মাতৃত্বকালীন সময়ে সময় একজন মা যদি দুশ্চিন্তা ও হতাশায় থাকেন, তবে ১৮ মাস বয়সের মাঝেই তাদের সন্তানদের মাঝেও আচরণগত ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। নতুন এক গবেষণা সেটিই বলছে। আর এই সমস্যা কিশোর বয়সের মাঝেই প্রকট আকার ধারণ করে।
Norwegian Institute of Public Health এর গবেষক ওয়েন্ডি নিলসেন বলেন, “আমাদের গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল মা ও তার সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্য, এ সংক্রান্ত সমস্যা ও সমাধানের পদ্ধতির ব্যপারে গুরুত্ব আরোপ করেছে। আর এর ফলে চিকিৎসকদের পক্ষে রোগীর মানসিক সমস্যা সংক্রান্ত সমস্যা নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হবে।
গবেষকরা বলেন, সন্তানের শৈশব ও কৈশোরে যদি মা খুব বেশি দুশ্চিন্তা ও বিষণ্ণতায় ভোগেন তবে সেটি তার সন্তানদের মাঝেও দেখা দিতে পারে। দেখা যায় এধরণের ক্ষেত্রে সন্তানরা আবেগ-অনুভূতি ও মানসিক সমস্যায় ভোগার সমস্যা অনেক বেশি হয়ে থাকে। এছাড়া দেখা যায়, এধরণের সন্তানরা তাদের কিশোর বয়সে খুব উগ্র স্বভাবের হয়ে উঠে।
এর আগের অনেক গবেষণায় এটি প্রমাণিত হয়েছে যে, মায়ের মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ হলে সন্তানের ১৮ মাস বয়সের মাঝেই বিভিন্ন মানসিক ও আচরণগত অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে। ছেলে ও মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই এই গবেষণার ফলাফল একই রকম ছিল। তবে এটি মোটামুটি সাড়ে আট বছর বয়স পর্যন্ত একই রকম থাকে। কিন্তু শৈশবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের তাদের মায়েদের আচরণগত ভিন্নতার কারণে মানসিকভাবে বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
তাই গবেষকরা বলছেন, একজন মেয়ের গর্ভাবস্থা ও সন্তান জন্ম দেয়ার পরের সময়গুলোতে পরিবারের অন্য সদস্যদের উচিত তার শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি সে যেন মানসিকভাবেও উৎফুল্ল থাকে সেই ব্যপারটি নিশ্চিত করা। কারণ গর্ভকালীন ও সন্তান জন্ম দেয়ার সময়গুলোতে বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তনের কারণে একজন মায়ের উপর দিয়ে প্রচণ্ড মানসিক চাপ যায়।
এসংক্রান্ত গবেষণা সম্প্রতি Journal of Developmental and Behavioral Pediatrics এ প্রকাশিত হয়েছে।