ান-ডে ম্যাচ খেলা হয় ১৮-ই ডিসেম্বর ২০০৫ বাংলাদেশ বনাম স্কটল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে।
এই স্টেডিয়ামটি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় একটি স্টেডিয়াম।