“সাইকোলজিক্যাল হ্যাক” সম্পর্কে কিছু জানতে পারি কি?
আজ আপনাদের জানাতে চাই এমন কিছু সাইকোলজিক্যাল বা মনস্তাত্ত্বিক বিষয় সম্বন্ধে, যেগুলো জানলে আপনারা অবশ্যই চমকে যাবেন
১|নারীরা অধিক কর্কশ কন্ঠের পুরুষদের বেশি পছন্দ করে। কারণ অধিক কর্কশ কন্ঠের পুরুষদের, নারীদের কাছে সংশয় হীন মনে হয়।
২|আপনি যদি কোন ব্যক্তির মানসিকতা বা তার অভ্যাস বা চরিত্র সম্বন্ধে জানতে চান, তাহলে তার বিশেষ কিছু আচরণের দিকে খেয়াল করুন। তাহলেই বুঝতে পারবেন সেই ব্যক্তিটি আসলে কেমন মানসিকতার।সেটি হচ্ছে, সেই ব্যক্তির কোনো চায়ের দোকানদার, মুচি, বা রেস্টুরেন্টের স্টাফদের সাথে কেমন আচরণ করে তা খেয়াল করুন। তাহলেই বুঝতে পারবেন সেই ব্যক্তিটি আসলে কেমন চরিত্রের বা মানসিকতার।
৩| যখন কেউ মিথ্যা কথা বলে, তখন সে সামনে থাকা কোনো ব্যক্তির চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারেনা। এটা স্বাভাবিক, কারণ তার মন তাকে মিথ্যা বলায় সঙ্গ দিলেও, তার মস্তিষ্ক তখন গিল্টি ফিল করা শুরু করে, ফলে সে চোখে চোখ রেখে কথা আর বলতে পারেনা।তবে আপনি যদি কখনো টের পান যে কেউ চোখে চোখ রেখেও কনফিডেন্টলি আপনার সাথে মিথ্যা বলে বা বলছে, তার থেকে দূরত্ব বজায় রাখলেই ভালো করবেন।
৪|বুদ্ধিমান ব্যক্তির হাতের লেখা সুন্দর হয় না। এর কারণ হচ্ছে মানুষ যত বুদ্ধিমান হবে, সে ততো দ্রুত চিন্তা করতে পারে। এর ফলে তার হাতের লেখা সুন্দর হয় না।
৫| আমাদের আবেগ একে অপরের সাথে যোগাযোগের উপর প্রভাব করে না। মূলত আমরা কেমন যোগাযোগ করছি, কতটুকু যোগাযোগ করছি, এর উপর আমাদের আবেগ নির্ভর করে।
৬|পুরুষেরা নারীদের চেয়ে কম রসবোধসম্পন্ন হয়।
৭|নিজ ধর্ম গ্রন্থ ভোরবেলা অধ্যায়ন করলে তা আমাদের মনকে প্রশান্ত স্বাভাবিক এবং চিন্তা মুক্ত করে।
৮| কোন একটি কাজ করতে ভয় পান কিন্তু যদি আপনি সেই কাজটি করে ফেলতে পারেন। তাহলে আপনার পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে হবে।
৯| বুদ্ধিমান এবং স্মার্ট ব্যক্তিরা অন্যদের চেয়ে কম বন্ধু তৈরি করে। ব্যক্তি যতই স্মার্ট হয়, বন্ধু নির্বাচনে সে ততই বাছাই মুলক এবং সতর্ক হয়।
১০| যেসব ব্যক্তি একাধিক ভাষায় কথা বলতে পারে, তারা এক ভাষা হতে অন্য ভাষায় কথা বলার সময়, নিজের অজান্তেই তার ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন ঘটাতে পারে।
১১| নিজের বেস্ট ফ্রেন্ডকে সঙ্গী হিসেবে নির্বাচন করলে ডিভোর্সের ঝুঁকি ৭০% কমে যায় এবং বিয়ে সারা জীবন টিকে থাকার সম্ভাবনা থাকে।
১২| দুজন ব্যক্তি যখন একসাথে কথা বলে, তখন যদি একজন ব্যক্তি পা অস্বাভাবিক ভাবে নড়াচড়া করে অথবা কথার মাঝে পা সামান্য দূরে সরিয়ে নেয়, তাহলে বুঝতে হবে সে আপনার সাথে আলাপ করতে ইচ্ছুক নয় এবং সে স্থান ত্যাগ করতে চায়।
১৩|একাকীত্ব মানুষের জীবনে দুর্বিষহ। আপনি জানেন কি দীর্ঘ সময় একাকীত্ব থাকা মানে হচ্ছে, একদিনে 15 টি সিগারেট খেলে যে ক্ষতি হবে তার সমান।
১৪| মানুষকে যখন ক্রমাগত প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয় তখন সে সম্প্রতি যে খারাপ কাজগুলো করেছ মনে মনে সেগুলো চিন্তা করতে থাকে।
১৫| যে মানুষ কৌতুক বা মজা তাড়াতাড়ি বুঝতে পারে তারা মানুষের মন সহজেই বুঝতে পারে।
১৬|মানুষ যার কাছে বার্তা পাঠাতে পছন্দ করে তাকে দ্রুত বার্তার প্রত্যুত্তর পাঠায়। আর কাউকে অপছন্দ করলে তার প্রেরিত বার্তা কে অবজ্ঞা করে।
১৭| আমরা বেশিরভাগ সিদ্ধান্তগুলো নেই খামখেয়ালীভাবে (রাগের সময় আমাদের বড় কোন সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত নয়)।
১৮| মানুষ তার প্রিয় কাজ করার মাধ্যমে তার টেনশন কমাতে পারে।
১৯| একটি অনুমান মতে, একজন ব্যক্তির বিবাহের পূর্বে গড়ে প্রায় সাতবার কারও না কারও সাথে প্রেম হয়ে যায়, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সে প্রকাশ করতে পারেনা। এমনকি সে মনে মনে সর্বত্র তার (যাকে সে পছন্দ করে) উপস্থিতি অনুভব করে, বা তার উপস্থিতি মিস করে।
২০| মানুষের জীবনে প্রেম নামক জিনিসটা, গড়ে ১৮ বছর বয়সেই আসে। এই সময় তার মাথায় চলতে থাকে, নিজের আশেপাশের দেখতে সুন্দর কোনো ব্যক্তিকে (ছেলে/মেয়ে) ইমপ্রেস করার চেষ্টা। আবার অনেকসময় এই বয়সে অনেকেই সিনেমার নায়ক-নায়িকাদের প্রেমেও পড়ে যান, না এই প্রেম হল একতরফা প্রেম। কারণ নায়ক-নায়িকারা থোরেই না আপনাকে চেনে? আবার একটু বয়স বাড়ার সাথে সাথেই, সেই ব্যক্তিই সুন্দর এবং ভালো আচরণ যুক্ত সাথীর খোঁজ করতে থাকে।
২১| জানেন কি, রাগী মানুষেরা সহজেই প্রেমে পড়ে যায়।
২২| Oxytocin নামক এক বিশেষ হরমোন আমাদের শরীরে তখনই উৎপন্ন হয়, যখন আমাদের পছন্দের কোনো প্রিয়জন, অথবা আমাদের প্রেমিক/প্রেমিকা আমাদের কাছা-কাছি আসে। এই হরমোনের আরেক নাম হল- Love hormone, এই হরমোন ক্ষরণের ফলে মানুষ রিল্যাক্স ফিল করে।
২৩| আপনি জানলে হয়ত অবাক হবেন যে, এই পৃথিবীর প্রায় ২% মানুষ তাদের প্রেমের বহিঃপ্রকাশ কোনো শপিংমল অথবা সুপারমার্কেটে করে।
২৪| যেসমস্ত প্রেমিক-প্রেমিকা একসাথ কোনো কমেডি ফিল্ম দেখে অথবা একসাথে হাঁসে, তাদের সম্পর্ক অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি মজবুত হয়ে থাকে।
২৫| দুইজন প্রেমিক প্রেমিকা যতই পরস্পরের কাছাকাছি আসতে থাকে, ততই তাদের পছন্দ-অপছন্দ প্রায় একই রকম হয়ে যায়। যখন আমরা আমাদের প্রিয়জনের সাথে দেখা করি, তখন তার প্রত্যেকটি কাজ আমাদের কাছে পারফেক্ট মনে হয়।