মেয়েরা আসলেই কি ভালবাসে?
১. ন্যাকামো করাটা মেয়েদের জন্মগত অধিকার- মেয়ে without ন্যাকামো? শুনে মনে হচ্ছে ছেলে without দাঁড়ি! তবে তাদের যোগ্যতায় ভেরিয়েশন আছে, কেউ ন্যাকামোতে মাধ্যমিকের গণ্ডি ডিঙোতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছে, আবার কেউ স্কলারশিপ নিয়ে পিএইচডি করে ফেলেছে! যেন ব্যাপারখানা হল, ইয়ে ‘দোস্তি’ হম (মেয়ে + ন্যাকামো) কভি নেহি তোড়ঙ্গে!
২. একই কথার প্যানপ্যানানি। নিন্দুকেরা এরই নাম দিয়েছেন ‘প্যানপ্যানানি’। এ কাজে মেয়েরা বেশ দক্ষ।
৩. প্রেম করার পর মনে হয় এই ছেলের সঙ্গে প্রেম করলাম কি করে- ‘প্রেমে মজবার আগে যে ছেলেটির ক্রিকেটীয় স্কিল, ডেডিকেশন দেখে মেয়েটি প্রেমে খাবি খেয়েছিল, মাস না ঘুরতে সেই বয়ফ্রেন্ড খেলার কারণে কল মিস করলে ঝগড়া, কান্না, ফোন বন্ধ কত্তকি! ‘এরকম একটা ইনসেনসিটিভ ছেলেকে ভালবেসেছি!’ মেয়েরা নিজেদের যেকোনো সিদ্ধান্তে অনবরত মাথা ঠুকে চলে।
৪. পলিটিক্স, খেলা, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের ব্যাপারে মেয়েরা খুব একটা খোঁজ রাখে না। কম্পিটিটিভ পরীক্ষার আগে দুলে দুলে গুচ্ছের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের পুরিয়া গিলে নেয়া ছাড়া, তারা ও পথ ভুলেও মাড়ায় না।
৫. মেয়েদের পেটে কথা থাকে না- কন্যেরা ইচ্ছে করে গোপন কথাটি ওপেন করে, এরকম কথা না বলে এটা বলা ভাল যে, আসলে কোন অ্যাকশনের কি রিঅ্যাকশন হতে পারে, তা ঠাওর করার মত ইনটিউশন ‘মেয়েদের’ নেই!
৬. মেয়েদের ‘না’ মানে ‘হ্যাঁ’- নারী বাহিনীর মুশকিল ব্যাপারটা হল গিয়ে, তারা পষ্টাপষ্টি কথা বলতে পারে না। তাই প্রেমিক প্রবরকে হতে হবে ‘অন্তর্যামী’! প্রেমিকার আবেগের একবিন্দু দেখে বন্ধুকে সিন্ধুর আয়তন আন্দাজ করতে হবে। না পারলে হয়ে গেল!
৭. মেয়েরা যুক্তিবুদ্ধির ধার ধারে না, আবেগে ভাসে।
৮. মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু- এটা হয়তো মেয়েদের নামে চালানো মেল শভিনিস্ট কুলের অপপ্রচার। তারা এমন একখানি ছেলে দেখাক, যে নিজে ফেল্টু আর বন্ধু পেয়েছে ফাস্টো কেলাস!!
৯. ছেলেরা সাজতে সময় নিলে তারা হাসির খোরাক! সাজুগুজু করবে মেয়েরা। ছেলেদের সাজ বডি স্প্রে-তে শুরু, আর অখানেই শেষ। সেখানে যদি কারও রেডি হতে সময় লাগে, তার ‘জেন্ডার’ নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাবে!
১০. ভালবাসা থাকুক ছাই না থাকুক আদিখ্যেতা চাই- ভালবাসা আর দেখন্দারির মধ্যে তফাতটা মেয়েরা ঠিক বোঝে না। ‘প্রেম’ করলে যত্ন আত্তি দেখাতেই হবে! তারপর সেই কেয়ারিং প্রেমিক কেয়ারের মুন্ডুপাত করে ভোকাট্টা হলেও ক্ষতি নেই!
১১. মেয়েরা জোড়ি মেকার, ছেলেরা জোড়ি ব্রেকার- পাঁচ বন্ধুর মধ্যে একটির রমণীরত্ন জুটেছে, বাকীদের কপাল ঢনঢনে। তখন ‘রইল বাকি চার’ এর জীবনের ব্রত, বন্ধুটিকে যেনতেন প্রকারে নিজেদের সিঙ্গেল লাইনে ঢুকিয়ে নেয়া। উল্টো দিকে মেয়েরা, বয়ফ্রেন্ডের বন্ধুর সঙ্গে নিজের সিঙ্গল বন্ধুর সেটল করার জন্য ঘটকালি করে… এহেন মিল-মিলান্তির বেত্তান্ত শেষ হবার নয়।
১২. ব্রহ্মাস্ত্র কান্না- ও আমার জন্মদিন ভুলে গেল? মা দ্যাখো, দাদা আমার টিশার্ট নোংরা করে দিয়েছে! বাবা, এতো ছোট ভুলের জন্য তুমি এত্ত বকলে? সব কিছুতেই ভ্যাঁ! একবার যখন ‘কান্না’ নামক ব্রহ্মাস্ত্রটি ছুঁড়ে দিল মেয়েরা, ব্যাস তাতেই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড ঘায়েল! পটাপট সব ‘না’ গুলো ‘হ্যাঁ’ তে বদলে গেল।
১৩. নিজের সিদ্ধান্তে প্রশ্নচিহ্ন ঝোলে- বয়ফ্রেন্ড বাছাই, জামা-জুতো কেনা, খাবার অর্ডার করা মায় দুই বন্ধু এক সাথে রুমাল কিনলেও, অন্যেরটা দেখে মনে হয়, ধুস ওরটা আমার চেয়ে ঢের ভালো। নিজের সিদ্ধান্তে ললনারা খুশি হতে পারে না। তারা ডাইনে বাঁয়ে না গিয়ে দুইএর মাঝে ঝুলতে থাকে।
১৪. সব মেয়ের স্বপ্ন ‘প্রিন্স চার্মিং’- সক্কলের স্বপ্ন বয়ফ্রেন্ড কে দেখতে হবে ফিল্ম স্টারের মত।
১৫. ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ম্যাচিওরিটি আসে তাড়াতাড়ি- পরিপক্কতার আর দোষ কি! ছোটবেলা থেকেই মেয়েদের বড় করার কাজে কমর বেঁধে লেগে পড়ে বাড়ির বড়রা। সেখানে ছেলেরা বাড়িতে অনন্তকাল ‘খোকা’ থাকে। বিয়ের সময় বাবা-মা এর প্রথম প্রশ্ন, দুজনের বয়সের ফারাক কত? প্রশ্নে যুক্তি হ্যাজ।
১৬. কেয়ারিং হতে পারে শুধু মেয়েরাই- আচ্ছা, কেয়ার কাকে বলে? আসলে কেয়ারের অন্তরালে মেয়েরা তো চায় একটি বংশবদ বয়ফ্রেন্ড, যে তার হ্যাঁ-তে ঘাড় হেলাবে না-তে ঘাড় ঝাঁকাবে।
১৭. যেসব ছেলে মজার কথা বলে, তাদের মেয়েরা বেশি পছন্দ করে- কথাটা পুরোপুরি সঠিক নয়। তারা মাঙ্কি টাইপের ছেলেদের বেশি পছন্দ করে।
১৮. অনলি দর্শনদারি, নো গুণ বিচারি- ফ্রম বয়ফ্রেন্ড টু পেট… লুক নিয়ে নো কম্প্রোমাইজ। বিচ্ছিরি পোশাক পরলে বা নট সো গুড লুকিং বয়ফ্রেন্ড এর হাত ধরে বেরোলে মেয়েদের ‘পেস্টিজ’ পাংচার হয়।