সুশিক্ষিত মানুষেরা বেশি চিন্তাশীল হয় কেন?
শিক্ষার উপযোগিতা সম্পর্কে সবার কমবেশি জানা আছে। শিক্ষাটা যদি সুশিক্ষা না হয়, তবে বছর বছর শিক্ষার হার বাড়িয়ে কাঙ্খিত কল্যাণ সাধিত হবে না। সুশিক্ষার একটি শর্ত হলো তাতে চিন্তাশীলতা থাকতে হবে। নিচের চিত্রটি দেখুন—
উপরের চিত্রে বিন্দুগুলো বিভিন্ন বিষয়ের তথ্যকে নির্দেশ করছে। এগুলো শিক্ষার মাধ্যমে অর্জিত হয় এবং যে যত বেশি শিক্ষা অর্জন করবে, তার মস্তিষ্কে তত বেশি এরকম তথ্য জমা হবে। সমস্যা হলো কোন একটি বিষয় বিশ্লেষণের জন্য তথ্যগুলো নিজে নিজেই পরস্পরের সাথে যুক্ত হতে অক্ষম। সেজন্য চিন্তাশীলতার দরকার হয়। তাই শিক্ষার সাথে চিন্তাশীলতা যুক্ত হলে সুশিক্ষা অর্জন সম্ভব হয়। আর সুশিক্ষার ফল হয় এমন—
যে যত বেশি চিন্তাশীল হতে পারে, তথ্যগুলোর পরস্পরের সাথে যোগাযোগের সম্ভাবনাও তত বেড়ে যায়। মূলত যে মানুষ যত কম চিন্তাশীল, তার পক্ষে সুশিক্ষা অর্জনও তত কঠিন হয়ে পড়ে। সুতরাং, একদিকে যেমন সুশিক্ষিত মানুষেরা বেশি চিন্তাশীল হয়, অপরদিকে তেমন বেশি চিন্তাশীল মানুষের পক্ষে সুশিক্ষা অর্জন সহজ হয়। অর্থাৎ চিন্তাশীলতা ও সুশিক্ষা পরস্পরকে প্রভাবিত করে নিজেদের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে।