যমজ বাচ্চা কেন হয় ?
যমজ বাচ্চা জন্মদানের ঘটনা খুব একটা বেশি না। বড়জোর একশ’ জনে একজন মহিলা যমজ বা টুইন বেবি জন্ম দেয়। কখনও কখনও তিনটি, চারটি, পাঁচটি বা ছ’টি বাচ্চাও হতে পারে। মায়ের বয়স ৩৫-এর বেশি হলে এবং চারটি বা তারও বেশি বাচ্চার জন্মের পর আবার বাচ্চা হলে যমজ বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। বংশগত কারণেও হতে পারে। নিঃসন্তান মহিলার চিকিত্সায় ব্যবহার করা হয় এমন কিছু ওষুধের প্রভাবেও যমজ বাচ্চা হতে পারে। যমজ বাচ্চার জন্ম হয় সাধারণত দু’ভাবে। প্রথমত একটি নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুর মধ্যে কোনো কারণে দু’ভাগে ভাগ হয়ে গেলে। এ ধরনের যমজ বাচ্চার দুটিই হয় ছেলে, না হয় মেয়ে হবে। এদের রক্তের গ্রুপও হবে এক। কখনও কখনও পেটে-পিঠে বা মাথার দিকে একে অন্যের সঙ্গে জুড়ে থাকে। সফল অস্ত্রোপচার সম্ভব হলে অনেক সময় এ ধরনের যমজদের বাঁচানো সম্ভব। দ্বিতীয়ত একই ঋতুচক্রে আকস্মিকভাবে দুটি ডিম্বাণু আলাদা আলাদা শুক্রাণু দিয়ে নিষিক্ত হয়ে গেলে একই সঙ্গে দুটি শিশুর জন্ম হতে পারে। এ ক্ষেত্রে দুটি শিশুই ছেলে বা মেয়ে হতে পারে কিংবা একটি ছেলে, অন্যটি মেয়ে হতে পারে। জন্মের পর সুস্থভাবে বেঁচে থাকার বহু নজির রয়েছে এ ধরনের যমজদের। গর্ভবতী অবস্থায় গোটা ফল বা সবজি কিংবা জোড়া কলা খেলে যমজ বাচ্চা হয়-এ ধরনের নানা সংস্কার আমাদের সমাজে রয়েছে। এগুলো সবই ভুল।