মীলাদুন্নবীর মিষ্টি খাওয়া কি হারাম, মাহফিলের আগের দিন, পরের দিন এবং মাহফিলের দিন, এ উপলক্ষে মিষ্টি খরিদ করার বিধান কী ?

মীলাদুন্নবীর মিষ্টি খাওয়া কি হারাম, মাহফিলের আগের দিন, পরের দিন এবং মাহফিলের দিন, এ উপলক্ষে মিষ্টি খরিদ করার বিধান কী ?

Add Comment
1 Answer(s)

    উত্তর : আল-হামদুলিল্লাহ

    প্রথমত :

    মীলাদুন্নবী বিদআত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অথবা তার কোন সাহাবি অথবা কোন তাবেঈ অথবা কোন ইমাম থেকে এর প্রচলন নেই, বরং এর প্রচলন শুরু করেছে আবিদী সম্প্রদায়, যেরূপ তারা অন্যান্য বিদআত ও গোমরাহী সৃষ্টি করেছে।

    দ্বিতীয়ত :

    ক্ষতিকর কোন উপাদান না থাকলে মিষ্টি খাওয়া ও কেনা বৈধ, যদি এতে নিষিদ্ধ কর্মের প্রতি উৎসাহ না থাকে অথবা নিষিদ্ধ কর্মের প্রচার ও স্থায়িত্বের কারণ না হয়।

    তবে আমাদের কাছে স্পষ্ট যে, মীলাদুন্নবীর সময় মিষ্টি খরিদ করা মীলাদুন্নবী প্রচার করা এবং তার প্রতি এক ধরণের সমর্থন, বরং প্রকারান্তরে মীলাদুন্নবী উদযাপন করা হয়। কারণ, মানুষের অভ্যাসে যা পরিণত হয় তাই ঈদ, যদি তাদের অভ্যাস হয় এ দিনে এ ধরণের খাদ্য ভক্ষণ করা, অথবা মীলাদুন্নবী উপলক্ষে মিষ্টি তৈরি করা, বছরের অন্যান্য দিন যেরূপ হয় না, তাহলে এ দিনে এ মিষ্টি বিকিকিনি করা, খাওয়া অথবা হাদিয়া দেয়া এক ধরণের মীলাদ মাহফিল উদযাপন করার শামিল, তাই এ দিনে এসব পরিহার করাই উত্তম।

    এ বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি : ভালবাসা দিবসের সাথে সম্পৃক্ত যাবতীয় বস্তু এবং ভালবাসা দিবস উদযাপনের নিদর্শন লাল রঙের মিষ্টি ক্রয় ও হৃদপিণ্ডের ছবি সম্বলিত জিনিস আদান-প্রদান, ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবহার সম্পর্কে ‘লাজনায়ে দায়েমার’ ফতোয়ার প্রতি :

    “কুরআন-হাদিসের স্পষ্ট দলিল ও উম্মতের ঐক্য মত যে, ইসলামের ঈদ দু’টি : ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর। এ ছাড়া অন্যান্য ঈদ বেদআত, হোক না তা কোন ব্যক্তির সাথে সম্পৃক্ত অথবা কোন দলের সাথে সম্পৃক্ত অথবা কোন ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত অথবা অন্য কোন জিনিসের সাথে সম্পৃক্ত। কোন মুসলমানের পক্ষে এসব ঈদ পালন করা, সমর্থন করা, এতে আনন্দ প্রকাশ করা ও কোনভাবে এর সহযোগিতা প্রদান করা বৈধ নয়। কারণ এগুলো আল্লাহর সীমা রেখার লঙ্ঘন, আর যে আল্লাহর সীমালঙ্ঘন করল সে নিজের উপরই যুলম করল। অনুরূপ যে কোন জিনিসের মাধ্যমে এ ঈদ বা এ ধরণের অন্যান্য ঈদে সাহায্য করা হয় তাও হারাম, যেমন খাওয়া অথবা পান করা অথবা বিক্রি করা অথবা কেনা অথবা তৈরি করা অথবা হাদিয়া দেয়া অথবা প্রেরণ করা অথবা প্রচার করা ইত্যাদি। কারণ এসবের মধ্যে রয়েছে গুনা, অবাধ্যতা এবং আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরুদ্ধাচরণে সহযোগিতা প্রদান করা। আল্লাহ তা’আলা বলেন :

    সৎকর্ম ও তাকওয়ায় তোমরা পরস্পরের সহযোগিতা কর। মন্দকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে পরস্পরের সহযোগিতা করো না। আর আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ আযাব প্রদানে কঠোর”। সূরা মায়েদা : (২)” আল্লাহ ভাল জানেন।

    Professor Answered on April 5, 2015.
    Add Comment
  • RELATED QUESTIONS

  • POPULAR QUESTIONS

  • LATEST QUESTIONS

  • Your Answer

    By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.