মেয়েদের ম্যাচুরিটি আগে হয় কেন?
কোন্ ম্যাচুরিটির কথা বলছেন ! শারীরিক নাকি মানসিক ম্যাচুরিটি!
তাদের ম্যাচুরিটি আগে হয়, এটা আপনি নিশ্চিত। কিন্তু কেন হয়!
ম্যাচিওর মানুষ তার চারপাশের পরিবেশ ও মানুষকে ডিকোডিং করতে শেখে। তারপর ভালোমন্দের সিদ্ধান্ত নেয়। ডিকোডিং হল “পাঠোদ্ধার ক্ষমতা” ।
মেয়েরা কি সত্যি ছেলেদের আগে পারিপার্শ্বিক কিছু ডিকোডিং করতে শেখে! তাহলে তাদের আমরা ভালো ডিকোডারও বলতে পারি! আমাদের চারপাশের পরিবেশ ও মানুষসহ প্রাণীদের মনের পাঠোদ্ধার করা বেশ কঠিন কাজ। এই কঠিন কাজটি সহজভাবে করে টিকে থাকা এবং এগিয়ে চলার কাজটি নারীরা বেশ ভালভাবেই করছে।
আমার মা আমার বাবার চেয়ে পনের বছরের ছোট হওয়া সত্বেও টাকা পয়সার হিসাব ও বাচ্চাদের পড়ালেখার খবর বেশি রাখতেন। কিন্তু কিভাবে পারতেন!
হ্যাঁ, বিজ্ঞানও তাই বলছে।
মেয়েদের ব্রেইন বয়ঃসন্ধিকালে দু’বছরের মতো এগিয়ে থাকে। প্রকৃতপক্ষে, নিউরো-ইমেজিং পরীক্ষায় দেখা যায় যে, প্রথমদিকে, সাধারণত কিশোরীদের মস্তিষ্কের যে অঞ্চলগুলি তথ্য অনুপ্রবেশকে নিয়ন্ত্রণ করে – অ্যামিগডালা – এবং বিচারকাজ এর প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সের মধ্যে দৃঢ় সংযোগ রয়েছে, সেই সংযোগগুলো তুলনামূলক সুগঠিত।
প্রাকৃতিক নিয়মে মেয়েদের যৌবন ছেলেদের ২ থেকে ৩ বছর আগে আসে। কিশোরী থেকে সে নারীতে পরিণত হওয়া মাত্র, তার উপরে হরমোনের প্রভাব চলতে থাকে। এই দু বছরেই সে শিখে নিতে শুরু করে পরিবর্তনগুলো আর দ্রুত চলতে থাকে সে পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানোর প্রতিযোগিতা।
আসলে আপনি পুরুষ, মহিলা বা তৃতীয় লিঙ্গ যাই হোন না কেন, শৈশবকাল থেকে মস্তিষ্ক একটি বড় পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় । মস্তিষ্কের যে সংযোগগুলি নিয়মিত ব্যবহৃত হয় না সেগুলি সঙ্কুচিত হয়ে যায় এবং ব্যবহারের অভাবে অকেজো হয়ে যায় ।
— যখন নিয়মিত নিউরাল নেটওয়ার্কগুলি পুষ্ট থাকে এবং বেঁচে থাকে একে “ফায়ার অ্যান্ড ওয়্যার” বলা হয়, এবং এটি “নিউরাল ডারউইনবাদ” এবং নিউরাল নেটওয়ার্কগুলির মধ্যে উপযুক্ততমদের বেঁচে থাকার উদাহরণ। এভাবেই মস্তিষ্কের সংযোগগুলির নিয়মিত চর্চা ব্যবহারকারী কে বাড়তি সুবিধা দেয়। নিজ নিরাপত্তার জন্য মেয়েদের ইমোশনাল পরিশ্রম পুরুষের চেয়ে বেশি।
এসময় নারী জাতি, কে কি বললো, কেন বললো, কে কি চায়, কেন চায় এসবের ডিকোডিং শুরু করে আর পৌঁছে যায় ম্যাচুরিটিতে। সে দুবছর ছেলেরা কিশোর থাকে তারপর তাদেরও এভাবে ম্যাচুরিটির মহাসড়কে পা ফেলতে হয়।
এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে লিংকটি দেখে নিতে পারেন।