সানস্ক্রিন কেন ব্যবহার করা হয়?
সানস্ক্রিন ব্যবহারের ত্বককে সূর্যরশ্মির কারণে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা যায়। শীত, গ্রীষ্ম যেকোনো ঋতুতেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা প্রয়োজন। সানস্ক্রিন ত্বকে প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। আলট্রাভায়োলেট রশ্মি ত্বকে প্রবেশ করার সময় সানস্ক্রিন তার ক্ষতিকর অংশটুকু শুষে নেয়। আর সানব্লক আলট্রাভায়োলেট রশ্মিকে ত্বকে প্রবেশ করতেই দেয় না। আয়না যেমন সূর্যরশ্মিকে প্রতিফলিত করে, সানব্লক ঠিক সেভাবে কাজ করে। বর্তমানে সূর্যরশ্মির হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য যেসব ক্রিম পাওয়া যায় তাতে সানস্ক্রিন ও সানব্লক এ দুয়ের সংমিশ্রণ থাকে। সানস্ক্রিনে সান প্রটেকশন ফ্যাক্টর (ঝচঋ) বা সূর্য প্রতিরোধক উপাদান থাকে। সানস্ক্রিনে প্যারা অ্যামাইনো বেনজয়িক অ্যাসিড (চঅইঅ) থাকে। তবে এটি ত্বকে অ্যালার্জি সৃষ্টি করে বলে এখন কম ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া সানস্ক্রিনে উপাদান হিসেবে থাকে পেডিমেট, সিনামেট, এনথ্রালিনেটস এবং স্যালিসাইলেটস। অভিজাত সানস্ক্রিনে অক্সিবেনজোন কিংবা বেনজোফেনোনস থাকে এবং এরা আলট্রাভায়োলেট এ রশ্মিকে শুষে নেয়। আলট্রাভায়োলেট এ রশ্মির জন্য সবচেয়ে ভালো পারসন ১৭৮৯ এবং অ্যাভোবেনজোন।
জিঙ্ক অক্সাইড আলট্রাভায়োলেট এ এবং আলট্রাভায়োলেট বি দুই রকম রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এ জন্যই ক্রিকেটারদের কাছে এটি খুবই প্রিয়। বর্তমানে জিঙ্ক অক্সাইড মাইক্রোনাইজড করে পাওয়া যায় ফলে ব্যবহারে সুবিধা হয়। এ ছাড়া টাইটারিয়াম ডাই-অক্সাইড প্রতিরক্ষক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এটি জিঙ্ক অক্সাইডের তুলনায় কম কার্যকর। বর্তমানে সানস্ক্রিনগুলোতে অন্যান্য উপাদানের সাথে জিঙ্ক অক্সাইডের মতো বাহ্যিক আবরণ তৈরিকারী উপাদানও ব্যবহৃত হয়। সানস্ক্রিনগুলোতে বর্তমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিকেল ধ্বংস করে দেয়। এর ফলে ত্বক কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না ও ত্বক বুড়িয়ে যায় না। ভিটামিন এ সি ও ই হচ্ছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সানস্ক্রিন ব্যবহারে তাই ত্বক তরতাজা, টানটান ও সুস্থ থাকবে।