মেয়েদের সম্পর্কে কিছু মনস্তাত্ত্বিক কৌশল জানাবেন কি?
মেয়েদের সম্পর্কে কিছু মনস্তাত্ত্বিক কৌশল জানাবেন কি?
আমরা ছেলেরা ভুলভাবে নারীদের পড়ে এসেছি । বন্ধুবান্ধব বা নাটক সিনেমা দেখে দেখে নারীদের ব্যাপারে ভুলভাবে জেনে এসেছি। আমার এই বয়সে যা বুঝেছি তা হলো:
১) মেয়েরা একটা ছেলের চেয়ে অনেক বেশি হিসাবী , পরিপক্ক ,একটা ১০ বছরের মেয়ের সাথে একটা ১৮ বছরের ছেলের ম্যাচুরিটি কিছুটা মিলে। আবেগের চেয়ে বিবেক বেশি সক্রিয় তাদের।
২) মেয়েরা আপনার সৌন্দর্য্যের চেয়ে আপনি কতোটা তার জন্য নিরাপদ সেটা দেখবে।
৩) ইজ্জত রক্ষা, নিরাপত্তা এই সবেই তাদের কনসার্ন বেশি।
৪) বিয়ের পর আগের প্রেম তারা চাপা দিয়ে রাখে এবং এবং নতুন সংসারে পুর্ণমনোযোগ দেয়। কারণ তার কাছে সামাজিক মর্যদা প্রেমের চেয়ে বেশি। সে চায়না বাপ্পারাজ এসে আবার ঝামেলা করুক স্বামীর সংসারে। বাপ্পারাজ যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক সেটাও চায়।
৫) মেয়েরা বাইরে ঘুরতে পছন্দ করে। বিশেষত মার্কেটে । জিনিস কিনতেও পারে ,নাও কিনতে পারে।
৬) জায়গায় বেজায়গায় সেক্স এর জন্য মুখিয়ে থাকে না। নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে ভিন্ন । যেহেতু সেক্স এর পরে একটা মেয়ে বেশি সাফারার। একটা ছেলের তুলনায় একজন মেয়ে অনেক বেশি লয়েল তার স্বামীর প্রতি। তারা একজনকে নিয়েই পার করতে চায় যদি সে একজন তাহাকে ভালো গুরুত্ব দেয়। এমনকি শারীরিক ভাবে সুখ না পেলেও সেটা মিটআপের জন্য উৎলা হয় না ছেলেদের মতো। বাংলাদেশে বেশির ভাগ স্বামীই বিয়ের বছর খানেক পরেই স্ত্রীদেরকে খুব একটা পাত্তা দেয় না। যার কারণে বউয়েরা মনোকষ্টে ভোগে । অন্যদিকে একটা ছেলে চায় সব সুন্দরী তার গা টিপে দিক। একপাশে থাকুক হানাজ সান্ধু আরেক পাশে থাকুক ক্যারিনা ।
৭) মেয়েদের যেহেতু হরমোনাল আপডাউন বেশি (পিরিয়ড সময়ে আরো বেশি) তাই তাদের মোড সুইং বেশি। এই দিনতো এই রাত । বুঝে উঠতে কষ্ট হবে।
এই গুলা বাংলাদেশী অন এভারেজ নারীদের নিয়ে বলেছি। ভালো খ্রাপ থাকতে পারে। নারীদের সাথে মিশতে হলে প্রথমেই তাহাকে সেক্স উদ্দীপক ভেবে তার সাথে ভাব জমাতে যাবেন না। নারী হিসাবে নয় একজন বন্ধু হিসাবেই নিতে হবে। সেক্সুয়াল ডিজায়ার নিয়ে কোন নারীর দিকে যাওয়া, সম্পর্ক করা, কৌশলে তা আদায়ের চেষ্টা বুমেরাং এবং বিশ্রী কিছু হতে পারে। আসলে সেক্সুয়াল রিলেশন থেকে বন্ধুত্বের সম্পর্ক অনেক বেশি নিটোল । নারীকে সম্মানের চোখে দেখলে নারী পুরুষ দুইজনই খুশি থাকা যাবে । আপনাকে ভাবতে হবে সে তার শারীরিক কারণে শরীরের নিরাপত্তা নিয়ে অনেক বেশি উদ্দিগ্ন থাকে। মোট কথা একটা মেয়ের কাছে সামাজিক নিরাপত্তাই শেষ কথা এবং শেষ প্রেম।