রিয়ালিটি কিভাবে আয়ত্তে আনবো?

    রিয়ালিটি কিভাবে আয়ত্তে আনবো?

    Add Comment
    1 Answer(s)

      কে না চায় তাই না ? ঘড়ির কাঁটা উল্টোদিকে চললে কি না ভালো হতো ? জাপানি , চাইনিজ, মার্কিন আর ইউরোপীয়ানরা অনেক গবেষণা করেছেন । সুন্দর কতগুলো নিয়ম বের করেছেন । আসুন না সেগুলো অনুসরণ করি ।

      (১) তিনটি সাদা জিনিস পরিহার করুন । না, আমি আপনাকে “বর্ণবিদ্বেষী ” হতে বলছিনা । চিনি, লবণ আর ময়দা এ তিনটি শব্দ আপনার অভিধান থেকে কেটে ফেলুন ।

      আপনি রসগোল্লার মতো চোখ বড়ো বড়ো করে বলবেন “এটা কি করে সম্ভব ” ? তাহলে মিষ্টির দোকানদাররা তো না খেয়ে মারা যাবে ।

      মনে রাখবেন চিনি বিষ ।

      যে সব পণ্ডিতরা বলবেন চিনি খেলে কিছু হবে না, তাদেরকে বলছি একটু পড়ালেখা করতে।

      আপনি হয়তো বলবেন, লবণ ছাড়া কি ব্যঞ্জন হয় ? এটা কিন্তু আপনার উপর নির্ভর করছে । কখনো খাওয়ার সময় অতিরিক্ত লবণ নেবেন না । যদি একান্তই না পারেন, পরিমিত খাবেন কেমন । অনেক খাবারের মধ্যে লবণ লুকিয়ে আছে । তাই লবণ কম করে খেলেও আপনার গলগণ্ড রোগ হবে না।

      রাতে শর্করা জাতীয় খাবার কম খাবেন। যেমন নুডলস, ভাত, আলু আর পরোটা। লাল আটার রুটি খাবার চেষ্টা করবেন, দাম একটু বেশি। তবে ময়দা নয় আটার রুটি খাবেন। রাত ৮ টার পর খাবেন না । যারা রাতে কাজ করেন তাদের অবস্থা অবশ্য আলাদা। ভয় নেই , আপনি অনাহারে মরবেন না ।

      আপনি কি জানেন, আপনার অনেক অসুখের কারণ এই যে, আপনার পয়সা ছিল না খাবার কেনার জন্য এমনটা নয় বরং আপনার পয়সা বেশি ছিল বিজাতীয়/কুজাতীয় খাবার খাওয়ার জন্য।

      (২) প্রতিদিন তিরিশ মিনিট হাঁটবেন । এটা কিন্তু শপিং এর হাঁটা নয় বা পার্কে প্রণয়ীর সঙ্গে প্রমোদ ভ্রমণও নয় । যাদের ছাদ আছে , ওখানে হাঁটুন । এতে লজ্জার কিছু নেই । যাদের হাঁটার কোনো সুযোগ নেই , ফেইসবুকটি সরিয়ে রেখে ৩০ টি বুকডন দিন ।

      (৩) আপনি কি জানেন , পৃথিবীতে সুনামি আর সাইক্লোন যা ক্ষতি করেছে তার চেয়ে বেশি করেছে সফট ড্রিংকস । সফট ড্রিংকসকে হারাম মনে করুন । সফট ড্রিংকসের পরিবর্তে প্রচুর পানি খাবেন প্রতিদিন। সকালে নাস্তা খাবেন সম্রাটের মতো , দুপুরের খাবার রাজার মতো আর রাতের আহার ভিখারির মতো ।

      (৪) ঝালমুড়ি , ফাস্টফুড খাবেন অথচ বলবেন আমি তো তেমন কিছুই খাই নি ।

      আপনি বলবেন, তাহলে খাবোটা কি ? কেন মাছ-মাংস, ডাল , সালাদ, সবজী কি এগুলো তো চারপাশে প্রচুর আছে ?

      (৫) এবার যেটা বলবো সেটা সবচেয়ে প্রয়োজনীয় । হাসুন । সারাক্ষণ হাসুন । আপনি বলবেন আপনার পক্ষে এটা বলা সহজ । জানেন আমার মনে কত ব্যথা । আমি জানি তবুও চেষ্টা করবেন হাসতে । অতীতকে ভুলে যান ।

      আজকের দিনটির জন্য বাঁচুন । গতকাল রাতে ঝড় হয়েছিল বলে আজকের সোনালী রোদকে উপেক্ষা করবেন ?

      ভালো বই পড়ুন , ভালো গান শুনুন । তিলকে তাল না করে , সুখকে খুঁজে না বেড়িয়ে এই মুহূর্তে সুখী হন ।

      এই নিয়মগুলি ৬ মাস নিষ্ঠার সাথে অনুসরণ করবেন , দেখবেন আপনার বয়স ৬ মাস বয়স বাড়লেও রিয়েলিটি একই রকম থাকবে নিশ্চিত।

      ( বিঃদ্রঃ এই লেখাটি পড়ে কেউ ভুল অর্থ প্রকাশ/ধর্মকে টেনে আনবেন না, এখানে ৯০ বছরের কেউ ১৯ বছরের মতো প্রাক্টিকাল হওয়া বুঝানো হয়নি, সঠিক জীবনপ্রবাহের মাধ্যমে গুড রিয়েলিটি দীর্ঘদিন ধরে রাখার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে)

      Professor Answered 8 mins ago.
      Add Comment
    • RELATED QUESTIONS

    • POPULAR QUESTIONS

    • LATEST QUESTIONS

    • Your Answer

      By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.