সঠিক জীবন ব্যবস্থাপনায় করনীয় কী?
জীবন টা বড়ই বৈচিত্র্যময়, অদ্ভুত এক নিয়মের বেড়াজালে বন্দি।
ভেবে দেখুনতো?
আপনি আপনার পরিবারের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এক সময় আপনার উপরই পরিবারের সদস্যরা নির্ভরশীল ছিলো । আপনি ছাড়া পরিবার অচল!মা-বাবার সার্বিক দেখাশোনা, ভাই- বোনদের লেখাপড়া, ভরনপোষণ সবই আপনার জিম্মায়। নিজ স্ত্রী সন্তানের প্রয়োজনের চেয়ে মা-বাবা, ভাই-বোনের প্রয়োজনকেই প্রয়োজন মনে করেছেন। তাদের জন্য সাধ্যের সবটুকু উজার করে দিয়েছেন। সময়ের ব্যবধানে সবাই বড় হয়ে গেছে। তখনও করেছেন। তারা এখন স্বাবলম্বী, কিন্তু কারো জন্য তারা করছেনা। মা-বাবার জন্য এখনো আপনি সাধ্যমতো করে যাচ্ছেন। বাকিরা নিজ নিজ স্বার্থে অন্ধ।অথচ মা-বাবা এখন তাদের জন্যই অন্ধ! আহারে!তাদের নেই!
এ অবস্থায় হটাৎ আপনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি! দেখবেন কেউ নেই। কাউকে কল করলেও পাবেননা। তারা সবাই খুব ব্যস্ত। কল ধরা কিংবা করা,কোনটারই সময় নেই! মা-বাবাও বিভিন্ন কৌশলগত সুক্ষ্ম কারনে অপারগ! এই কঠিন পরিস্থিতিতে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে একমাত্র যে মানুষটি দৌড়াচ্ছে,সে আপনার স্ত্রী -সন্তান। আপনি জেলখানায় বন্দী। দেখবেন, আপনার চারপাশের সেই সুবিধা ভোগী মানুষ গুলোর কেউ নেই! কোর্টের বারান্দায় কিংবা জেলগেটে আপনজন কেউ নেই! সেখানেও ক্লান্ত হতাশাগ্রস্ত এক নারী। সে আপনার স্ত্রী। নির্বাক চোখে তাকিয়ে থাকা আপনার সন্তানেরা! হাসপাতালের চিকিৎসা, বিপদ- আপদ কিংবা যে কোন সংকটে, কাছের কিংবা পরিবারের দীর্ঘদিনের সুবিধা ভোগীদের কাউকেই পাবেননা!বরং আপনার উপর তাদের অভিযোগ আর অসন্তোষের ঢেউ আছড়ে পরবে। ঘুরে ফিরে আপনার স্ত্রী আর সন্তানেরাই ভোগ করবে নিদারুণ নিষ্ঠুর কষ্ট। তারাই থাকবে আপনার পাশে,তারাই ভোগ করবে আপনার কষ্ট। সুতরাং তারাই হোক আপনার ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দু।
মনে রাখবেন,
“স্বার্থপর কখনো আপন হয়না
সুবিধা ভোগীরা কখনো প্রিয়জন হয়না।
সময়ই আপনাকে বাস্তবতা শিখায়
সময়ই আপনাকে আপনজন চিনায়।
এক সময় ছিলো আপনি ছাড়া পরিবার অচল
এখন আপনি অচল কিন্তু পরিবার সচল।
সংকট আপনাকে চিনায়
কে আপন আর কেবা পর!”