যখন কেউ নিজের ভুল স্বীকার না করে তর্ক করেন, তখন কী করা উচিত?
প্রশ্নের জন্য পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যয় কে ধন্যবাদ।সরাসরি প্রশ্নের উত্তরে চলে আসলাম — মানুষ হয়ে জন্মেছি আর ভুল হবে না আশ্চর্য !! ভুলকে শুধরে নিয়েই তো জীবনের পথ চলা ! এটা সুস্থ মস্তিষ্কের লক্ষণ বলে মনে করি । তবে হে তর্কের যেমন প্রকারভেদ আছে ; তেমনি ভুল কে ভুল বলে স্বীকার করে নেওয়ার যে মানসিকতা সেখানেও দুধরনের চরিত্র বিদ্যমান।
যেমন— ১) এই চরিত্রের লোকেরা যখন বুঝতে পারেন — লোকটি সত্যিকারেই ভুল করেছে! অথচ নিজের শূন্যতাকে ঢাকতে সবচেয়ে বাজে ও অকার্যকর ঢাল প্রয়োগ করে নিজের ভুলকে ভুল বলে স্বীকার না করে তর্ক করেই চলেছে !! সেই ক্ষেত্রে এই চরিত্রের লোকেরা নিজেকে বিচক্ষণ মনে করে নীরব থেকে, সামনে থেকে সরে যাওয়া উচিত বলে মনে করেন।
২) এই চরিত্রের লোকেরা যখন পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পারেন যে— লোকটি এত ভুল কাজ করে এত বড় অন্যায় করলো ! তবুও ভুল স্বীকার করেছে না … !! নিজের বড়ত্ব জাহির করার জন্য মিথ্যে অপচেষ্টার ঢাল হিসাবে তর্ক শুরু করলো… !! এহেন অবস্থায় কেউ একজন ভাববেন— নাহ্ , সব জেনেশুনে, ওর এই অন্যায় কাজকে প্রশ্রয় দিয়ে— আমার চুপচাপ চলে যাওয়া উচিত হবে না। চেষ্টা করেই দেখি, ওর কৃতকর্মের ভুল ধরিয়ে দিয়ে, ভুল স্বীকার করাতে পারি কি না !!!! এই ভাবনাকে সফলতায় রূপদানের জন্য বহু বাক্য-ব্যয় করতে হবে যেমন — ভুল অন্তর দিয়ে স্বীকার করা, মহত্ত্বের প্রকাশ, এটি মানুষের একটি সদগুন , নিজের ভেতরের শুভ শক্তির প্রকাশ……. ইত্যাদি ইত্যাদি । এই চেষ্টার ফল হিসেবে দেখাগেল যে — লোকটি নিজের ভুল বুঝতে পারল এবং অনুতপ্ত হয়ে ভুল স্বীকার করে নিল। আবার উল্টোও হতে পারে, সব চেষ্টা ব্যার্থও হতে পারে।
এবার স্থান কাল পাত্র বিশেষে কোন চরিত্রকে প্রাধান্য দেবেন সেটা নিতান্তই নিজস্ব ব্যাপার ।
তবে এটাও ঠিক, অনেক সময়ই দেখা যায় সুযোগ্য পরামর্শদাতা বা পথ প্রদর্শকের সাহায্য এই ধরনের কুতর্কের লোকেরা নিজের ভুলগুলো শুধরে নিতে সক্ষম হয়েছেন ।
