শিশুর বংশগত অতিরিক্ত রাগ কমানোর কোনো উপায় কি আছে?
রাগ এমন একটি বিষয়, যা সব বয়সী মানুষের মধ্যে কমবেশি আছে। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে রাগের মাত্রা হয় ভিন্ন। শিশুদের রাগের কারণ হতে পারে তার বংশগত বৈশিষ্ট্য এছাড়াও শিশুরা দেখে শুনেও এই ধরনের কিছু আচরণ শিখে থাকে। ছোটবেলায় তার ইচ্ছা অনুযায়ী কোনো শখ যদি মেটাতে না পারা যায়। সেসব ক্ষোভ ছোট থেকে শিশুদের মধ্যে একটা চাপ সৃষ্টি করে থাকে।
ফলে শিশুরা সেসব চাপ ভেতরে রেখে কষ্ট পায়, যার ফলে ছোটখাটো কথায় তারা রেগে যায় এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করে থাকে ছোট থেকেই। বাবা-মায়ের সঙ্গে তর্ক করে, ঘরের জিনিস ভাঙে, এমনকি বাজে ভাষাও ব্যবহার করে রাগের কারণে। এ নিয়ে তাকে যদি কিছু বলা হয় তাহলে হিতেবিপরীত হতে পারে। তাই এমতাবস্থায় শিশুকে বেশি কিছু বলা উচিত না।
রাগ কমাতে করণীয়:
– প্রথমে শিশুর রাগের কারণটা বোঝার চেষ্টা করবেন। জানার চেষ্টা করবেন তার ভেতরে কোনো জিনিস না পাওয়ার জন্য যে অভিমান হয়েছিল, তা আছে কি-না। যদি থাকে তবে চেষ্টা করবেন তার জিনিসটা দেওয়ার।
– শিশুর সঙ্গে সব সময় বন্ধুসুলভ আচরণ করবেন। চেষ্টা করবেন শিশুর সব চাওয়া পূরণ করতে।
– পরিবারের কোনো সমস্যা শিশুর সামনে প্রকাশ করবেন না।
– নিজেদের মধ্যে ঝগড়া হলে তার জের শিশুর সামনে প্রকাশ করবেন না।
– শিশু রেগে গেলে তখনই তাকে গায়ে হাত তুলবেন না। অযথা বাজে কথা বলবেন না।
– শিশুকে অন্য কোনো শিশুর সঙ্গে তুলনা করবেন না।
– শিশুকে গল্পের মাধ্যমে কিছু জিনিস বোঝাতে চেষ্টা করুন। চেষ্টা করবেন শিশুকে নিয়ে সব সময় হাসিখুশি থাকতে। মাঝে মধ্যে তাকে গল্পের মাধ্যমে রাগের পরিণতি কী হতে পারে তা বোঝাতে চেষ্টা করুন।
– সব সময় বাড়িতে বসে থেকে শিশুদের মধ্যে একঘেয়েমি সৃষ্টি হয়, ফলে শিশুর মধ্যে রাগের সৃষ্টি হয়। তাই চেষ্টা করুন, ছুটির দিনে কোথা থেকে ঘুরে আসতে।
– মাঝে মধ্যে শিশুর জন্য কিছু গিফট কিনুন, যেটা সে প্রত্যাশাও করেনি, কিন্তু তা পেয়ে খুব খুশি হবে কারণ এগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকলে তার রাগের কথাও ভুলে থাকতে পারবে।
– সে যদি রাগ করে তাহলে তার সামনে অযথা কথা বলবেন না, এমনিতেই কিছুক্ষণ পর তার ভুল সে বুঝতে পারলে রাগ কমে যাবে।
– ছোটবেলা থেকেই চেষ্টা করুন, শিশুকে একটা আনন্দময় পরিবেশের মধ্যে রাখতে।