সিভি তৈরির নিয়মটি জানতে পারি?
সিভি তৈরির নিয়মটি জানতে পারি?
চাকরি যেখানেই হোক, তাতে আবেদন করতে হলে প্রথম যা লাগে তা হচ্ছে সিভি। সিভি এর পূর্ণ নাম ‘কারিকুলাম ভিটা’। বাংলায় আমরা একে বলি জীবনবৃত্তান্ত। এ ছাড়া জীবনবৃত্তান্ত আমাদের কাছে আরও যে যে নামে পরিচিত তার মধ্যে রয়েছে রিজিউম, বায়োডাটা প্রভৃতি। নাম যাই হোক না কেন, এর প্রধান কাজ হলো চাকরিদাতার সামনে আপনার যোগ্যতাকে সুন্দরভাবে তুলে ধরা। কাজেই এর গুরুত্ব অপরিসীম।
জেনে নিন সিভি তৈরির কায়দা কানুনঃ
-সিভিতে নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে সর্বদাই আপনার যোগ্যতাকে এমনভাবে তুলে ধরুন যেন তা খুব সহজেই আপনার সকল তথ্যের বিকল্প হয়ে উঠতে পারে।
– সদ্য গ্র্যাজুয়েটদের জন্য একপাতার সিভি’ই যথেষ্ট। কাজের অভিজ্ঞতা বেশি হলে সিভির দৈর্ঘ্য বড়জোর দুই পৃষ্ঠা হতে পারে। যে পদটির জন্য আবেদন করবেন তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন কাজের বর্ণনার প্রয়োজন নেই। দুই পৃষ্ঠার সিভি লেখার ক্ষেত্রে প্রথম পাতাতেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো রাখার চেষ্টা করতে হবে।
-সিভিটি যেন সুশৃংঙ্খল এবং চোখে পড়ার মতো হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। সিভিটি অবশ্যই কম্পিউটারে কম্পোজ করে উপস্থাপনের চেষ্টা করুন। যে কাগজটিতে প্রিন্ট করবেন সেটা যেন ভাল মানের হয়। সিভিতে যেন কোনো বানান বা ব্যকরণগত ভুল না থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
-সিভিতে তথ্য দেয়ার আগে আলাদা একটি কাগজে লিখুন এবং তারপর গুরুত্বের ক্রমানুসারে তথ্যগুলো সিভিতে উপস্থাপন করুন। তথ্যগুলো যাতে অতিরঞ্জিত না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখুন।
-সিভির উপরে নাম, ফোন নম্বর বা মোবাইল নম্বর, ইমেইল ঠিকানা ও চিঠি পাঠানোর ঠিকানা যাতে নির্ভুল থাকে। এসব তথ্য স্পষ্ট আর নির্ভুলভাবে উল্লেখ না করা হলে আপনাকে নিয়োগদাতার পছন্দ হলেও সে তথ্য আপনার অজানাই থেকে যাবে।
-সিভিতে অবশ্যই অবজেকটিভ বা ক্যারিয়ার অবজেকটিভ শিরোনামে আলাদা একটি অংশ রাখবেন। এতে সিভিটি অনেক বেশি ফোকাসড বলে মনে হবে।
-শিক্ষাগত যোগ্যতাগুলোকে উল্টোদিক থেকে উপস্থাপন করুন। অর্থাৎ সর্বোচ্চ ডিগ্রিটিকে সবার আগে লিখুন এবং তারপর ক্রমে একই ধারাবাহিকতায় অন্যগুলোর কথা বলুন।
-কাজের অভিজ্ঞতা, স্বেচ্ছাশ্রমের বৃত্তান্ত কিংবা ইন্টার্নশিপের তথ্য দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনি কী পদে কাজ করতেন, আপনাকে কী ধরনের কাজ করতে হতো, নিয়োগদাতা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম এবং কাজের সময় অর্থাৎ কবে থেকে কবে পর্যন্ত কাজ করেছেন ইত্যাদি বিষয়গুলো উল্লেখ করুন।
-আপনার দেওয়া তথ্যগুলো সম্পর্কে যেন দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তির থেকে জানা যায়, সেজন্যই রেফারেন্সের উল্লেখ করতে হবে। যাদের রেফারেন্স দিচ্ছেন অবশ্যই আগে থেকে তাঁদের অনুমতি নেবেন এবং বিষয়টি তাঁদের জানিয়ে রাখবেন।
ধন্যবাদ।