শিশুর দাঁতের যত যত্ন কিভাবে নিতে হবে?
শিশুর দাঁতের যত্ন কিভাবে নিতে হবে?
শিশুর মুখে প্রথম ওঠা দাঁতগুলো হলো দুধ দাঁত। দুধ দাঁতের সংখ্যা সাকুল্যে ২০ টি। শিশুর জন্মের ছয় মাস থেকেই এই দাঁত ওঠা শুরু করে। দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ২০ টি দাঁত মুখে জায়গা করে নেয়। তবে কখনো কখনো দাঁত ওঠার সময়ের তারতম্য হয়।
প্রথম দিকে দেখা যায় শিশুর দাঁতের যত্ন আত্তিতে মা বাবারা খুব একটা গুরুত্ব দেন না। অনেকেরই ধারনা এ দুধ দাঁতগুলোতো থাকছে না। দাঁতগুলো পড়ে গিয়ে যখন নতুন দাঁত উঠবে,তখন বরং যত্ন করা যাবে।
এই দাঁতগুলোকে কিন্তু ভারী যত্নে রাখতে হবে। দুধ দাঁতের ভালো মন্দের উপর অনেকটাই নির্ভর করে স্থায়ী দাঁতগুলো কেমন হবে তাই সেই ছোট্ট বেলা থেকেই নিতে হবে দাঁতের যত্ন। কেমন করে দাঁতগুলোর যত্ন নিতে হবে জেনে নেয়া যাক।
সকালে খাবার পরে এবং রাতে ঘুমোতে যাবার আগে শিশুকে দাঁত মাজতে উৎসাহিত করুন।
খুব ছোট্ট শিশুকে প্রতিবার খাওয়ানের পর নরম কাপড় কিংবা গজ কাপর ভিজিয়ে দাঁত মুছে দিতে হবে।
শিশুকে অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন। যে কোনো মিষ্টি খাবার খাওয়ার পরে মুখ ধুইয়ে দিন যত্ন করে।
খেয়াল রাখবেন শিশু যেন পেষ্ট গিলে না ফেলে।
কোমল পানীয় শিশুর দাঁতের জন্য বড্ড ক্ষতিকর। খাওয়াবেন না।
শিশুকে তাজা ফল, শাক-সবজি খাওয়াতে হবে প্রতিদিন। দাঁতের জন্যেও ভালো, শরীরের জন্যও।
কেমন হবে শিশুর টুথ ব্রাশটি?
এখন বাজারে শুধু শিশুদের জন্যই অনেক ধরনের টুথ ব্রাশ পাওয়া যায়। তবে দেখে নিন টুথব্রাশটির ব্রাশ যেন নরম হয়। ব্রাশের মাথাটি হবে ছোট। আর হাত দিয়ে ধরার জায়গাটি লম্বা। সামনে পিছনে, উপরে নিচে করে শিশুকে দাঁত ব্রাশ করতে সাহায্য করুন, যতদিন না পর্যন্ত শিশু নিজে থেকেই দাঁত ব্রাশ করতে শিখে যায়। সঙ্গে শিশুদের শেখাতেও হবে তারা যেন দাঁত মাজার পর পেষ্ট থুথু করে ফেলে দেয়। যে সব শিশুর পেষ্ট ফেলে না দিয়ে গিলে ফেলে তাদের বেলায় ফ্লোরাইড নেই এমন টুথপেষ্ট ব্যবহার করতে হবে। আর খেয়াল রাখুন শিশু যেন কোন অজুহাতেই দাঁত মাজা এড়িয়ে না যায়।
ডা.সিদ্ধার্থ মজুমদার