সৌদি ভিসা সম্পর্কিত তথ্যগুলো জানতে চাই
সৌদি ভিসা সম্পর্কিত তথ্যগুলো জানতে চাই
সৌদি আরব গতবছর বাংলাদেশী শ্রমিক নতুন করে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। উল্লেখ্য, যেখানে আগে সৌদি আরবে কাজের ভিসা দিতে সময় লাগত ৯০ দিন, গতবছর থেকে তা কমে ১০ দিনে আনা হয়েছে।
এছাড়াও ২০ এপ্রিল ২০১৫ সালে বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব। বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষীয় একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে গতবছর । প্রথম দফায় প্রতিমাসে ১০ হাজার করে ১২ মাসে মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার কর্মী নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে সৌদি সরকার। স্মারক অনুজায়ী সর্বনিম্ন বেতন ধরা হয়েছে ৮শ রিয়াল।
নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জনশক্তি অফিসের এ কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘প্রতিদিন ১৮-৪৫ বছর বয়সী আগ্রহী পুরুষ কর্মীরা তাদের নাম নিবন্ধন করতে পারবেন। গৃহকর্মী হিসেবে আগ্রহী নারীদের বয়স ২৫ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। নিবন্ধনের জন্য নির্ধারিত ফরম পূরণ করতে হবে। এসময় এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, পাসপোর্টের ফটোকপি (১-৫ পৃষ্টা) জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি অথবা নাগিরকত্বের সনদপত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে।
এছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কাজের অভিজ্ঞতা সনদের (যদি থাকে) ফটোকপি আনতে হবে। পাশাপাশি আগ্রহীদের একজন নমিনির নাম ও ফোন নম্বর, স্থায়ী ঠিকানা অর্থাৎ যে ঠিকানায় যোগাযোগ করা যাবে তা উল্লেখ করতে হবে। নিবন্ধনের আবেদনপত্রের সঙ্গে সোনালী ব্যাংকের দেড়শ টাকার একটি পে-অর্ডার জমা দিতে হবে।’
সরহকারী পরিচালক জহিরুল আলম মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। নিবন্ধনকৃতদের মধ্য থেকে বুয়েট নিয়ন্ত্রিত একটি ডাটাবেজে সংরক্ষিতদের প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। সেখান থেকে স্বাস্থ্য ও পেশাগত দক্ষতা প্রমাণ সাপেক্ষে চূড়ান্ত নির্বাচনের মাধ্যমে ভিসার জন্য মনোনীত করা হবে। এসব প্রক্রিয়াসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক প্রক্রিয়াগুলো সরকার অনুমদিত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে করা হবে। তবে সরকার যাবতীয় কার্যক্রম মনিটরিং করবে। এর ফলে বেশি টাকা দিয়ে আর সৌদি আরব যেতে হবে না। সরকার নির্ধারিত ৩০ হাজার টাকা দিয়েই নির্বাচিতরা এবার বিদেশ যেতে পারবেন।’