রোযার সময় যেসব কাজ করতে উৎসাহিত করা হয়েছে সেগুলো কী কী?
রোযার সময় যেসব কাজ করতে উৎসাহিত করা হয়েছে সেগুলো কী কী?
ডাঃ জাকির নায়েকঃ
সাধারণত রমাদ্বান মাস ছাড়া অন্যান্য মাসেও যেসব কাজ করা জায়েয রমাদ্বান মাসেও সেসব কাজ করা জায়েয। কেবল যেসব কাজে রোযা ভঙ্গ হয় সেসব কাজ ব্যতীত। কিন্তু রসূল [ﷺ] রমাদ্বান মাসে বিশেষ কিছু কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং উৎসাহিত করেছেন। এ কাজগুলো করতে বা আমল করতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এমন অনেকগুলো হলো-
১। সাহরি খাওয়া, সাহরি খাওয়া অবশ্যই ত্যাগ করা যাবে না।
২। পারতপক্ষে সাহরি দেরি করে খাওয়া, এটা সুবহে সাদিকের পূর্ব মুহূর্তে হওয়াই উত্তম।
৩। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইফতার করা, সূর্যাস্তের পরপরই ইফতার করতে হবে।
৪। ইফতারিতে খেজুর ও পানি খাওয়া অর্থাৎ খেজুর ও পানি দিয়ে ইফতার করা উত্তম।
৫। ইফতারের পর রসূল [ﷺ] নির্দেশিত দু’আ পড়া।
৬। ইফতারির সময় অন্য রোযাদারদের সাথে রাখা বিশেষকরে গরিব লোকদেরকে ইফতারিতে রাখা।
** আরো অন্যান্য যেসব কাজ রসূল [ﷺ] করতে বলেছেন তা হলো-
১। রোযার মাসে যথাসম্ভব নেক ‘আমাল করা।
২। রমাদ্বান মাসে আমাদেরকে যত বেশি সম্ভব উদার ও মহ্ৎ হতে হবে।
৩। কেউ যদি আপনাকে রাগানোর চেষ্টা করে বা খারাপ আচরণ করে তাহলে সেক্ষেত্রে রোযাদারের উচিত উত্তেজিত না হওয়া বরং তখন বলতে হবে, আমি রোযাদার, আমি রোযাদার।
৪। মিসওয়াক ব্যবহার করা।
৫। যদি সম্ভব হয় তাহলে রমাদ্বান মাসে ওমরা পালন করা।
৬। যত বেশি সম্ভব ইসলামী জ্ঞান অর্জন করা, কুরআনের তাফসীর পড়া, হাদীস অধ্যয়ন করা এবং অন্যান্য ইসলামী জ্ঞান অর্জন করা।
৭। যত বেশি সম্ভব ইসলামী মজলিসে অংশ গ্রহণ করা, যেমন সেমিনার, আলোচনাসভা, মাহফিল, যেখান থেকে ইসলামী জ্ঞান অর্জন করা যায়।
৮। বিভিন্ন প্রকার ইসলামী অনুষ্ঠান শোনা; বা দেখা তা ভিডিও হতে পারে বা অডিও, যা আপনার ইসলামী জ্ঞানের সমৃদ্ধি ঘটাবে।
৯। রোযাদার সর্বদা হাসিখুশি থাকবে মনমরা হয়ে থাকা যাবে না।
১০। অন্যের সাথে ভালো ব্যবহার করা।
১১। পরিবারকে বেশি সময় দেওয়া এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে ভালো ব্যবহার করা।
১২। আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে বেশি বেশি চিন্তা করা।
১৩।অন্যের দোষ, ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে দেয়া, অন্যের দোষত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে বিবেচনা করা।
** এছাড়া আরো কতগুলো কাজ রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে রসূল [ﷺ] বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন তাহলো-
১। ফরজ নামাজগুলো মসজিদে জামায়াতের সাথে আদায় করা।
২। যত বেশি সম্ভব সুন্নত ও নফল নামাজ পড়া।
৩। যতবেশি সম্ভব আল্লাহর কাছে দু‘আ করা।
৪।যতবেশি সম্ভব আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। কেননা রমাদ্বান মাস হলো ক্ষমার মাস।
৫।যতবেশি সম্ভব কুরআন তিলাওয়াত করা।
৬। তারাবীহ’র নামাজ আদায় করা।
৭। বেশি বেশি নামাজ পড়া, বিশেষ করে রাতের শেষে ভাগে (তাহাজ্জুদ) নামাজ আদায় করা।
৮। ইতিকাফ করা।
৯। যাকাত দেওয়া।
১০। আত্ম উন্নয়ন এবং সংশোধন করা।
১১। লায়লাতুল ক্বদর তালাশ করা।
১২। অন্যান্য মুসলমানদের মধ্যে দাওয়াতী কাজ করা এবং তাদের সাথে সংশোধন করা।
১৩। অমুসলিমদের মধ্যে দাওয়াতী কাজ করা।